রুকইয়াহ সম্পর্কে মানুষের কিছু ভুল ধারনা ও শিরকি মতবাদ

রুকইয়াহ সম্পর্কে মানুষের কিছু ভুল ধারনা ও শিরকি মতবাদ:
১. অনেকে মনে করে রুকইয়াহ আর কবিরাজি এক, তাই না বুঝে হাজিরা ইস্তেখারা ইত্যাদি মাধ্যমে সমস্যা জানতে চায় । অনেকে বলে আপনে দেখলে আমার সমস্যা বলে দিতে পারবেন?
উত্তর: আমি ও আপনার মত মানুষ, আপনে আমাকে দেখে বলে দিতে পারবেন আমি কেমন? না। পারবেন না। আন্দাজে ভুল বা অনুমান করে একটা বলবেন। কারন গায়েবের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ হাতে।
সঠিক টা আল্লাহ ভালো জানে।
[৯:৭৮] আত তাওবাহ্
أَلَم يَعلَموا أَنَّ اللَّهَ يَعلَمُ سِرَّهُم وَنَجواهُم وَأَنَّ اللَّهَ عَلّامُ الغُيوبِ
তারা কি জানে না, নিশ্চয় আল্লাহ তাদের গোপনীয় বিষয় ও গোপন পরামর্শ জানেন? আর নিশ্চয় আল্লাহ গায়েবসমূহের ব্যাপারে সম্যক জ্ঞাত।
[১৩:৯] আর রা’দ
عالِمُ الغَيبِ وَالشَّهادَةِ الكَبيرُ المُتَعالِ
তিনি গায়েব ও প্রকাশ্যের জ্ঞানী, মহান, সর্বোচ্চ।
🛑তাহলে যাদুকর কবিরাজরা আপনার সম্পর্কে এতকিছু জানে কেমনে?
তারা আপনার ব্যাক্তিগত তথ্যের উপর ভিত্তি করে যাদু ও কুফরির মাধ্যমে জ্বিন আয়ত্ত করে, আপনার কারিন জিন থেকে তথ্য নিয়ে আপনাকে বলে। যাহা সম্পূর্ণ হারাম ও শিরকি কুফরি এবং গণকের কাজ, এদের কাছে গেলে ও এদের কথা বিশ্বাস করলে ৪০ দিনের ইবাদাত কবুল হবে না।
🛑 রুকইয়াহ তে সমস্যা নির্নয় করে কিভাবে?
রুকইয়াহ লক্ষণ সমূহ মিলিয়ে দেখতে পারেন বা ডায়াগনোসিস এর নিয়তে রুকইয়াহ করে দেখতে পারেন কোন প্রকার অস্বাভাবিক কিছু ফিল হয় কিনা বা খারাপ লাগা কাজ করে কিনা।
2. অনেকে মনে করে রুকইয়াহ তে কবিরাজদের মত সব কাজ করা হয়।
এখানে কোন কাজ করা হয় না, শুধুমাত্র জিনযাদু বদরজরে আক্রাত ব্যাক্তির সামনে সুস্হতার নিয়তে উচ্চ আওয়াজে তেলওয়াত করা হয়, কুরআনের আয়াত ও হাদিসের দোয়া এবং জায়েজ দুয়। সাপ্লিমেন্ট হিসাবে ব্যবহার করতে বলে আর পানি, মধু, কালোজিরা, অলিভ ওয়েল, বরই পাতার গোসল, সোনা পাতা, রুকইয়াহ অডিও ইত্যাদি।
এছাড়া আর কোন সেবা নাই।
আপনে বুঝেন- আপনার পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে ইচ্ছুক, রুকইয়াহর মাধ্যমে করা যাবে?
আপনার সমনে কিছুক্ষণ উচ্চ আওয়াজে তেলওয়াত করলে আপনার কাজ টা হবে মনে হয়?
কখনও না, বরং কুরআনের সাথে বেয়াদবি হবে, প্রথমত রিলেশন হারাম, দ্বিতীয়ত, যারা এসব কাজ করে দিবে বলে -তারা যাদুকর। কুফরি শিরকি কাজ করে আপনার ইমান নষ্ট করেিবে।
তৃতীয়ত, তকদিরের মালিক আল্লাহ, রিজিকের মালিক একমাত্র আল্লাহ, ভালো মন্দ সব আল্লাহ ফয়সালা করবে, এখানে কাহারও হাত নাই জোর করে কিছু করার। ভাগ্যে থাকলে আপনা-আপনি আসিবে, ভাগ্যে না থাকলে শত চেষ্ট করেও লাভ হবে না।
যাদুকর কবিরাজদের কুফরি শিরকি চিকিৎসা নিয়ে বিয়ে করবেন, কিছুদিন পর জিন যাদুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে দোড়াবেন, বুঝতেও পারবেন না কি থেকে কি হলো।
