⭕ কালো যাদুর রুকইয়াহ | Ruqyah for Sehr (Black Magic) — 7 কার্যকর উপায়
কালো যাদুর রুকইয়াহ এখনই জানুন — কালো যাদুর রুকইয়াহ (Ruqyah for Sehr) কিভাবে করা হয়, এর লক্ষণ কী কী এবং কোন 7টি পদ্ধতি দিয়ে দ্রুত ও শরিয়াহভিত্তিক মুক্তি পাওয়া যায়। এই গাইডে আয়াত, দোয়া, ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সবকিছু ধাপে ধাপে দেওয়া আছে।
কালো যাদুর প্রকারভেদ: Click here
🟤 কালো যাদু কি? — সংজ্ঞা ও কার্যপদ্ধতি
কালো যাদু বা সিহর (Sehr/Black Magic) হলো এমন এক শয়তানি কাজ যা মানুষকে ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে করা হয়। ইসলামি দৃষ্টিতে এটি একটি ভয়ংকর গুনাহ, এবং যারা এটি করে তারা জাহান্নামের হকদার।
কালো যাদু কীভাবে করা হয়?
জাদুকররা শয়তানের সাথে চুক্তি করে।
তারা তাবিজ, ঝাড়ফুঁক, রক্ত, চুল বা হাড় ব্যবহার করে।
নির্দিষ্ট দিন (অমাবস্যা, পূর্ণিমা) বা সময়ে জাদু করা হয়।
শয়তান জাদুকরের কাজ সম্পন্ন করতে মানুষের ওপর প্রভাব ফেলে।
কোন উদ্দেশ্যে কালো যাদু করা হয়?
প্রতিশোধ বা হিংসার কারণে।
দাম্পত্য সম্পর্ক ভাঙতে।
ব্যবসা ধ্বংস করতে।
কারো মানসিক/শারীরিক ক্ষতি করতে।
—
🟤 কালো যাদুর লক্ষণ (Signs of Black Magic)
শারীরিক লক্ষণ
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া, ডাক্তারি চিকিৎসায় কাজ না হওয়া।
মাথা ভার, মাথাব্যথা বা বুক ধড়ফড়।
শরীরে অকারণে ব্যথা, দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা।
মানসিক ও আচরণগত লক্ষণ
ঘনঘন দুঃস্বপ্ন দেখা।
পরিবারের সাথে অকারণে ঝগড়া।
হঠাৎ আতঙ্ক বা ভয় পাওয়া।
কোনো কাজ করতে ইচ্ছে না করা।
পড়াশোনায় মনোযোগ না থাকা।
রুকইয়াহ লক্ষণ সমূহ ruqyah symptoms for blackmagic, evil eyes and jinn : Click Here
🟢 কালো যাদু থেকে মুক্তির 7টি উপায় (Effective Ruqyah Methods)
কালো যাদু থেকে মুক্তির সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো রুকইয়াহ। নিচে ৭টি ধাপে বিষয়টি সাজানো হলো।
1) সরাসরি রুকইয়াহ — অভিজ্ঞ রাক্বীর মাধ্যমে
যারা অভিজ্ঞ রাক্বী, তারা কোরআন ও হাদিসের দোয়া পড়ে চিকিৎসা করে। রুগীকে আয়াত শুনিয়ে, পানিতে ফুঁ দিয়ে বা তেল/পানিতে রুকইয়াহ পড়ে ব্যবহার করতে বলে।
2) সেলফ রুকইয়াহ — নিজে পড়া
নিজেই আয়াত ও দোয়া পড়ে চিকিৎসা করা যায়। প্রতিদিন রাতে আয়াতুল কুরসি, সূরা ফালাক, সূরা নাস পড়ে শরীর মুছে নিন। এছাড়া রুকইয়াহ আয়াতগুলো বারবার পড়ুন।
3) বরই পাতার গোসল
বরই পাতার পানি দিয়ে গোসল করা যাদু নষ্টের অন্যতম উপায়। রুকইয়াহ আয়াত পড়ে পানিতে ফুঁ দিন এবং সেই পানি দিয়ে গোসল করুন।
বরই পাতার রুকইয়ার গোসলের প্রস্তুতি
এক বালতি গোসলের পানি নিয়ে নিন। এরপর সাতটি বরই পাতা (কুল বরই হলে আরও ভালো) সংগ্রহ করুন। সম্ভব হলে সবুজ পাতা ব্যবহার করুন, না পেলে যেটা পাওয়া যায় সেটাই নিন। পাটায় ভালোভাবে বেটে পানিতে গুলিয়ে নিন।
