রুকইয়াহ সম্পর্কে প্রথমিক পরিচিতি
(বদ নজর, কালো যাদু ও জীন সম্পর্কিত আয়াত ও হাদিস )
وَاتَّبَعُوا مَا تَتْلُو الشَّيَاطِينُ عَلَىٰ مُلْكِ سُلَيْمَانَ وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَٰكِنَّ الشَّيَاطِينَ كَفَرُوا يُعَلِّمُونَ النَّاسَ السِّحْرَ وَمَا أُنْزِلَ عَلَى الْمَلَكَيْنِ بِبَابِلَ هَارُوتَ وَمَارُوتَ وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّىٰ يَقُولَا إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلَا تَكْفُرْ ۖ فَيَتَعَلَّمُونَ مِنْهُمَا مَا يُفَرِّقُونَ بِهِ بَيْنَ الْمَرْءِ وَزَوْجِهِ وَمَا هُمْ بِضَارِّينَ بِهِ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ وَيَتَعَلَّمُونَ مَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنْفَعُهُمْ وَلَقَدْ عَلِمُوا لَمَنِ اشْتَرَاهُ مَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ مِنْ خَلَاقٍ وَلَبِئْسَ مَا شَرَوْا بِهِ أَنْفُسَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ
অর্থঃ “এবং সুলাইমানের রাজত্বকালে শয়তানরা যা আবৃত্তি করতো, তারা তারই অনুসরণ করছে এবং সুলাইমান কুফুরী করেননি কিন্তু শয়তানরাই কুফুরী করেছিল। তারা লোকদেরকে যাদু বিদ্যা এবং যা বাবেল শহরে হারূত-মারত ফেরেশতাদ্বয়ের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছিল তা শিক্ষা দিতো, এবং তারা উভয়ে কাউকেও ওটা শিক্ষা দিতো না, যে পর্যন্ত তারা না বলতো যে, আমরা পরীক্ষা স্বরূপ, অতএব তুমি কুফরী করো না; অনন্তর যাতে স্বামী ও তদীয় স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ সংঘটিত হয়, তারা উভয়ের নিকট তা শিক্ষা করতো এবং তারা আল্লাহর হুকুম ব্যতীত তদ্বারা কারও অনিষ্ট সাধন করতে পারতো না এবং তারা ওটাই শিক্ষা করছে যাতে তাদের ক্ষতি হয় এবং তাদের কোন উপকার সাধিত হয় না এবং নিশ্চয় তারা জ্ঞাত আছে যে, অবশ্য যে কেউ ওটা ক্রয় করেছে, তার জন্যে পরকালে কোনই অংশ নেই এবং যার বিনিময়ে তারা যে আত্ম-বিক্রয় করেছে তা নিকৃষ্ট, যদি তারা তা জানতো!” (সূরা বাকারাঃ ১০২)
الَّذِينَ كَفَرُوا وَصَدُّوا عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ أَضَلَّ أَعْمَالَهُمْ
1
محمد
যারা কুফুরী করে এবং আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে, আল্লাহ তাদের সকল কর্ম ব্যর্থ করে দেন।
اَلَّذِیۡنَ یَاۡکُلُوۡنَ الرِّبٰوا لَا یَقُوۡمُوۡنَ اِلَّا کَمَا یَقُوۡمُ الَّذِیۡ یَتَخَبَّطُهُ الشَّیۡطٰنُ مِنَ الۡمَسِّ ؕ ذٰلِکَ بِاَنَّهُمۡ قَالُوۡۤا اِنَّمَا الۡبَیۡعُ مِثۡلُ الرِّبٰوا ۘ وَ اَحَلَّ اللّٰهُ الۡبَیۡعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا ؕ فَمَنۡ جَآءَهٗ مَوۡعِظَۃٌ مِّنۡ رَّبِّهٖ فَانۡتَهٰی فَلَهٗ مَا سَلَفَ ؕ وَ اَمۡرُهٗۤ اِلَی اللّٰهِ ؕ وَ مَنۡ عَادَ فَاُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ۚ هُمۡ فِیۡهَا خٰلِدُوۡنَ
যারা সুদ খায়, তারা তার ন্যায় (কবর থেকে) উঠবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দেয়। এটা এ জন্য যে, তারা বলে, বেচা-কেনা সুদের মতই। অথচ আল্লাহ বেচা-কেনা হালাল করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতএব, যার কাছে তার রবের পক্ষ থেকে উপদেশ আসার পর সে বিরত হল, যা গত হয়েছে তা তার জন্যই ইচ্ছাধীন। আর তার ব্যাপারটি আল্লাহর হাওলায়। আর যারা ফিরে গেল, তারা আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে স্থায়ী হবে। (বাকারাহ ২৭৫)
وَ اِنۡ یَّکَادُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لَیُزۡلِقُوۡنَکَ بِاَبۡصَارِهِمۡ لَمَّا سَمِعُوا الذِّکۡرَ وَ یَقُوۡلُوۡنَ اِنَّهٗ لَمَجۡنُوۡنٌ
আর কাফিররা যখন কুরআন শোনে তখন তারা যেন তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দ্বারা আপনাকে আছড়ে ফেলবে এবং বলে, এ তো এক পাগল।
(কলাম ৫১)
আবু হুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ তোমরা সাতটি ধ্বংসকারী বস্তু হতে বেঁচে থাক। সাহাবাগণ বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! সেগুলি কি? তিনি উত্তরে বলেনঃ (১) আল্লাহর সাথে শরীক করা, (২) যাদু করা (৩) হক পন্থা ব্যতীত কোন ব্যক্তিকে হত্যা করা, (৪) সুদ খাওয়া, (৫) ইয়াতীমের মাল খাওয়া, (৬) যুদ্ধের ময়দান হতে পলায়ন করা ও (৭) স্বতী-স্বাধবী, সরলা মুমিন নারীর প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেয়া। (বুখারীঃ ৫/৩৯৩ ফাতহ সহ ও মুসলিমঃ ২/৮৩)
ইমরান বিন হুসাইন (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তার বর্ণনায় বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি কুলক্ষণ নির্ণয় করল আর যার জন্য তা নির্ণয় করা হলো, যে গণকগিরি করল আর যার জন্য করা হলো এবং যে যাদু করল আর যার জন্য যাদু করা হলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। আর যে গণকের নিকট এলো অতঃপর সে যা বলল তা বিশ্বাস করল, সে যা কিছু মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর উপর অবতীর্ণ হয়েছে তার প্রতি কুফরী করল।”
আবু মূসা আশআরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ “সর্বদা মদ পানকারী, যাদুতে বিশ্বাসী (অর্থাৎ বিশ্বাস করে যে, যাদুই সরাসরি প্রভাব ফেলে, আল্লাহর নির্ধারিত তাকদীর বা ভাগ্য ও তার ইচ্ছার কারণে নয় ) ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।” এই হাদীসটিকে সহীহ ইবনে হিব্বান বর্ণনা করেন, শায়খ আলবানী হাসান বলেছেন।
সাব্যস্ত বিষয়ঃ যাদু নিজেই প্রভাব ফেলে থাকে এমন বিশ্বাস করা হতে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিষেধ করেন। মুমিনদের বিশ্বাস রাখতে হবে যে, যাদু বা অন্য কিছুতে কোন ক্ষতি করতে পারেনা; বরং তা আল্লাহর ইচ্ছায় ও তা তার লিখে রাখার কারণে হয়ে থাকে। যেমনঃ আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
وَمَا هُمْ بِضَارِّينَ بِهِ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ
অর্থাৎ “আর তারা তার দ্বারা কোন ক্ষতি করতে পারে না আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত।” (তবে যাদু বা অন্য কিছু আল্লাহর লিখনীর ফলে কারণ সাব্যস্ত হয়ে থাকে) (সূরা বাকারাঃ ১০২)
যে ব্যক্তি জ্যোতিষী, যাদুকর বা গণকের নিকট আসল তারপর সে যা বলে তা বিশ্বাস করল, তবে অবশ্যই সে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তার কুফুরী করল।” (তারগীবঃ ৪/৫৩)
সাফিয়া বিনতে হুয়াই (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ “নিশ্চয়ই শয়তান মানুষের শরীরে রক্তের মত চলাচল করে।” (বুখারীঃ ৪/২৮২ ফাতহ সহ, মুসলিমঃ ১৪/১৫৫ নববীসহ)
আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ যুৱাইক বংশের লাবীদ ইবনে আ’সাম নামে এক ব্যক্তি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে যাদু করে যার পরিণামে আল্লাহ রাসূলের কাছে মনে হয় যে, কোন কাজ করেছেন অথচ তিনি সেটি করেননি। অতঃপর একদিন অথবা এক রাতে তিনি আমার কাছে ছিলেন তিনি প্রার্থনার পর প্রার্থনা করলেন অতঃপর তিনি বললেনঃ হে আয়েশা! তুমি কি জান যে, আল্লাহ তায়ালা আমার সেই বিষয় সমস্যার সমাধান করেছেন যে বিষয়ে আমি সমাধান চেয়েছিলাম? আমার কাছে দুই ব্যক্তি আসলেন তাদের একজন আমার মাথার কাছে এবং অপরজন পায়ের কাছে বসলেন। অতঃপর তাদের একজন অপর জনকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ
দ্বিতীয়জন উত্তরে বললেনঃ লোকটিকে যাদু করা হয়েছে।
প্রথম ব্যক্তি বললেনঃ কে যাদু করেছে?
দ্বিতীয়জন বললেনঃ লাবীদ বিন আসাম।
প্রথমজন জিজ্ঞাসা করলেনঃ কি দিয়ে যাদু করেছে?
দ্বিতীয়জন বললেনঃ চিরুনী, মাথা বা দাড়ির চুল ও পুরুষ খেজুর গাছের মোচার খোসা দ্বারা।
প্রথমজন বলেনঃ তা কোথায়? দ্বিতীয়জন বলেনঃ জারওয়ান কূপে।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উক্ত কূপে সাহাবাদের কতিপয়কে নিয়ে হাজির হন। তিনি বলেনঃ হে আয়েশা কূপের পানি যেন মেহদী মিশ্রিত এবং কূপের পার্শ্বের খেজুর গাছের মাথাগুলি যেন শয়তানদের মাথা। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কেন আপনি তা বের করে ফেললেন না? তিনি বলেনঃ আল্লাহ আমাকে আরোগ্য দিয়েছেন, তাই আমি অপছন্দ করি যে খারাপ বিষয়টি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিব। পরিশেষে উক্ত যাদুকে ঢেকে ফেলার আদেশ হয়। (বুখারীঃ ১০/২২২ ফাতহসহ ও মুসলিমঃ ১৪/১৭৪ নববীসহ)
হাদীসের ব্যাখ্যাঃ ইয়াহুদী জাতি (আল্লাহ তাদের প্রতি লা’নত করুন) তাদের সর্বশেষ যাদুকর লাবীদ ইবনে আসামের সাথে একমত হয় যে, সে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রতি যাদু করবে আর তারা তাকে তিন দিনার প্রদান করবে। যার ফলে এই বদবখত নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কতিপয় চুলের উপর যাদু করে। বলা হয়ে থাকে একজন ছোট বালিকা যার নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঘরে যাতায়াত ছিল তার মাধ্যমে সে উক্ত চুল অর্জন করে এবং সে চুলগুলিতে তার জন্য যাদু করতঃ গিরা দেয় আর এ যাদু রেখে দেয় জারওয়ান নামক কূপে।
হাদীসের সকল বর্ণনা অনুপাতে বুঝা যায় যে, এ যাদু স্বামী-স্ত্রী কেন্দ্রিক যাদু ছিল, যার ফলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর এমন ধারণা হতে যে, তিনি তার কোন স্ত্রীর সাথে সহবাসে লিপ্ত হবেন; কিন্তু যখন তার নিকটবতী হতেন তখন তা আর সম্ভব হতো না। এ যাদু তার জ্ঞান, আচার-আচরণ বা তার কার্যক্রমে কোন প্রভাব বিস্তার করেনি; বরং যা উল্লেখ করা হয়েছে সে ক্ষেত্রেই ক্রিয়াশীল ছিল ।
এ যাদু কতদিন ক্রিয়াশীল ছিল তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেন ৪০ দিন কেউ অন্যমত পোষণ করেন। (আল্লাহ তায়ালাই অধিক জ্ঞাত)। এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) স্বীয় রবের নিকট কাকুতি মিনতি করে দু’আ করতে থাকেন। যার ফলে আল্লাহ তায়ালা তার দু’আ কবুল করে দু’জন ফেরেশতা প্রেরণ করেন। একজন তার শিয়রে বসেন, অন্যজন বসেন তার পায়ের পার্শ্বে। অতঃপর একজন অপরজনকে বলেনঃ তার কি হয়েছে? অপরজন উত্তর দেন তিনি যাদুগ্রস্ত। প্রথমজন বলেনঃ কে যাদু করেছে? দ্বিতীয়জন বলেনঃ লাবীদ ইবনে আ’সাম ইয়াহুদী। অতঃপর তিনি (ফেরেশতা) বর্ণনা দিলেন যে, সে চিরনী ও নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কতিপয চুলে যাদু করে, তা পুরুষ খেজুর গাছের মোচার খোলে রাখে, যেন তা কঠিনভাবে ক্রিয়াশীল হয়। অতঃপর সে তা জারওয়ান নামক কূপে পাথরের নিচে পুতে দেয়। এরপর যখন উভয় ফেরেশতা দ্বারা নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অবস্থার রহস্যের
উদঘাটন হয়ে গেল নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তখন তা বের করে পুতে ফেলার নির্দেশ দেন। কোন কোন বর্ণনায় রয়েছে তা জ্বালিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন।
হাদীসের সমস্ত বর্ণনার ভিত্তিতে ফুটে ওঠে যে, উক্ত ইয়াহুদী নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বিরুদ্ধে মারাত্মক আকারের যাদুর আশ্রয় নিয়েছিল। যার উদ্দেশ্য ছিল তাকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হত্যা করা। আর সর্বজন বিদিত যে, হত্যা করারও যাদু হয়ে থাকে; কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাকে তাদের চক্রান্ত হতে রক্ষা করেন। যার ফলে তাকে সর্ব নিম্নস্তরের যাদুতে পরিণত করে দেন। আর এটিই হলো আল্লাহর
হেফাযত।
উপরুক্ত হাদিস ও কোরানের আয়াত দ্বারা বুঝা যায় , জাদুর অস্তিত্ব সত্য ও যারা জাদু করবে, তারা কুফরী করলো, যারা জাদুকর এর কাছে গেলো , জাদু করার জন্য বা যাদুর মাধ্যেম জাদু কাটাতে তারা ও কুফরী করলো। আমাদের দেশের অনেক হুজুর দরবেশ জীন হুজুর, কবিরাজ তান্ত্রিক ফকির বৈদ্য এমাম সাহেব অমুক মাদ্রসার মুফতি সাহেব জাদুর মাধ্যমে জাদুর চিকিৎসা করে কুফরী করে ফেলে।
এতে টাকা ও নষ্ট হয় এন্ড ঈমান ও নষ্ট হয়। মূলত সঠিক ট্রিটমেন্ট প্রদ্ধতি না জানার কারণে এমন সমস্যা হয়।
রুকইয়াহ ই একমাত্র সঠিক ও যথার্ত ট্রিটমেন্ট।
রুকইয়াহ করার আগে যে প্রশ্ন গুলো জানা আবশ্যিক
১.রুকইয়াহ কী?