২. অনেকে বলে, হুজুর আপনে আমাকে সুস্হ করে দেন।
উত্তর : এই কথা বললে আমরা রুকইয়াহ করাই না, কারন শিরকি মতবাদ।
রাক্বীরা সুস্হ করে না, সুস্হ করে আল্লাহ। রাক্বী শুরু মাত্র একজন গাইডলাইন দানকারী। আপনে রাক্বীর পরামর্শ অনুযায়ী আমল করলে আল্লাহ চাইলে সুস্হ হবেন যদি হায়াত থাকে।আল্লাহ না চাইলে সৌদি আরবের রাক্বী দিয়ে রুকইয়াহ করালেও কাজ হবে না।
হায়াত, মউত, রিজিক, বিয়ে, সুস্হতা এগুলো আল্লাহর হাতে।
৩.যদি মনে করেন এক বসায় সুস্হ হবেন বা রাক্বী বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে আপনার সমস্যার সমাধান করে দিবে, তাহলে আপনে ভুলের মধ্যে আছেন।
রাক্বীরা যাদুকর কবিরাজদের মত ভেলকিবাজি দেখায় না, বা জ্বিনদের সাথে চুক্তি করে সাময়িকভাবে কিছু দিনের জন্য সমস্যা কমিয়ে রাখে না যে এক বসায় সুস্হ হবেন।
বরং সুস্হ হওয়া পর্যন্ত রুকইয়াহ কন্টিনিউ করা সরাসরি হোক বা সেল্প রুকইয়াহ হোক।
রাক্বীর প্রেসকিবশন মানবেন না, মাসনুন আমল ও অন্যান্য সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করবেন না, বাসায় সেল্প রুকইয়াহ ও করবেন না,ঘরে তাবিজ বা দেওয়াল ছবি থাকলে খুলে ফেলে দিবেন না, রুকইয়াহ ও যাদুকরের চিকিৎসা বা কবিরাজি চিকিৎসা একই টাইমে নিবেন,রাক্বীর কথা না শুনে জ্বিনের বকবকি শুনে বিশ্বাস করবেন ও সময় নষ্ট করবেন , রাক্বী সব করবে,আপনাকে কিছু করতে হবে না বা অমল করেবেন না- এমন মতবাত থাকলে রুকইয়াহ করতে আসবেন না।
রাক্বীর বিশেষ ক্ষমতা আছে বিশ্বাস করলে শিরক হবে বা ইমান নষ্ট হবে।
৪. সুস্হ হতে কত দিন লাগতে পারে? কয়টা সেশন লাগতে পারে বা কত সময় লাগতে পারে?
উত্তর: ভবিষ্যতের বিষয় একমাত্র আল্লাহ ভালো জানে। কে কি খাবে, কবে মারা যাবে, রিজিক, বিয়ে কবে হবে এগুলো আল্লাহর হাতে, কবে সুস্হ হবে বা কত সময় লাগবে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য আল্লাহ জানে।
অনেক সময় দেখা যায় এমন ও হয়, অনেক জটিল অবস্হ, সবাই ভাবছে অনেকগুলো সেশন লাগবে, ১ টা সেশন করার পর কিছুদিন সেল্ফ রুকইয়াহ করেছে, আল্লাহ সমস্যা দূর করে দিয়েছে। আবার অনেক সময় এমনও হয় অল্প সমস্যার জন্য অনেকগুলো সেশন করে বছরের পর বছর সেল্ফ রুকইয়াহ করতেছে তাও সমস্যা দূর হয় না। সুস্হ করার মালিক আল্লাহ, আল্লাহ ভালো জানে কত সময় লাগবে বা কতবার রুকইয়াহ করলে আপনার সমস্যা দূর করে দিবে। এ বিষয়ে রাক্বী জানে না।
তবে স্বাভাবিক অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে গেলে সমস্যার দৈর্ঘ, প্রস্হ, জটিলতা অনুযায়ী এবং সেল্ফ রুকইয়াহর মাত্রা অনুযায়ী সেশন কম লাগবে না বেশি লাগবে তা কিছুটা অনুমতি করা যায়।