পড়ার জন্য সূরা ও আয়াত
প্রথমে সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস – প্রতিটি তিনবার করে পড়তে হবে। এর পাশাপাশি সুযোগ থাকলে সুরা আরাফ (৭: ১১৭-১২২), সুরা ইউনুস (১০: ৮১-৮২) এবং সুরা ত্বাহা (২০: ৬৯) একবার বা তিনবার করে পড়া উত্তম।
পানিতে ফুঁ দেওয়ার নিয়ম
পড়ার মাঝে মাঝে পানিতে ফুঁ দিতে হবে। এরপর সেই পানি থেকে তিন ঢোক পান করতে হবে। বাকিটা গোসলের জন্য ব্যবহার করতে হবে। তবে যদি গোসলের পানি খাওয়ার উপযোগী না হয়, তাহলে আলাদা করে খাওয়ার পানি রাখতে হবে। বরই পাতা উভয় পানিতে দিয়ে নির্দিষ্ট আয়াত পড়ে ফুঁ দিয়ে নিতে হবে। পরে খাওয়ার পানি পান করতে হবে এবং বালতির পানি দিয়ে গোসল করতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
এই পানি কখনো চুলায় গরম করা যাবে না এবং এর সাথে অন্য পানি মেশানো যাবে না। শীতকালে কষ্ট হলে কুসুম গরম পানিতে বরই পাতা গুলিয়ে গোসল করা যাবে, তবে সাধারণ পানি ব্যবহার করাই উত্তম। চাইলে এরপরে সাধারণ পানি দিয়ে আরেকবার গোসল করতে পারেন।
বিকল্প ব্যবস্থা
বরই পাতা পাওয়া না গেলে কর্পূর পাতা বা অল্প কর্পুর দিয়েও একই নিয়মে গোসল করা যায়। তবে বরই পাতাই সবচেয়ে ভালো ফলপ্রসূ।
বিশেষ নির্দেশনা
সব দোয়া ও আয়াত গোসলখানার বাইরে পড়তে হবে। তবে বাইরে পড়ার পরিবেশ না থাকলে আগে বরই পাতা বেটে আয়াতগুলো পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে নিতে হবে। এরপর গোসলখানায় নিয়ে গিয়ে গোসল করতে হবে।
উপকারিতা
ইনশাআল্লাহ প্রথম গোসল থেকেই যাদু দুর্বল হতে শুরু করবে। প্রয়োজনে কয়েকদিন একই নিয়মে গোসল চালিয়ে যেতে হবে। আল্লাহর রহমতে এ গোসল যাদু-টোনার চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকরী। বিভিন্ন যুগের বহু আলেম এই পদ্ধতি সুপারিশ করেছেন।
4) আয়াতুল-কুরসি ও সূরা ফালাক-নাস পাঠ
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ শেষে এবং রাতে ঘুমানোর আগে এসব সূরা পাঠ করলে কালো যাদুর প্রভাব দুর্বল হয়।
5) আন্তরিক তওবা ও তাওয়াক্কুল
আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং সম্পূর্ণ ভরসা রাখা জরুরি। কবিরাজ, ঝাড়ফুঁক বা তাবিজের ওপর নির্ভর করা যাবে না।
6) তাবিজ ও কবিরাজের দেওয়া জিনিস ধ্বংস করা
যদি কারো কাছে আগে কবিরাজের দেওয়া তাবিজ বা অদ্ভুত জিনিস থাকে, সেগুলো ধ্বংস করে ফেলুন। এগুলো শিরকের মাধ্যম।
7) ধৈর্য ধরে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া
রুকইয়াহ চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ। ধৈর্য ধরে নিয়মিত রুকইয়াহ করলে ইনশাআল্লাহ সুস্থতা আসবে।
🔴 কালো যাদু নষ্টের রুকইয়াহ আয়াত (Recommended Verses)
১. সূরা আল-আরাফ (৭: ১১৭-১২২)
আরবি আয়াত:
وَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ أَنْ أَلْقِ عَصَاكَ ۖ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ – فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ – فَغُلِبُوا هُنَالِكَ وَانقَلَبُوا صَاغِرِينَ – وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ – قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ – رَبِّ مُوسَىٰ وَهَارُونَ –
উচ্চারণ:
ওয়া আওহাইনা ইলা মূসা আন আলক্বি আস-সাাকা, ফাইযা হিয়া তালক্বাফু মা ইয়াফিকূন। ফাওাকা‘আল হাক্কু ওয়াবাতালা মা কানোয়া ইয়ামালূন। ফাগুলিবূ হুনালিকা ওয়ানকালাবূ সাগিরীন। ওঅলক্বিয়াস সাহারাতু সাজিদীন। ক্বালূ আ-মান্না বিরাব্বিল ‘আলামীন। রাব্বি মূসা ওয়া হারূন।
অর্থ:
“আর আমি মূসাকে নির্দেশ দিলাম: ‘তোমার লাঠি নিক্ষেপ কর।’ তখনই তা তাদের মিথ্যা বানানো জিনিস গিলে ফেলল। ফলে সত্য প্রতিষ্ঠিত হলো এবং তারা যা করছিল তা বাতিল হয়ে গেল। তখন তারা পরাজিত হলো এবং অপমানিত অবস্থায় ফিরে গেল। জাদুকরেরা সিজদায় লুটিয়ে পড়ল। তারা বলল: আমরা বিশ্বজগতের প্রভুর প্রতি ঈমান আনলাম, মূসা ও হারূনের রবের প্রতি।”
২. সূরা ইউনুস (১০: ৮১-৮২)
আরবি আয়াত:
فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَىٰ مَا جِئْتُم بِهِ السِّحْرُ ۖ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ – وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ –
উচ্চারণ:
ফালাম্মা আলকাও ক্বালা মূসা মা জি’তুম বিহিস সিহরু, ইনাল্লা-হা সাইয়ুবতিলুহ। ইন্নাল্লা-হা লা ইউসলিহু ‘আমালাল মুফসিদীন। ওয়াইুহিক্কুল্লা-হুল হাক্কা বিকালিমাতিহি ওয়ালাও কারিহাল মুজরিমূন।
অর্থ:
“অতঃপর যখন তারা নিক্ষেপ করল, মূসা বললেন: ‘তোমরা যা এনেছো তা তো জাদু। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা বাতিল করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ ফাসাদকারীদের কাজ সংশোধন করেন না। আর আল্লাহ তাঁর বাক্যের মাধ্যমে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করবেন, যদিও অপরাধীরা তা অপছন্দ করে।’”
৩. সূরা ত্বাহা (২০: ৬৯)
আরবি আয়াত:
وَأَلْقِ مَا فِي يَمِينِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوا ۖ إِنَّمَا صَنَعُوا كَيْدُ سَاحِرٍ ۖ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَىٰ –
উচ্চারণ:
ওআলক্বি মা ফি ইয়ামীনিকা, তালক্বাফ মা সানা‘ূ। ইন্নামা সানা‘ূ কাইদু সাহির। ওয়ালা ইউফলিহুস সাহিরু হাইসু আতা।
অর্থ:
“আর যা তোমার ডান হাতে আছে তা নিক্ষেপ করো; তা তাদের বানানো জিনিস গিলে ফেলবে। তারা তো কেবল জাদুকরের কৌশল বানিয়েছে। আর জাদুকর কখনো সফল হয় না, সে যেখান থেকেই আসুক না কেন।”
উপরের আয়াতগুলোর পাশাপাশি পড়তে হবে—
আয়াতুল কুরসি (সূরা বাকারা ২৫৫)
সূরা ফালাক্ব (সূরা ১১৩) – ৩ বার
সূরা নাস (সূরা ১১৪) – ৩ বার
👉 এরপর এসব পড়ার পর পানি, তেল অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির ওপর ফুঁ দিতে হবে।
👉 এসব আয়াত বারবার পড়ুন, পানিতে ফুঁ দিয়ে পান করুন এবং গোসল করুন।
🌿 সরাসরি রুকইয়াহ করার গুরুত্ব ও সতর্কতা
কখন ডাকবেন রাক্বীর?
