রুকইয়াহ করার নিয়ত করার পর শয়তানের বাধা ও ধোঁকা
যক্ষন ডাক্তার বলে, রোগীর রক্ত লাগবে বা অপারেশন লাগবে।
রোগী বা আত্মীয়রা বলে দ্রুত অপারেশন বা রক্তের ব্যবস্হা করেন, আলোচনা করার সময় নাই, যত টাকা লাগবে জমি বিক্রয় করে হলেও দিবো।
যখন কোন রোগী জীন যাদুর রোগী রুকইয়াহ করার জন্য রাক্কীর সাথে যোগাযোগ করে, তখন বলে বাসার সবার সাথে আলোচনা করে নেই। আসলে যাদের ওয়াসওয়াসার সমস্যা আছে তারা এ ধরনের কথা বলে। বাসার এক এক জন এক এক বিশ্বাসের হয়ে থাকে, অধিকাংশ রুকইয়াহ সম্পর্কে জানে না, মতামত দেয় কবিরাজের কাছে যাওয়ার জন্য। শয়তান সুযোগ নিয়ে সবার মতামত কবিরাজের দিকে নিয়ে যায় ওয়াসওয়াসার দিয়ে। কারন সে জানে রাক্কীর কাছে গেলে জীনের অবস্হ খারাপ হয়ে যাবে।অনেকে ১ বার রুকইয়াহ করার পর আর কন্টিনিউ করতে দেয় না। তখন নানা কুচিন্তা মাথায় ঢুকিয়ে দেয়। রুকইয়াহ করলে কি আসলে সুস্হ হয়? গেরান্টি আছে? খরচ বেশি মনে হয়, নিজে নিজে আমল করলে হয়, একজন মসজিদের হুজুর দেখাবো কম খরচে, রাক্কী অনভিজ্ঞ ইত্যাদি। ( ব্যাখা ★বার বর কবিরাজ দেখিয়ে ব্যর্থ হলে রুকইয়াহ করে সুস্হ হয়েছে বহু লোক, ইদানিং কবিরাজরা ও রাকির কাছে তাদের পরিবারকে রুকইয়াহ করায়।
★ মুসলমানদের পাশাপাশি অমুসলিমরা ও রুকইয়াহ করার প্রতি আগ্রহী।
★ আন্যন্য চিকিৎসার তুলনায় রুকইয়াহর খরচ কম, অনেকে কবিরাজ ও ডাক্তার দেখিছে আসছে বছরের পর বছর, জায়গা জমি বিক্রয় করে এখন পথের ফকির, রুকইয়াহ করতে এসে এমন ঘটনা কাহারো ঘটে নি। জটিল রোগী ছাড়া ৯০-৯৫ % রোগী ২-৩ টা সেশনের মধ্যে সুস্হ হয়েছে এবং দীর্ঘ দিন কাহারো কাছে যাওয়া লাগে নি,কিন্তু এককালে তারা প্রতি মাসে কবিরাজের কাছে দুই একবার যেতো।
★ গেরান্টি দেওয়ার মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ, তিনি সৃষ্টি করেছে, এবং তিনি জানে কে কবে সুস্হ হবে কত দিন বাঁচবে।
আল্লাহ ছাড়া কাহারও এই অধিকার নাই। যারা গেরান্টি তালাশ করবে তারা শয়তানের ধোকার মধ্যে আছে। যারা গেরান্টি দিবে, তারা তো মিথ্যাবাদি এবং প্রতারক, কারন সে আল্লাহর একচেটিয়া অধিকার কে নিজের ক্ষমতা বলে দাবি করছে, সে নিজেও জানেনা কবে সে মারা যাবে, অন্যের গেরান্টি কিভাবে দেয়?
★ নিজে নিজে আমল করা ভালো, তবে আক্রান্ত হওয়ার পর নিজে আমল করলে তেমন কাজ হয় না, অনেকের সমস্যা বাড়ে। অনেকে দীর্ঘদিন ধরে আমল অজিফা করে আসছে, তার জানা মতে সে সুস্হ, কিন্তু রুকইয়াহ/ ডায়াগনোসিস করার সময় তার জীন বা যাদুর সমস্যা প্রকাশ পেয়েছে এবং সে নিজে তার সমস্যা নিজের চোখে উপলব্ধি করতে পেরেছে।
★ মসজিদের হুজুরদের চবকিৎসা আর প্রফেশনাল রাক্কীদের চিকিৎসার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে।
কিছু কিছু লোক সুস্হ হতে পারে, তবে দুষ্ট কোন জিনের চিকিৎসা করতে গেলে পরিবারের উপর হুমকি আসতে পারে। এক ইমাম সাহেব নিজ স্ত্রী কে ঝাড়ফু করেছে, পরবর্তীতে স্ত্রী সুস্হ হয়েছে ঠিকই কিন্তু সে প্যারালাইসিস হয়ে শুকিয়ে মৃত্যুর মুখে পড়েছে।
★ অনেকে বলে আমাকে ভালো করে দিন, বা আপনি কি আমাকে সুস্হ করতে পারবেন?