🛑সেশনের হিসাব- যেমন- অনেক সময় জ্বর হলে দেখা যায় ১ টা নাফা খাইলাম জ্বর ভালো হয়ে গেলো। আবার জ্বর যদি ২ দিন বা ৩ দিন থাকে, তখন প্রয়োজনের তাগিতে ২-৩ দিন নাফা খাওয়া লাগবে। জ্বর ৭ দিন থাকলে ৭ দিন ই নাফা খাওয়া লাগবে। জ্বর ৭ দিন থাকলে যদি ২ দিন নাফা খেয়ে বন্ধ করে দেন, তাহলে দেখা যাবে জ্বর টাইফয়েডের দিকে চলে যেতে পারে। ঠিক তেমনি ভাবে অনেকে ১ টা সেশন করেও সুস্হ হয়, আবার অনেকের প্রয়োজনের তাগিতে সমস্যা যতক্ষণ সমস্যা দেহে আছে ততক্ষণ রুকইয়াহ করতে হয়, অর্থাৎ একাধিক সেশন লাগে।
যারা১৫-২০ বছর কবিরাজি চিকিৎসা নিয়ে আসছে, তাদের সমস্যা তাবিজ ব্যবহারের কারনে জটিল থেকে আরও জটিল হয়ে গেছে, তারা যদি ১ টা সেশন করে সুস্হ হওয়ার আশা করে বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়।
আবার অনেকে তাবিজও ব্যবহার করবে রুকইয়াহ ও করবে, তারা পবিত্র অপবিত্র মিক্স করে কিভাবে সুস্হ হওয়ার আশা করে?
যারা কোন ইবাদাত-আমল বা সেল্প রুকইয়াহ করবে না, রাক্বীর পরামর্শ মানবে না, তারা কিভাবে সুস্হ হওয়ার আশা করে?
যারা রাক্বীদের সম্মান করতে জানে না, বেয়াদবি করে,রাক্বীদের মানুষ ই মনে করে না, তারা কিভাবে তারা সুস্হ হওয়ার আশা করে? মনে রাখবেন রাক্বীদের দোয়া আল্লাহর কাছে পৌঁছালেই আপনার সুস্হতার পথ সহজ হয়, তাদের সাথে বেয়াদবি করলে আল্লাহ দেখে, বদ দোয়া মুখে বলা লাগে না, যে মানুষ গুলো সারাদিন প্রভুর ইবাদাত করে,তারা তাদের যদি কষ্ট দেন আল্লাহ সহ্য করবে না, বিপদ কোন দিক থেকে আসবে বুঝতেও পারবেন না। রুকইয়াহ এক প্রকার দুয়া, আল্লাহর কাছে সরাসরি সাহায্য চাওয়ার মাধ্যম, এই দুয়া আল্লাহ কবুল করলেই আপনে সুস্হ হবেন। রাক্বীদের সাথে ভালো ব্যবহার করলে তাদের মনের একটা দুয়া আছে, এতে আল্লাহ দেখে ও খুশি হয়।
যারা সবর করতে পারে না,জটিল সমস্যার জন্য ১ টা সেশন করে সুস্হ হতে চায়, রুকইয়াহ সম্পর্কে জানে না, তারা কিভাবে সুস্থ হওয়ার আশা করে?
১ টা ঔষধ খেয়ে সুস্হ হওয়া সম্ভব?
যারা বলে শরীর বন্ধ বা ঘর বন্ধ করা যাবে বা পারমানেন্ট সলিউশন দেওয়া যাবে?
বাকারার ১০২ নং আয়াতে বলেছে শয়তান মানুষকে কুফরি তথা কালোযাদু শিখিয়েছে। কালোযাদু তাবিজ ব্যবহার করে শরির বন্ধ বা ঘর বন্ধ করলেন, মনে রাখবেন শয়তান ভালো করে জানে কিভাবে এগুলো নষ্ট করে আপনার ক্ষতি করা যায়। অনেক সময় হোম সার্ভিসে দেখা যায় দেওয়ালে তাবিজ লাগানো থাকে আটা বা ট্রেপ দিয়ে। এগুলো কাজ করলে তো আক্রান্ত হওয়ার কথা না, আমাদের কেন ডাকছেন বাসায়। এগুলো খুলতে চায় না৷ এগুলো থাকলে তো রুকইয়াহ কাজ করবে না৷ যদি বিশ্বাস করেন এসব উপকার করার ক্ষমতা রাখে, তবে শিরক হবে। এগুলো খুলে তওবা করে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে রুকইয়াহ করতে আসবেন। সমস্যা জটিল হলে একসাথে কয়েকটা সেশন করাবেন সমস্যা কন্ট্রোলে আসা পর্যন্ত।
যখন দেখবেন রুকইয়াহ করলে আর খারাপ লাগা কাজ করে না বা ইফেক্ট হয় না, তখন বুঝবেন সুস্হের দিকে, পরবর্তী ২-৩ মাস সেল্ফ রুকইয়াহ করবেন এবং মাসনুন আমল করবেন।
5.আপনারা গেরান্টি দেন বা সুস্থ হওয়ার জন্য নিশ্চয়তা দিতে পারবেন?