রুকইয়াহ শব্দের অর্থ ঝাড়ফুঁক ।
রুকইয়াহ শারঈয়াহ বা ইসলামিক এক্সোরসিজম বলতে বুঝায় কুরআনের আয়াত, হাদিসে বর্ণিত দোয়া, আল্লাহর গুনবাচক নাম বা জায়েজ দোয়া পড়ে প্যারানরমাল সমস্যা যেমন বদনজর, কালোযাদু, জ্বিনের সমস্যা ও শারীরিক মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর সাহায্য চাওয় বা প্রার্থনা করা।
এখানে রাকী বা চিকিৎসকের কোন ক্ষমতা নাই আরোগ্য করার, একমাত্র আল্লাহ ই পারে মানুষ কে সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে।
রাকি শুধু দোয়া করবে এবং আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার মাধ্যমে সুস্হতার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
সুস্থ হওয়ার জন্য আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করতে হবে এবং রাকির দেওয়া পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
২.সেলফ রুকইয়াহ কী?
উঃ রাকীকে দিযে রুকইযাহ করানো ছাড়া নিজে নিজেও রুকইযাহ করা যায় আর এটাকেই সেলফ রুকইয়াহ বলে
৩.আমি আগে কবিরাজ দেখিয়েছি, এখন আগের তদবিরের সাথে রুকইয়াহ করতে পারব?
উত্তরঃ না। আগের কবিরাজ, তাত্রিক, জিনহুজুর ইত্যাদির কাছে যাওয়ার জন্য তওবা করে আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে,
তদবিরের জিনিসপত্র নষ্ট করে এরপর রুকইয়াহ শুরু করবেন।
৪. কবিরাজের চিকিৎসা করলে কি দীর্ঘ মেয়াদি সুস্থ হয়?
না. কবিরাজে যাদু কেটে দিলো, ১৫ দিন বা একমাস পর আবার যাদু রিনিউ হলো, এভাবে একজনের কাছ থেকে গ্রতি মাসে টাকা নিতে থাকে। কিন্তু রুকইয়াহতে কিছু আয়াত আছে, যেগুলো রাকি পড়লে এ জনে যাদু করার শক্তি আল্লাহ ধ্বংস করে দেয় । তখন বারবার যাদু করতে পারে না।
৫. রাকিরা কি প্রেম ভালোবাসা, মনের আশা, দুঃথ কষ্ট দূর করার তদবীর দেয়ে?
না। রাকিরা ভবিষ্যতের কোন তথ্য দেয় না, হাজিরা দেখে না, প্রেম ভালো বাসা, পছন্দের বিয়ের, মনের আশা
পুরনের তদবির দেয় না। রাকিরা শুধু মাত্র বদনজর, যাদু, জ্বিনের রোগীর সামনে তেলওয়াত করবে, পানি পড়ে খাইতে দিবে, অনেকে মধু কালো জিরা অলিভ অয়েল পড়ে খাইতে দিবে।
৬.রুকইয়াহর কোন বৈধতা আছে? ও –
দেশের আইন অনুযায়ী রুকইয়াহর কোন অনুমতি না দিলেও কুরআন হাদিসে এর অনুমতি পাওয়া যায়। জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মন্ত্র তথা ঝাড়ফুঁক করা হতে নিষেধ করেছেন। (এ নিষেধের পর) ’আমর ইবনু হাযম-এর বংশের কয়েকজন লোক এসে বলল : হে আল্লাহর রসূল! আমাদের কাছে এমন একটি মন্ত্র আছে, যার দ্বারা আমরা বিচ্ছুর দংশনে ঝাড়ফুঁক করে থাকি। অথচ আপনি পড়া হতে নিষেধ করেছেন। অতঃপর তারা মন্ত্রটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পড়ে শুনাল। তখন তিনি বললেনঃ আমি তো এটার মধ্যে দোষের কিছু দেখছি না। অতএব, তোমাদের যে কেউ নিজের কোন ভাইয়ের কোন উপকার করতে পারে, সে যেন অবশ্যই তার উপকার করে। (মুসলিম)[1]
সহীহ : মুসলিম (২১৯৯)-৬৩, আহমাদ ১৪৩৮২, মা‘রিফাতুস্ সুনান লিল বায়হাক্বী ৫৯৫৪, আল জামি‘উস্ সগীর ১০৯৬৩, সহীহুল জামি‘ ৬০১৬৯, আস্ সুনানুস্ সুগরা ৪২৮৮, বায়হাক্বী’র কুবরা ২০০৭৯, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৪৮২।
৭. রাকিরা কি জ্বিন দিয়ে কাজ করে? জ্বিন হাজির দেখে? তাবিজ দেয়?
না, এসব কবিরাজদের কাজ।
রাকিরা এসব কিছু করে না, এখানে রাকিদের কোন ক্ষমতা নাই।.
জিন হাজির অনেক সময় হয় / অনেকের হয় না, অনেক সময় ইফেক্ট হয়/অনেক সময় হয় না, তবে সবাই কমবেশি উপকার পায়।
৮.সুস্থ হওয়ার জন্য কি করতে হবে?
৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া , হালাল রিজিক,পর্দা করা, গান বাজনা ও তাবিজ বর্জন এবং রাকির দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী আমল করবেন, মাসনুন আমল একাদিন ও বাদ দেওয়া যাবে না। রুকইয়াহতে সুস্থ হবে ইংশাল্লাহ ,অনেকের সেশন কম লাগে, অনেকের বেশি লাগে। তবে পরামর্শ অনুযায়ী সেলফ রুকইয়াহ করার চেষ্টা করবেন, এতে সেশন কম লাগবে।
সমস্যা বাড়লে বা কমলে অবশ্যই রাকি কে আপডেট জানাতে হবে,
৯.কোন রাকির কাছে সুস্থ হলে সে কি বুজুর্গ বা কামেল?
না, রাকির সুস্থ করার ক্ষমতা নাই, সুস্থ করে আল্লাহ ৷ রাকি দোয়া চেষ্টা করতে পারে শুধুমাত্র ৷
১০.সুস্থ হতে কত দিন সময় লাগে? সমস্যা ভাল হতে কতদিন রুকইয়াহ করা লাগবে?
উত্তরঃ প্রথমত, পৃথিবীর কোন রোগের ক্ষেত্রেই এটা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব না, এটা আল্লাহই ভাল জানেন। আল্লাহ
যতদিন চাইবেন ততদিন লাগবে । তবে অভিজ্ঞতার আলোকে বললে , সমস্যার দৈর্ঘ-প্রন্থ-গভীরতা অনুযায়ী সময় কম
বেশি লাগে ৷ ভালোভাবে রুকইয়াহ করলে বদনজরের ক্ষেত্রে ১ সপ্তাহ থেকে এক মাস পর্যন্ত লাগতে পারে।
শুধু জ্বিনের আসর হলে: এক থেকে সাতদিন লাগে, সমস্যা বেশি হলে কয়েকমাস পর্যন্ত লাগতে পারে। জাদুর ক্ষেত্রে
এভাবে বলা যায় না, তবে বারবার জাদু না করলে বা জাদুর সাথে জ্বিন জড়িত না থাকলে এক সপ্তাহ থেকে থেকে
চার মাস পর্যন্ত লাগতে পারে। তবে যদি জাদুর কারণে জ্বিন ভর করে কিংবা বারবার জাদু করতে থাকে তাহলে বিষয়টা জটিল হয়ে যায়, তখন সময় বলা একদমই সম্ভব না। তবে কিছুদিন ভালভাবে রুকইয়াহ করার পর সমস্যা
নিয়ন্ত্রণে চলে আসে ৷ আরেকটা বিষয়, কারও কারও ক্ষেত্রে আল্লাহর ইচ্ছায় আজীবন কিছু সমস্যা থেকে যায়। সম্পূর্ণ
ভাল হয় না৷ এক্ষেত্রে রোগী এবং তার পরিবার যদি কোন নাজায়েজ বা কুফরি জাদুর সহযোগিতা না নেয়, বিপদে সবর করে, তাহলে আল্লাহ আখিরাতে এর বিনিময়ে ক্ষমা এবং জান্নাত দেবেন।
১১.রুকইয়াহ কেমন বিষয় না?
উত্তরঃ এটা মনের আশা পূরণ, অসাধ্য সাধন কিংবা বশ করার কোন তদবির না, প্রেমে আসক্ত করা জন্য, প্রেমিক/প্রেমিকাকে বিয়ে করিয়ে দেওয়ার বা প্রেমিক ও প্রেমিকার মাঝে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দেওয়া জন্য রুকইয়াহ করা হয় না।
এটা একটা চিকিৎসা পদ্ধতি শুধুমাত্র বদ নজর যাদু বা জিন এর সমস্যার জন্য করা হয়।
১২.আমার আসলেই সমস্যা আছে কি না, এটা কিভাবে বুঝব?
রুকইয়াহ লক্ষণ মিলিয়ে দেখা বা কন্সালটেন্সি করা, প্রয়োজনে রুকইয়াহ ডায়াগনাইসিস করে দেখতে পারেন।
১৩. সেন্টারে আসার সময় ১ বতল পানি আনা বাধ্যতামুলক, জিনের রোগী হলে সুস্থ ২-৩ জন কে সাথে নিয়ে আসবেন। মেয়ে হলে পর্দা করে মারহাম অভিবাবক সাথে নিয়ে আনবেন।
মধু ,কালোজিরা ,অলিভ ওয়েল পারলে আনবেন।
مَا شَاءَ اللَّهُ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ
Ruqyah vs kobirazi
কিভাবে বুঝবেন আপনে রাকির কাছে গিয়েছেন নাকি কবিরাজ/যাদুকরের কাছে গিয়েছেন?
……………………………………………………………………………………………………
কিভাবে বুঝবেন সে যাদুকর /কবিরাজ কিনা?
১. নাম ও মায়ের নাম জানতে চাইবে।
এবং বলবে হজিরা বা ইস্তেখারা করবে।অনেকে জ্বিনের সহায্যে কাজ করে শনি মঙ্গলবার।
২. যদি বলে আপনার কাপড়ের অংশ লাগবে/আন্ডারগার্মেন্টেসের অংশ লাগবে/ চুল লাগবে/ দাড়ি লাগবে/কানের দুলটা/গলার চেইনটা লাগবে/হাতের চুড়ি লাগবে।
৩. যদি সে বলে “একগ্লাস পানি আনেন। আর একটা ছুড়ি আনেন। এবার গ্লাসের পানিতে ছুড়ি চালান।” আপনি চালাবেন আর আপনার মনে হবে আপনি ছুড়ি পানিতে না গোশতের মধ্যে চালাচ্ছেন।
৪. যদি সে আপনার বাসায় আসে, বসে পড়ে এদিক সেদিক তাকায় আর কি যেন বিড়বিড় করে। সুন্দর সুন্দর কথা বলে কিন্তু সেগুলো কুরআনের আয়াত নয়, হাদীসের দোয়াও নয়।
৫. যদি এমন বলে (সাধারনত মেয়েদের বলে) যে, আপনি যদি সুস্থ হতে চান তাহলে “এই জিনিস”টা আমাকে আপনার গোপন অঙ্গে ঘষতে হবে। যদি সুস্থ হত চান তাহলে আপনার এই এই অঙ্গ আমাকে ধরতে হবে/ আপনাকে উলঙ্গ হতে হবে -ইত্যাদি ইত্যাদি। (নাউজুবিল্লাহ)
৬. যদি বলে যে, এক বোতল পানি আনেন। বোতলটা টেবিলের উপর/ওয়ারড্রোবের উপর রাখুন। অথবা বলে যে, বোতলের মুখ খুলে হাতে রাখুন। আমি যখন বলব তখন সাথে সাথে মুখ লাগিয়ে দিবেন।
৭. যদি বলে যে, এই নেন এই তাবিজটা/কবচটা গলায়/হাতে/কোমড়ে পড়েন। কারণ প্রায় ৯৯% তাবিজেই শিরক, কুফর বিদ্যমান। (যাদের ভ্রুকুঞ্চিত হয়েছে তারা এই লেখাটা পড়তে পারেন ঝাড়ফুঁক জায়েজ তাই তাবিজও জায়েজ? )
৮. যদি বলে, চোখ বন্ধ করুন। কিছু একটা দেখতে পাবেন। যখন দেখতে পাবেন তখনই ধরে ফেলবেন। অথবা বলবে যখনই দেখবেন তখনই দু’হাতে মশা মারার মত করে মারবেন।
৯. আপনারা হয়তো অনেক কবিরাজকে দেখে থাকবেন, যারা বলে গরু লাগবে, মুরগি লাগবে, ছাগল লাগবে তাহলে আপনার কাজ হবে। তাদের অনেকে নিজে এসব শয়তানের নামে বলি দেয়, আর অনেকে বলে “জবাই করার পর রক্তটা দিবেন।” তাঁরা এই রক্ত শয়তানের উপাসনায় ব্যবহার করে। যাদুবিদ্যায় বিভিন্ন মৃত প্রাণীর রক্ত ব্যবহার করা খুবই কমন ব্যাপার।