যখন সেলফ রুকইয়াহ কার্যকর না হয়।
যখন রোগী প্রচণ্ড কষ্ট পাচ্ছে এবং আয়াত শুনতে বা পড়তে পারছে না।
কোন জিনিসগুলো বর্জনীয়?
কবিরাজ, জ্যোতিষী বা শয়তানি পদ্ধতি ব্যবহার করা।
তাবিজ গলায় ঝুলানো বা বিশ্বাস করা।
যাদুর জবাব যাদু দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা।
👉 মনে রাখবেন, আসল চিকিৎসা হলো আল্লাহর কালাম (কোরআন) এবং রাসূল ﷺ এর সুন্নাহ অনুসারে রুকইয়াহ করা।
কেন সরাসরি রাক্বীর কাছে রুকইয়াহ করা সবচেয়ে উত্তম?
রুকইয়াহ সম্পাদনের ক্ষেত্রে সরাসরি একজন অভিজ্ঞ রাক্বীর কাছে যাওয়া সর্বোত্তম। এর কারণগুলো নিম্নরূপ:
১. চিকিৎসার মতো নির্ভুলতা
ফার্মেসিতে অনেক ওষুধ আছে, কিন্তু অনুমান করে ব্যবহার করলে ফলাফল অনিশ্চিত হয়। কখনও রোগ ভালো হতে পারে, আবার কখনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।
উদাহরণ:
ধরা যাক, কেউ নিজের অনুমান অনুযায়ী ওষুধ শুরু করে। রোগ ভালো হওয়ার পরিবর্তে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে সমস্যা বেড়ে যায়। অন্যদিকে, ডাক্তার দেখিয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ নিলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ঠিক তেমনি, রাক্বীর নির্দেশ অনুযায়ী রুকইয়াহ করা রোগীকে দ্রুত সুস্থ করে।
২. জটিল যাদুর ক্ষেত্রে কার্যকারিতা
ধরুন কেউ কালো যাদু বা তালাযুক্ত জটিল যাদুর শিকার। কেবল নিজে কিছু আমল বা দোয়া পড়লে সমস্যা সমাধান হবে না। কারণ, এসব যাদুর নিয়ম ও নীতি জানাতে রাক্বীর অভিজ্ঞতা প্রয়োজন।
কেস স্টাডি ১:
এক ব্যক্তি তালা-মেরে নদীতে ফেলা যাদুর শিকার। নিজের জানা অনুযায়ী আমল ও দোয়া পড়ার চেষ্টা করলে সুস্থ হতে অনেক দিন লেগেছিল। পরে রাক্বীর কাছে গিয়ে সমস্যার উৎস শনাক্ত ও সঠিক রুকইয়াহ শুরু হলে দ্রুত সুস্থ হন।
৩. নিজস্ব রুকইয়াহয়ে ঝুঁকি
অনেক সময় লোকজন নিজের বা পরিবারের জন্য সেল্ফ রুকইয়াহ শুরু করে। কখনও কখনও মাঝপথে জিন যাদুতে আক্রান্ত হয়ে অপ্রত্যাশিত আচরণ দেখাতে পারে। এটি পরিবার বা আশেপাশের লোকের জন্য বিপজ্জনক ও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
কেস স্টাডি ২:
২০২৩ সালের শেষের দিকে, ঢাকা রায়েরবাগের একজন হাফেজ ইমাম তার বউয়ের জন্য ১১ দিন সূরা ইয়াসিন ১১ বার করে ফু দিয়েছিলেন। বউ সুস্থ হয়, কিন্তু হাফেজ ইমাম নিজে রুকইয়াহয়ের প্রক্রিয়া ও নিজের সুরক্ষা জানতেন না; ফলে জিন যাদুতে আক্রান্ত হয়ে প্যারালাইজড হয়ে মৃত্যু হয়।আমাদের রাকি আবু রায়হান ভাই এর পরিচিত ছিলো এবং ভাই এর কাছে একবার মুমূর্ষু অবস্থায় রুকইয়াহ করেছে।
কেস স্টাডি ৩:
এক ব্যক্তি জিনের সমস্যার জন্য সেল্ফ রুকইয়াহ শুরু করে। মাঝপথে জিন যাদুতে আক্রান্ত হয়ে ঘরে নাচানাচি ও বকাবকি শুরু করে। পরিবার ও আশেপাশের লোকজন পরিস্থিতি দেখে তামাশা করতে শুরু করে।
৪. সময়মতো রুকইয়াহ না করলে অর্থ ও জীবন হুমকিতে পড়ে
যদি সমস্যার শুরুতেই রুকইয়াহ করা না হয়, তবে জটিলতা বৃদ্ধি পায়।
কেস স্টাডি ৪:
এক ব্যক্তি তার পরিবারের জন্য হাসপাতালে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে চিকিৎসা করান, কিন্তু সমস্যা সমাধান সম্ভব হয়নি। যদি সমস্যা শুরু হওয়ার সাথে সাথেই রুকইয়াহ করা হতো এবং মাত্র ১০ হাজার টাকা ব্যয় হতো, তবে বড় দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।
❓ FAQ (সাধারণ প্রশ্ন)
প্রশ্ন ১: কালো যাদুর সাধারণ লক্ষণগুলো কী? :more details mclick here
উত্তর: হঠাৎ অসুস্থতা, ঘুম না হওয়া, দুঃস্বপ্ন, অকারণে ঝগড়া, ব্যবসায় বাধা, আতঙ্ক ও ভয় পাওয়া ইত্যাদি।
প্রশ্ন ২: রুকইয়াহ কবে করা উচিত?
উত্তর: যাদুর সন্দেহ হলে সাথে সাথে রুকইয়াহ শুরু করা উচিত। অভিজ্ঞ রাক্বীর কাছ থেকে সাহায্য নেওয়া ভালো।
প্রশ্ন ৩: কোন আয়াতগুলো রুকইয়াহতে সবচেয়ে উপকারী?
উত্তর: আয়াতুল-কুরসি, সূরা ফালাক, সূরা নাস, সূরা আরাফ (117-122), সূরা ইউনুস (81-82), সূরা ত্বাহা (69)সূরা ফালাক্ব (সূরা ১১৩) সূরা নাস (সূরা ১১৪)।
আরও বিস্তারিত ও প্রাসঙ্গিক তথ্যের জন্য লিঙ্কগুলো পড়ুন:
রুকইয়াহ সম্পর্কে প্রথমিক পরিচিতি
রুকইয়াহ সম্পর্কে মানুষের কিছু ভুল ধারনা ও শিরকি মতবাদ
প্রশ্ন: সুস্থ হওয়ার জন্য কত বার রুকইয়াহ করতে হয় বা কত সেশন লাগে?
যোগাযোগ করুন
ঠিকানা: মাতুয়াইল নিউ টাউন, সাইনবোর্ড – যাত্রাবাড়ী এরিয়া, ঢাকা
ফোন: 01770602542
WhatsApp: [01770602542
Map: Google Map
আজই যোগাযোগ করুন ও আপনার সমস্যা সমাধান করুন।
⭕ কালো যাদুর রুকইয়াহ | Ruqyah for Sehr (Black Magic) — 7 কার্যকর উপায়
⭕ কালো যাদুর রুকইয়াহ | Ruqyah for Sehr (Black Magic) — 7 কার্যকর উপায়