সৃষ্টিকর্তা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া অন্য কাহারও গেরান্টি দেওয়ার ক্ষমতা নাই৷ জন্ম মৃত্যু বিয়ে সুস্হতা রিজিক এগুলো আল্লাহর হাতে। আল্লাহ যখন যা চাইবে তাই হবে। তিনি মৃত কে জীবিত ও জীবিত কে মৃত করার ক্ষমতা রাখে এবং করে দেখায়।
এখন কোন মানুষ যদি মহান আল্লাহর এই গুনকে নিজের গুন হিসাবে বলে এবং গেরান্টি দেয়, সে হবে মুনাফিক/ মিথ্যাবাধী অথবা মুশরিক।
যাদুকর কবিরাজ আপনাকে গেরান্টি দিলো এবং বললো, “৭ দিনের ভিতর কাজ হবে।” আপনে সরল মনে বিশ্বাস করলেন।
মনে রাখেবেন কথা টা সঠিক কিনা, ১- আল্লাহর নিজস্ব ক্ষমতার দাবিদার নিজেকে বলেছে, ২-ভবিষ্যতের বিষয় আপনাকে বলেছে, যাহা একমাত্র আল্লাহ ভালো জানে।
কবিরাজকে জিগ্যাস করবেন, ” আপনে তো ভবিষ্যতের বেপারে জানেন, আপনে কবে মারা যাবেন? ” দেখেন কি উত্তর দেয়। মিথ্যবাধী ছাড়া কেহ ভবিষ্যতের বেপারে বলে না। সে নিজের মৃত্যুর তারিখ জানলে মসজিদ থেকে বের ই হতো না, সারাক্ষণ ইবাদাত করতো।
হাসপাতালে রোগী ভর্তির সময় গেরান্টি দেয় নাকি কাগজে সাইন রাখে রোগী মারা গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়?
তারাও জানে, তারা সেবা করতে পারবে, সুস্হ করার মালিক আল্লাহ, মৃত্যু দাতা তিঁনি৷ আল্লাহ মৃত্যু দিলে শত মেডিসিন দিলেও কাজ হবে না।
তাহলে হাতুড়ে যাদুকর কবিরাজরা গেরান্টি দেয় কিভাবে?
আর আপনারা বোকার মত গেরান্টি বিশ্বাস করেন কিভাবে?
6. রুকইয়াহ ফি নেওয়া কি বৈধ?
রাক্বীরা উপকারের বিনিময়ে ফি নেয় না অথবা তেলওয়াতের বিনিময়ে ও ফি নেয় না।
আপনার পিছনে যে সময় ব্যয় করেছে সে জন্য ফি নেয়। সময়ের বিনিময়ে ফি নেয়।
আপনে যদি মনে করেন রাক্বীর ফি নেওয়া হারাম,তবে মনে রাখবেন আপনে হাদিস অমান্যকারী।
আপনার কাছে কোন রাক্বীর ফি বেশি হলে বলবেন, আর্থিক অবস্থা খারাপ হলে ফি কমাই রাখবে।
হাদিসে আছে:
কুরআন মাজীদ এবং অন্যান্য দু’আ-যিকর দিয়ে ঝাড়ফুঁক করে বিনিময় গ্রহণ বৈধ।
ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া তামীমী (রহঃ) ….. আবূ সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কিছু সংখ্যক সাহাবী কোন এক সফরে ছিলেন, তারা কোন একটি আরব সম্প্রদায়ের বসতির নিকট দিয়ে রাস্তা অতিক্রমকালে তাদের নিকট মেহমানদারীর ব্যাপারে বললেন। কিন্তু তারা তাদের আতিথেয়তা করল না। পরে তাদেরকে তারা বলল, তোমাদের দলে কি কোন ঝাড়ফুঁককারী আছে? কারণ, বসতির সর্দারকে সাপে দংশন করেছে অথবা (বর্ণনাকারীর সংশয় তারা বলল-) বিপদগ্রস্ত হয়েছে। সে সময় এক লোক বলল, হ্যাঁ। তারপরে সে তার নিকট গমন করে সূরা আল-ফাতিহাহ দ্বারা ঝাড়ফুঁক করল। যার দরুন ব্যক্তিটি ভাল হয়ে গেল এবং ঝাড়ফুঁককারীকে বকরীর একটি ক্ষুদ্র পাল দেয়া হলো। সে তা নিতে আপত্তি জানালো এবং সে বলল, যতক্ষণ তা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বর্ণনা না করি— (ততক্ষণ গ্রহণ করতে পারি না)।