বাংলাদেশের কবিরাজ/হুজুররা আরও কিছু কাজ করে থাকে যেমনঃ
১। কাপড় মাপে, কাপড় ছোট বড় করে দেখায়। একই ভাবে হাত মেপে হাত ছোট বড় দেখায়।
২। মুখে দেখেই অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের কথা বলে এবং কিছু কিছু মিলেও যায়।
৩। জ্যোতিষিদের মত হাত দেখে। হাজিরা দেখে, ইস্তেখরার কথা বলে মানুষ কে ইস্তেখরার অপব্যাখা দেয়।
৪। কোন কিছু পুতে রাখার জন্য বলে।
৫। জ্বিন বোতলে বন্দি করে রেখেছে, জ্বিনকে অমুক জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছে, জ্বিন রক্তে মিশে গেছে -এই জাতীয় উদ্ভট কথা বলে।
৬। কবিরাজদের একদল নিজের নামের শেষ “শাজলী” যোগ করে। ওরা বলে “সাহাবি জিন” নাকি ওদের খেদমত করে।
৭। সাত ঘাটের পানি লাগবে, অমুক জায়গায় মাটি লাগবে ইত্যাদি অর্থহীন কাজ করবে।
৮। অন্য জনের উপর জ্বিন হাজির করে তাকে দিয়ে কথা বলাবে ।
৯। শনিবারে যেতে হবে, মঙ্গলবার যেতে হবে, মাগরিবের পর যেতে হবে -ইত্যাদি অনর্থক শর্ত আরোপ করবে।
১০। নির্দিষ্ট জিনিস খাওয়া নিষেধ করতে পারেন। যেমন,কলা খাওয়া নিষেধ, গোশত খাওয়া যাবে যাবে না- খেলে ওষুধ কাজ করবে না। অন্যকোন ওষুধ খাওয়া যাবে না -ইত্যাদি বলতে পারে।
১১। তুলা রাশির লোক লাগবে -এসব বলতে পারে।
১২. জ্বিনের বাদশা বা জ্বিন হুজুর বা জ্বিনের সাহায্যে কাজ করে।
১৩. মন্ত্র পড়বে তাও চুপে চুপে শব্দ না করে, বা জোরে দোয়া পড়বে আস্তে আস্তে মন্ত্র পড়বে যেন আপনে বুঝতে না পারেন।
গোপন অঙ্গে টার্স করতে চাইবে, অনেকে ভিডিও কলে উলঙ্গ করে ঝড়বে, ছবি চাইবে, গোপন ছবি চাইবে।
১৪. সরিষার তেল পড়া, সুতা পড়া বালু পড়া তাবিজ কবজ দিবে, আসনে বসে কাজ করবে।
জিনের মাধ্যমে কাজ করবে।
১৫. প্রেম ভালোবাসার তাবিজ দিবে বা বশিকরন করবে।
১৬. এমন অরুচিকর কাজ করবে বা কিছু করতে বলবে বা খাইতে দিবে যেটা আপনার জন্য কষ্টকর এবং অন্যদের কাছে বলতে লজ্জা বোধ করবেন ।নন মাহরাম নারীদের গায়ে টার্চ করবে, খারাপ নজবে তাকাবে।
১৭. পুতুল দিয়ে বান মারার কাজ করে বা মন্ত্র পড়ে নামের ও মায়ের নামের উপর চালান করে।
মানুষ বা প্রাণীর হাড্ডি, কবরের মাটি, শশানের কয়লা, মন্দিরের মাটি, লাসের কাপর ফাসির দড়ি, গুকরের দাত, হরিনের চামড়া, বানিয়া দোকানে পাওয়া যায় এমন জিনিস ব্যবহার করবে।
১৮. যদি জিগ্যাস করবেন কোথায় কাজ শিখেছেন, বলবে অমুক পীর, ফকির হুজুর বা গুরুর কাছে। ১০-১৫ মিনি
টের বেশি ঝাড়ে না।
কিভাবে বুঝবেন সে রাকি কিনা?
১.রাকির চেম্বারে গেলে অন্য রোগীর অপেক্ষা করার চিত্র দেখবেন না। কিন্তুু কবিরাজের কাছে গেলে দেখবেন কয়েজন একই টাইমে চিকিৎসারর জন্য গেছে।
২.আর রাকিরা কয়েক ঘন্টা তেলওয়াত করবে কুরআনের আয়াত, হাদিসের দোয়া এবং জায়েজ দোয়া উচ্ছ আওয়াজে, যাহার অর্থ বুঝা যায় এবং স্পষ্ট। কিন্তু কবিরাজ ৫ মিনিটে মন্ত্র পড়ে চিকিৎসা করবে।
৩ রাকিরা পানি পড়া, মধু পড়া, অলিভ। ওয়েল, কালোজিরা বা কালোজিরার তেল পড়ে দিবে।
ব্যতিক্রম কিছু রাকি বুমি করাবে, সোনাপাতা খেতে বলতে পারে বা হিজামা করার পরামর্শ দিবে, খেজুর খেতে বলতে পারে।
৪. বরইপাতার গোসল, মাসনুন আমল, রুকইয়াহ আয়াত, কুরআনের সূরা বা আয়াত পড়তে দিবে বা অডিও শুনতে দিবে।
৪. রাকিরা তাবিজ ও সরিষার তেল পড়ে দিবে না, অলিভ ওয়েল সাজেস্ট করবে।
প্রেম ভালো বাসার তাবিজ বা তদবীর দিবে না, হারাম কোন কাজ করবে না, পর্দা রক্ষ করবে ও আপনার দিকে বার বার খারাপ দৃষ্টিতে তাকাবে না, জ্বিনের সাহায্য নিবে না, ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে এবং আপনাকে পড়তে বলবে, মারহাম অভিভাবক সাথে নিয়ে যেতে বলবে।
৫. রাক্কির চেম্বারে গেলে দেখবেন সাউন্ডসিস্টেমের ব্যবস্হা আছে যাহা কবিরাজরা ব্যবহার করে না। তবে হোম সার্ভিসের ক্ষেত্রে ভিন্ন বিষয় ।
৬. রাকিরা হাজিরা বা ইস্তেখারার নামে ভন্ডামি করে না, জ্বিনের সাহায্য নিয়ে শিিরক করে না, আল্লাহর সাহায্য নেয়।
কন্সালটেন্সি বা ডায়াগোনাইসিস করে সমস্যা নির্নয় করে। আপনার সমস্যা জিগ্যাস করবে বিন্তারিত জানবে ।
কিন্তুু কবিরাজরা আপনার নাম ও মায়ের নাম বলার সাথে সাথে আপনার ইতিহাস শুনার আগেই আপনার সমস্যা বলে দিবে কারিন জ্বিনের সাহায্যে।
তাবিজ সম্পর্কে হাদিস
باب فِي تَعْلِيقِ التَّمَائِمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ الْجَزَّارِ، عَنِ ابْنِ أَخِي، زَيْنَبَ امْرَأَةِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ زَيْنَبَ، امْرَأَةِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” إِنَّ الرُّقَى وَالتَّمَائِمَ وَالتِّوَلَةَ شِرْكٌ ” . قَالَتْ قُلْتُ لِمَ تَقُولُ هَذَا وَاللَّهِ لَقَدْ كَانَتْ عَيْنِي تَقْذِفُ وَكُنْتُ أَخْتَلِفُ إِلَى فُلاَنٍ الْيَهُودِيِّ يَرْقِينِي فَإِذَا رَقَانِي سَكَنَتْ . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ إِنَّمَا ذَاكِ عَمَلُ الشَّيْطَانِ كَانَ يَنْخَسُهَا بِيَدِهِ فَإِذَا رَقَاهَا كَفَّ عَنْهَا إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكِ أَنْ تَقُولِي كَمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا ” .