এই কথার মধ্যে শিরক বিদ্যমান,
রাক্কী সুধু সমস্যার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবে এবং প্রেসকিপশন দিবে।
আপনার কাজ তা ফলো করার।
সুস্হ করার মালিক আল্লাহ, রাক্কীর গাইডলাইন মেনে চললে ইনশাআল্লাহ সুস্হ হবেন, ধরেন সুস্হ হলেন না, তখন যদি শিরকি কুফরি পথ অবলম্বন না করে ধৈর্য ধরলেন, মৃত্যুর মুখে পড়লে সৌ়ভাগ্য, কারন কবিরাজের কাছে গিয়ে ইমান নষ্ট করেন নি। প্রতিদান আল্লাহর কাছে পাবেন।
★ রাক্কীর অভিজ্ঞতা বা জ্ঞান থাকা জরুরি, তা হলো রুকইয়াহ সেক্টর সম্পর্ক। রুকইয়াহ বিষয়ে গভির জ্ঞান ও বিশুদ্ধ আকিদা থাকতে হবে। যে সব পদ্ধতি কাহারো জন্য কষ্টকর ও ক্ষতি কর, তা প্র্যকটিস না করাই উত্তম।)
এসব মাথায় ঢুকার পর কবিরাজ দেখায়। ১ টা ফু দিবে, ১৫ দিন ভালো থাকে, পরে আবার সমস্যা শুরু হয়, আবার কবিরাজের কাছে যায়, আবার কাটায়, এভাবে বছরের পর বছর চলতে থাকে। প্রতি মাসে কবিরাজের জন্য ২-৪ হাজার বাজেট রাখে, ঔষধের টাকার মত। কিন্তু এতে যাদু মূল সহ নষ্ট হয় না, জীনের ও ক্ষতি হয় না। পরবর্তীতে জীন যাদু নবায়ন করে।
কিন্তু সে যদি সকল বাধা উপেক্ষা করে রুকইয়াহ করতো কয়েক বার তবে যাদু রিনিউ ও মূল সহ নষ্ট হতো এবং যাদুর কাজে নিয়েজিত জিন ধ্বংস হতো৷ এতে বার বার কবিরাজকে টাকা দেওয়ার প্রয়োজন হতো না এবং কুফরি চিকিৎসা নিয়ে ইমান নষ্ট করার মত কাজ করতে হতো না।
★আপনে যখন বুঝতে পারেন রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন তখন, কারারো সাথে আলোচনা না করেই ডাক্তারের কথা মানলেন, কিন্তু রুকইয়াহ করার জন্য যোগাযোগ করার পর আলোচনা করা টা একটা ধোকা এবং শয়তানের ধোকা দেওয়ার সুযোগ তৈরি।
মনে করেন আপনি বাসায় আলোচনা করবেন,
বাসার ৫ জনের মধ্যে দুই জন
ইসলামের কোন বিধান ই মানে না, নামাজ রোজা কিছু করে না, শিরক কুফরি ও এর ক্ষতি সম্পর্কে অজ্ঞ। রুকইয়াহ সম্পর্কে মোটেও ধারনা নেই, তার সাথে আলোচনা করলে আপনে কোন ধরনের সাজেশন পাবেন? তারা কি রুকইয়াহ করতে মত দিবে নাকি বলবে এটা তোমার মনের সমস্যা?
বাকি সদস্যরা কবিরাজ ভক্ত, তারাও সাজেশন দিবে না রাক্কির কাছে যেতে।
এমন অবস্হায় তাদের সাথে আলোচনা করলে আপনে ও শিরকি কুফরি চিকিৎসা নিয়ে নিজের অজান্তে গুনাহ করে ফেলবেন এবং আখিরাতে আজাব ভোগ করতে হবে।
সুতরাং যেই আলোচনা সঠিক পথ দেখানো থেকে বিরত রাখে এবং গুনাহের দিকে নিয়ে যায়। সেই আলোচনা না করাই উত্তম।
যাদের নিজের ও পরিবারের সদস্যদের → আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস আছে, শিরক কুফরি ভয় পায়, এবং আখিরাতের প্রতি ভয় কাজ করে জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কে এলেম আছে, তারাই কেবল মাত্র রুকইয়াহ করাতে সক্ষম হয়
আল্লাহ যেন বুঝার ও আমল করার তাওফিক দেয়, আমীন।
আদ দুয়া রুকইয়াহ সেন্টার, ঢাকা।
আদ দুয়া রুকইয়াহ সেন্টার, ঢাকা।
01770602542 whats app