অতঃপর সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বিষয়টি তার নিকট বর্ণনা করে সে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর শপথ আমি ফাতিহাতুল কিতাব ছাড়া ভিন্ন কোন কিছু দিয়ে ঝাড়ফুঁক করিনি। সে সময় তিনি মৃদু হাসলেন এবং বললেন, তুমি কি করে বুঝলে যে, তা দিয়ে ঝাড়ফুঁক করা যায়? অতঃপর বললেন, তাদের নিকট থেকে তা নিয়ে নাও এবং তোমাদের সঙ্গে আমার জন্যও একাংশ রেখো। ( বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৪৫, ইসলামিক সেন্টার ৫৫৭০)
তাবিজ দেওয়া, জ্বিন জবাই করা, জিনকে বতলে বন্ধি করা, মনের আশা পুরন, বশ বিচ্ছেদ, ফিরে পাওয়া, জ্বিনের সাহায্যে কাজ করা ইত্যাদি করেন কিনা বা এসব রুকইয়াহ’র মাধ্যমে করা যায়?
উত্তর: রুকইয়াহ এক প্রকার দুয়া এবং চিকিৎসা পদ্ধতি
যেখানে শরিয়ত সম্মত উপায়ে বদ নজর কালোযাদু ও জিনের সমস্যার চিকিৎসা করা হয়।
এক জন বলে হারানো মাল টাকা কি রুকইয়াহর মাধ্যমে ফিরে পাওয়া সম্ভব?
রুকইয়াহ হলো রোগীর সামনে উচ্চ আওয়াজে তেলওয়াত করা, এখানে তো রোগের( বদনজর, কালোযাদু ও জিনের সমস্যা) কিছু নাই, রুকইয়াহ তো দূরের কথা।
তার সামনে উচ্চ আওয়াজে তেলওয়াত করলে তার প্যারানরমাল সমস্যা থাকলে ধরা পড়বে এবং কমতে থাকবে। হারানো মাল ফিরে পাবে কোন যুক্তিতে?
রুকইয়াহ সম্পর্কে না জানলে এমন প্রশ্ন করে।
হারানো মাল পাওয়ার জন্য ব্যাক্তগতভাবে দোয়া পড়তে পারে- যেমন – ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাহি রজিউন। আরও অনেক দোয় আছে অনেকে সাজেস্ট করে।
শরিয়তের বাহিরে কোন কাজ করা হয় না।
উপরে উল্লেখিত কাজ গুলোর মধ্যে আল্লাহ ছাড়া জিন বা অন্য কাহারও সাহায্য নেওয়া শিরক এবং আল্লাহ ছাড়া কেহ আপনার কোন উপকার করার ক্ষমতা রাখে না।
মনের আশা পুরন, বিয়ে করিয়ে দেওয়া, এগুলো রিজিকেন বিষয় এবং আল্লাহর ফয়সালা।
রিলেশন হারাম, হারাম কোন কাজের জন্য রুকইয়াহ নাই।
যেগুলোর ফয়সালা আল্লাহর হাতে সেগুলো কোন মানুষের কাছে চাওয়াটাও বোকামি।
আল্লাহ বলেন-
[৬:১৭] আল আনআম
وَإِن يَمسَسكَ اللَّهُ بِضُرٍّ فَلا كاشِفَ لَهُ إِلّا هُوَ وَإِن يَمسَسكَ بِخَيرٍ فَهُوَ عَلى كُلِّ شَيءٍ قَديرٌ
আর যদি আল্লাহ তোমাকে কোন দুর্দশা দ্বারা স্পর্শ করেন, তবে তিনি ছাড়া তা দূরকারী কেউ নেই। আর যদি কোন কল্যাণ দ্বারা স্পর্শ করেন তবে তিনিই তো সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
সুতরাং সাহায্য চাইলে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবেন।
রুকইয়াহ হলো আল্লাহর কাছে সরাসরি সাহায্য চাওয়ার একটা মাধ্যম।
শুধুমাত্র বদনজর কালোযাদু জিন ওয়াসওয়াসার সহ প্যারানরমাল সমস্যা, যেগুলো ডাক্তারি চিকিৎসায় ধরা পড়ে না এবং সুস্হ হয় না, সেগুলো থেকে মুক্তির জন্য করা হয়।
অন্য কোন বিষয়ে রুকইয়াহ চিকিৎসা করা হয় না।
For Ruqyah Appointment
01770-602542 whatsa app
468592032 550713314384971 3011133023283478431 n