মুহাম্মাদ ইবন আলা (রহঃ) …. আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ মন্ত্র, তাবিজ ও তাওলা১ করা শিরক। একথা শুনে যয়নব (রাঃ) বলেনঃ তুমি এ কি বলছ, আল্লাহর শপথ! আমার চোখে ব্যথা হলে আমি একজন ইয়াহূদীর কাছে যেতাম, যে মন্ত্র পাঠের পর আমার চোখে ফুঁ দিলে ব্যথার উপশম হতো। তখন আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেনঃ এতো শয়তানের অপকর্ম ছিল, যে তার হাত দিয়ে চোখে ব্যথা দিত। আর যখন ঐ ইয়াহূদী তাতে ফুঁ দিত, তখন সে বিরত থাকতো। তোমার জন্য তা-ই পাঠ করা উচিত ছিল, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করতেন। আর তা হলোঃ হে মানব জাতির রব! যন্ত্রণা দূর করে দিন, আরোগ্য দান করুন, আপনিই আরোগ্যদাতা, আপনার দেয়া নিরাময়ই যথার্থ নিরাময়, যার পরে আর কোন রোগ বাকী থাকে না।
তাবিজ যে সমস্যা বাড়ায় সে সম্পর্কে হাদিস
بَاب تَعْلِيقِ التَّمَائِمِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي الْخَصِيبِ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مُبَارَكٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَأَى رَجُلاً فِي يَدِهِ حَلْقَةٌ مِنْ صُفْرٍ فَقَالَ ” مَا هَذِهِ الْحَلْقَةُ ” . قَالَ هَذِهِ مِنَ الْوَاهِنَةِ . قَالَ ” انْزِعْهَا فَإِنَّهَا لاَ تَزِيدُكَ إِلاَّ وَهْنًا ” .
২/৩৫৩১। ইমরান ইবনুল হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তির হাতে পিতলের বালা পরিহিত দেখে জিজ্ঞেস করেনঃ এই বালাটা কী? সে বললো, এটা অবসন্নতা জনিত রোগের জন্য ধারণ করেছি। তিনি বলেনঃ এটা খুলে ফেলো। অন্যথায় তা তোমার অবসন্নতা বৃদ্ধিই করবে।
কিছু আলেমের মতে তাবিজ জায়েজ যদি কোরানের আয়াত হয় , কিন্তু জয়েজ হলে ও নাপাক লাগলে উল্টা কাজ করে, জীন তাড়ানোর তাবিজে নাপাক লাগলে বা মহিলাদের অপবিত্র সময় মনের অজান্তে হাত লাগলে উল্টা কাজ করে, তখন জীন তাড়ানোর বদলে জীন এসে দেহে বাসা বাধে, যাহা কবিরাজ ও বুজতে পারে না, ওই সব কবিরাজদের ক রুকিয়াহ করলেও তাদের শরীরে জিনের অস্তিত্ব পাওয়া যাবে, যদিও আমরা তাদের বড় হুজুর মনে করি।
আল্লাহ যেন আমাদের বুঝার ও আমল করার তওফিক দেন করুক, আমীন।
রুকইয়াহ করার নিয়ত করার পর শয়তানের বাধা ও ধোঁকা
যক্ষন ডাক্তার বলে, রোগীর রক্ত লাগবে বা অপারেশন লাগবে।
রোগী বা আত্মীয়রা বলে দ্রুত অপারেশন বা রক্তের ব্যবস্হা করেন, আলোচনা করার সময় নাই, যত টাকা লাগবে জমি বিক্রয় করে হলেও দিবো।
যখন কোন রোগী জীন যাদুর রোগী রুকইয়াহ করার জন্য রাক্কীর সাথে যোগাযোগ করে, তখন বলে বাসার সবার সাথে আলোচনা করে নেই। আসলে যাদের ওয়াসওয়াসার সমস্যা আছে তারা এ ধরনের কথা বলে। বাসার এক এক জন এক এক বিশ্বাসের হয়ে থাকে, অধিকাংশ রুকইয়াহ সম্পর্কে জানে না, মতামত দেয় কবিরাজের কাছে যাওয়ার জন্য। শয়তান সুযোগ নিয়ে সবার মতামত কবিরাজের দিকে নিয়ে যায় ওয়াসওয়াসার দিয়ে। কারন সে জানে রাক্কীর কাছে গেলে জীনের অবস্হ খারাপ হয়ে যাবে।অনেকে ১ বার রুকইয়াহ করার পর আর কন্টিনিউ করতে দেয় না। তখন নানা কুচিন্তা মাথায় ঢুকিয়ে দেয়। রুকইয়াহ করলে কি আসলে সুস্হ হয়? গেরান্টি আছে? খরচ বেশি মনে হয়, নিজে নিজে আমল করলে হয়, একজন মসজিদের হুজুর দেখাবো কম খরচে, রাক্কী অনভিজ্ঞ ইত্যাদি। ( ব্যাখা ★বার বর কবিরাজ দেখিয়ে ব্যর্থ হলে রুকইয়াহ করে সুস্হ হয়েছে বহু লোক, ইদানিং কবিরাজরা ও রাকির কাছে তাদের পরিবারকে রুকইয়াহ করায়।
রুকইয়াহ’তে জ্বীনের বাধা
খুব কম সংখ্যক পেশেন্ট রুকইয়াহ করতে পারেন। শয়তান একেরপর এক বিভিন্ন রকমের বাধা প্রদান করে। শয়তানের এই খেলা বুঝতে হবে। তাই যারাই রুকইয়াহ করবেন ভাবছেন শক্তভাবে হিম্মত করে নেমে যান..!
১— এপয়েটমেন্ট নেয়ার পর প্রচুর অস্বস্তি লাগা। অকারণে মেজাজ খিটখিটে লাগা। দূর্বল লাগা।
২— এপয়েটমেন্ট নেয়ার পর প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে যাওয়া। শিডিউল নেয়ার পর কিছু পেশেন্টকে জ্বীন প্রচন্ড অসুস্থ করে দেয়, এটা অনেকেই বুঝতে না পেরে মেডিকেল চিকিৎসা নেয়, আর রুকইয়াহ শিডিউল ক্যানসেল করে দেয়।
৩— এপয়েটমেন্ট নেয়ার পর পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে যাওয়া।
৪— প্রচুর দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগা; কিছু পেশেন্ট শিডিউল নেয়ার পর প্রচুর দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন যে রুকইয়াহর জন্য আসবে নাকি আসবে না।
৫— সুস্থ অনুভব করা; কিছু পেশেন্ট শিডিউল নেয়ার পর পুরোপুরি সুস্থতা অনুভব করেন।
৬— রুকইয়াহর জন্য টাকা রাখতে না পারা; রাখলেও কোনো না কোনোভাবে খরচ হয়ে যায়।
৭— শিডিউল নিবে নিবে ভেবেও শিডিউল নিতে না পারা।
৮— শিডিউল নেওয়া পর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝামেলা ও ঝগড়াঝাঁটি লেগে যাওয়া।
৯— এমন অনুভব করা যে – মনে মনে কেউ যেন বলছে রুকইয়াহ করে সুস্থ হবি না। রুকইয়াহ ভুয়া, রাকি ভুয়া।
১০— জ্বীন রোগীকে মেরে ফেলার ভয় দেখায়; মনে মনে বলে যে রাস্তায় তোকে গাড়ি থেকে ফেলে দিব, প্যারালাইজড বানিয়ে ফেলবো ইত্যাদি। অথচ কিছু ই করতে পারবেনা ইনশাআল্লাহ।
১১— প্রচুর পরিমাণে অজানা ও আত্মহত্যা বা গাড়ি থেকে পড়ে যাওয়ার ভয় হওয়া।
১২— অনেকের ক্ষেত্রে রোগীর মনে জ্বীন শয়তান রাকির ব্যপারে সন্দেহ সৃষ্টি করে।
১৩— কারো ক্ষেত্রে জ্বীন শয়তান রোগীকে অনভিজ্ঞ রাকি বা কবিরাজের কাছে যেতে বলে।
১৪— সেলফ রুকইয়াহ’র ক্ষেত্রে জ্বীন রোগীকে একেরপর এক বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখে। এমনকি খুব সাধারণ কাজে যা না করলেও তেমন সমস্যা নেই।
১৫— হঠাৎ ফোন থেকে রুকইয়াহ ডিলিট হয়ে যাওয়া। জ্বীন শয়তান ডিলিট করে দেয় যেন রুকইয়াহ না করতে পারে।
১৬— জ্বীন শয়তান রোগীর মনে নানারকম কথাবার্তা, অযথা প্রশ্ন মনে করিয়ে দেয় যেন রাকিকে প্রচুর মেসেজ দেয় আর রাকি বিরক্ত হয়ে ব্লক মেরে দেয় এবং সাজেশন না দেয়।
১৭— রোগীর মনে এমন প্রশ্ন ও কথাবার্তা মনে করিয়ে দেয় এবং তা মেসেজ করে যেন রাকী ও রোগীর মাঝে ঝগড়া সৃষ্টি হয়, রাকি কষ্ট পায় এবং সাজেশন না দেয়।
১৮— প্রায়ই ইয়ারফোন নষ্ট হয়ে যাওয়া।
১৯— পরিবারের লোকজনের মনে ওয়াসওয়াসা দিয়ে রুকইয়ার প্রতি অনিহা ও অবিশ্বাস তৈরি করে যেন রোগীকে সাপোর্ট না দেয়।
এছাড়া আরো অনেক অনেক এমন অপকৌশল অবলম্বন করে। এগুলো অবশ্যই রোগী কে বুঝতে হবে। এইগুলো না বুঝলে জ্বীন শয়তানের সাথে যুদ্ধ করে পেরে উঠতে পারবেন না।
#cp
★ মুসলমানদের পাশাপাশি অমুসলিমরা ও রুকইয়াহ করার প্রতি আগ্রহী।
★ আন্যন্য চিকিৎসার তুলনায় রুকইয়াহর খরচ কম, অনেকে কবিরাজ ও ডাক্তার দেখিছে আসছে বছরের পর বছর, জায়গা জমি বিক্রয় করে এখন পথের ফকির, রুকইয়াহ করতে এসে এমন ঘটনা কাহারো ঘটে নি। জটিল রোগী ছাড়া ৯০-৯৫ % রোগী ২-৩ টা সেশনের মধ্যে সুস্হ হয়েছে এবং দীর্ঘ দিন কাহারো কাছে যাওয়া লাগে নি,কিন্তু এককালে তারা প্রতি মাসে কবিরাজের কাছে দুই একবার যেতো।
★ গেরান্টি দেওয়ার মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ, তিনি সৃষ্টি করেছে, এবং তিনি জানে কে কবে সুস্হ হবে কত দিন বাঁচবে।
আল্লাহ ছাড়া কাহারও এই অধিকার নাই। যারা গেরান্টি তালাশ করবে তারা শয়তানের ধোকার মধ্যে আছে। যারা গেরান্টি দিবে, তারা তো মিথ্যাবাদি এবং প্রতারক, কারন সে আল্লাহর একচেটিয়া অধিকার কে নিজের ক্ষমতা বলে দাবি করছে, সে নিজেও জানেনা কবে সে মারা যাবে, অন্যের গেরান্টি কিভাবে দেয়?
★ নিজে নিজে আমল করা ভালো, তবে আক্রান্ত হওয়ার পর নিজে আমল করলে তেমন কাজ হয় না, অনেকের সমস্যা বাড়ে। অনেকে দীর্ঘদিন ধরে আমল অজিফা করে আসছে, তার জানা মতে সে সুস্হ, কিন্তু রুকইয়াহ/ ডায়াগনোসিস করার সময় তার জীন বা যাদুর সমস্যা প্রকাশ পেয়েছে এবং সে নিজে তার সমস্যা নিজের চোখে উপলব্ধি করতে পেরেছে।
★ মসজিদের হুজুরদের চবকিৎসা আর প্রফেশনাল রাক্কীদের চিকিৎসার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে।
কিছু কিছু লোক সুস্হ হতে পারে, তবে দুষ্ট কোন জিনের চিকিৎসা করতে গেলে পরিবারের উপর হুমকি আসতে পারে। এক ইমাম সাহেব নিজ স্ত্রী কে ঝাড়ফু করেছে, পরবর্তীতে স্ত্রী সুস্হ হয়েছে ঠিকই কিন্তু সে প্যারালাইসিস হয়ে শুকিয়ে মৃত্যুর মুখে পড়েছে।
★ অনেকে বলে আমাকে ভালো করে দিন, বা আপনি কি আমাকে সুস্হ করতে পারবেন?