সম্পর্কিত পোস্ট

🟥🟥🟥 বদনজর কালোযাদুতে আক্রান্ত কিনা শিওর হওয়ার উপায়। 🟥🟥🟥

🛑অনেকে জিগ্যেস করে,“আমার আসলে সমস্যা আছে কিনা কিভাবে শিওর হবো?”✅উত্তর: রুকইয়াহ চলাকালীন সময় তেলওয়াত করার সময় যদি ভিতরে ভিতরে কোন প্রকার খারাপ লাগা কাজ করে

বিস্তারিত পড়ুন »

প্রশ্ন: সুস্থ হওয়ার জন্য কত বার রুকইয়াহ করতে হয় বা কত সেশন লাগে?

প্রশ্ন: সুস্থ হওয়ার জন্য কত বার রুকইয়াহ করতে হয় বা কত সেশন লাগে? উত্তর: আল্লাহ ভালো জানে,এটা ফিউচারের বিষয়, কত বার রুকইয়াহ করলে আল্লাহ আপনাকে

বিস্তারিত পড়ুন »

Steps for Direct Ruqyah

রুকইয়াহ ধাপ সমূহ 🟥🟥🟥সরাসরি রুকইয়াহ করার জন্য স্টেপ গুলো।🟥 ১. যাদুকর /কবিরাজের চিকিৎসা নিয়ে থাকলে তওবা করা। রুকইয়াহ ও কবিরাজির পার্থক্য ভালোভাবে জানা।লিংক গুলো ভালোভাবে

বিস্তারিত পড়ুন »
×