এই কথার মধ্যে শিরক বিদ্যমান,
রাক্কী সুধু সমস্যার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবে এবং প্রেসকিপশন দিবে।
আপনার কাজ তা ফলো করার।
সুস্হ করার মালিক আল্লাহ, রাক্কীর গাইডলাইন মেনে চললে ইনশাআল্লাহ সুস্হ হবেন, ধরেন সুস্হ হলেন না, তখন যদি শিরকি কুফরি পথ অবলম্বন না করে ধৈর্য ধরলেন, মৃত্যুর মুখে পড়লে সৌ়ভাগ্য, কারন কবিরাজের কাছে গিয়ে ইমান নষ্ট করেন নি। প্রতিদান আল্লাহর কাছে পাবেন।
★ রাক্কীর অভিজ্ঞতা বা জ্ঞান থাকা জরুরি, তা হলো রুকইয়াহ সেক্টর সম্পর্ক। রুকইয়াহ বিষয়ে গভির জ্ঞান ও বিশুদ্ধ আকিদা থাকতে হবে। যে সব পদ্ধতি কাহারো জন্য কষ্টকর ও ক্ষতি কর, তা প্র্যকটিস না করাই উত্তম।)
এসব মাথায় ঢুকার পর কবিরাজ দেখায়। ১ টা ফু দিবে, ১৫ দিন ভালো থাকে, পরে আবার সমস্যা শুরু হয়, আবার কবিরাজের কাছে যায়, আবার কাটায়, এভাবে বছরের পর বছর চলতে থাকে। প্রতি মাসে কবিরাজের জন্য ২-৪ হাজার বাজেট রাখে, ঔষধের টাকার মত। কিন্তু এতে যাদু মূল সহ নষ্ট হয় না, জীনের ও ক্ষতি হয় না। পরবর্তীতে জীন যাদু নবায়ন করে।
কিন্তু সে যদি সকল বাধা উপেক্ষা করে রুকইয়াহ করতো কয়েক বার তবে যাদু রিনিউ ও মূল সহ নষ্ট হতো এবং যাদুর কাজে নিয়েজিত জিন ধ্বংস হতো৷ এতে বার বার কবিরাজকে টাকা দেওয়ার প্রয়োজন হতো না এবং কুফরি চিকিৎসা নিয়ে ইমান নষ্ট করার মত কাজ করতে হতো না।
★আপনে যখন বুঝতে পারেন রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন তখন, কারারো সাথে আলোচনা না করেই ডাক্তারের কথা মানলেন, কিন্তু রুকইয়াহ করার জন্য যোগাযোগ করার পর আলোচনা করা টা একটা ধোকা এবং শয়তানের ধোকা দেওয়ার সুযোগ তৈরি।
মনে করেন আপনি বাসায় আলোচনা করবেন,
বাসার ৫ জনের মধ্যে দুই জন
ইসলামের কোন বিধান ই মানে না, নামাজ রোজা কিছু করে না, শিরক কুফরি ও এর ক্ষতি সম্পর্কে অজ্ঞ। রুকইয়াহ সম্পর্কে মোটেও ধারনা নেই, তার সাথে আলোচনা করলে আপনে কোন ধরনের সাজেশন পাবেন? তারা কি রুকইয়াহ করতে মত দিবে নাকি বলবে এটা তোমার মনের সমস্যা?
বাকি সদস্যরা কবিরাজ ভক্ত, তারাও সাজেশন দিবে না রাক্কির কাছে যেতে।
এমন অবস্হায় তাদের সাথে আলোচনা করলে আপনে ও শিরকি কুফরি চিকিৎসা নিয়ে নিজের অজান্তে গুনাহ করে ফেলবেন এবং আখিরাতে আজাব ভোগ করতে হবে।
সুতরাং যেই আলোচনা সঠিক পথ দেখানো থেকে বিরত রাখে এবং গুনাহের দিকে নিয়ে যায়। সেই আলোচনা না করাই উত্তম।
যাদের নিজের ও পরিবারের সদস্যদের → আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস আছে, শিরক কুফরি ভয় পায়, এবং আখিরাতের প্রতি ভয় কাজ করে জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কে এলেম আছে, তারাই কেবল মাত্র রুকইয়াহ করাতে সক্ষম হয়
আল্লাহ যেন বুঝার ও আমল করার তাওফিক দেয়, আমীন।
আদ দুয়া রুকইয়াহ সেন্টার, ঢাকা।
রুকইয়াহ ফি
♦শর্ট সেশন ৭০ মিনিট +(৩০ মিনিট কন্সালটেন্সি।
। খরচ প্রতি সেশন ২৫০০ টাকা।
বদ নজর, বিয়েবন্ধ, ডায়াগোনাইসিস রুকইয়াহ বা ছোটখাটো সমস্যার জন্য করা হয়।
♦লং রুকইয়াহ সেশন ১৪০ মিনিট +(৩০ মিনিট কন্সালটেন্সি।
একের ভিতর সব→
বদনজর, যাদু, জ্বিনের আছর, ওয়াসওয়াসা সহ অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তির নিয়তে।
খরচ ৫০০০ টাকা প্রতি সেশন।
♦poor pack গরিবদের জন্য সমস্যা অনুযায়ী ছাড় দেওয়া হয়। সমস্যা এডমিনকে বলতে হবে। ফি আলোচনা সাপেক্ষ।।
♦ হোম সার্ভিস
ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন ৫০০০+( যাওয়া আসার উবার ভাড়া)
ঢাকা উত্তর ৫০০০+ ( যাওয়া আসার উবার ভাড়া)
লং সেশন ১৪০ মিনিট+ ৩০ মিনিট কন্সালটেন্সি।
♦ ঢাকার বাহিরে
হোম সার্ভিস লং সেশন
ফি আলোচনা সাফেক্ষ্য।
♦ অনলাইন রুকইয়াহ শর্ট সেশন ২৫০০
লং সেশন ৫০০০।
অনলাইনে রুকইয়াহ করার পর, যদি সেন্টারে লোক পাঠাতে পারেন তাহলে পানি পড়া দেওয়া যাবে।
♦ আমাদের হাফেজদের মাধ্যমে ১৩ সূরার রুকইয়াহ চালু হবে, ফি- আলোচনা সাপেক্ষ।
রুকইয়াহ লক্ষণ
লিঙ্কঃ https://www.ruqyahsupport.com/2022/09/11/ruqyah-symptoms-or-signs/
+৮৮০১৭৭০৬০২৫৪২ whats app
এপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার পর এডমিন কে নক দিবেন।
সেন্টার খোলাঃ
সকাল ৭ঃ০০ এ এম
সেন্টার বন্ধঃ
রাত ১১ঃ০০ পি এম
নীচের ফরম টা ফিলাপ করুন-