এই লক্ষণ গুলো মিলে গেলেই বুঝবেন আপনি জিন-যাদু বা বদ নজরে আক্রান্ত।

রুকইয়াহ লক্ষণ সমূহ

এই লক্ষণ গুলো মিলে গেলেই বুঝবেন আপনি জিন-যাদু বা বদ নজরে আক্রান্ত।

আপনার সমস্যা মিলিয়ে নিনঃ .২-১ টা মিলা স্বাভাবিক। ৪-৫ টা বা আর বেশি মিলে  লক্ষণ এর পয়েন্ট মিলে গেলে বুঝবেন সমস্যা আছে।

★★★ জ্বিনের আছরের লক্ষণ সমূহ

আলোচনার সুবিধার্থে জীন দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ গুলোকে,আমরা দুই ভাগে ভাগ করে নিচ্ছি। ঘুম সংক্রান্ত এবং জাগ্রত অবস্থা

👉 ঘুম সংক্রান্ত লক্ষণ সমূহ-

(১) নিদ্রাহীনতা: যার জন্য সারারাত শুধু বিশ্রাম নেয়াই হয়, ঘুম হয় না

(২)উদ্বিগ্নতা: যেজন্য রাতে বার বার ঘুম ভেঙে যাওয়া।

(৩) বোবায়ধরা: ঘুমের সময় কেউ চেপে ধরেছে, নড়াচড়া করতে পারছে না। প্রায়ই এমন হওয়া

(৪) ঘুমের মাঝে প্রায়শই চিৎকার করা, গোঙানো, হাসি-কান্না করা

(৫) ঘুমন্ত অবস্থায় হাটাহাটি করা

(৬) স্বপ্নে কোনো প্রাণিকে আক্রমণ করতে বা ধাওয়া করতে দেখা। বিশেষতঃ কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর, উট, সিংহ, শিয়াল, সাপ।

(৭) স্বপ্নে নিজেকে অনেক উঁচু কোনো যায়গা থেকে পড়ে যেতে দেখা

(৮) কোনো গোরস্থান বা পরিত্যক্ত যায়গা, অথবা কোনো মরুভূমির সড়কে হাটাচলা করতে দেখা

(৯) বিশেষ আকৃতির মানুষ দেখা। যেমন: অনেক লম্বা, খুবই খাটো, খুব কালো কুচকুচে

(১০) জ্বিন-ভুত দেখা

যদি স্বপ্নে সবসময় দুইটা বা তিনটা প্রাণী আক্রমণ করতে আসছে দেখে, তাহলে বুঝতে হবে সাথে দুইটা বা তিনটা জ্বিন আছে।

👉 ঘুম ব্যতীত অন্য সময়ের লক্ষণ

(১) দীর্ঘ মাথাব্যথা (চোখ, কান, দাত ইত্যাদি সমস্যার কারণে নয়, এমনিই)

(২) ইবাদত বিমুখতা: নামাজ, তিলাওয়াত, যিকির আযকারে আগ্রহ উঠে যাওয়া। মোটকথা, দিনদিন আল্লাহর থেকে দূরে সরে যাওয়া

(৩) মেজাজ বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকা, কিছুতেই মন না বসা..

(৪) ব্যাপক অলসতা; সবসময় অবসন্নতা ঘিরে রাখা

(৫) মৃগীরোগ

(৬) শরীরের কোনো অংঙ্গে ব্যাথা কিংবা বিকল হয়ে যাওয়া। ডাক্তাররা যেখানে সমস্যা খুজে পেতে বা চিকিতসা করতে অপারগ হচ্ছে।

আবারও মনে করিয়ে দেই, শারীরিক রোগের কারণেও এসব হয়ে থাকে। তবে যখন দীর্ঘদিন যাবত যখন এসব লক্ষণ দেখা যাবে, তখন ভাববেন কোনো সমস্যা আছে।

★★★ যাদুতে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষন সমুহ :-

কাউকে অসুস্থ বানিয়ে দেয়ার যাদু’। এটা বিভিন্ন রকমের হয়।কখনো শরীরের কোনো অঙ্গ একেবারে বিকল হয়ে স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যায়। কখনো চিকিৎসা করলে আবার সুস্থ হয়। এরকমও হয়, কোনো অঙ্গ মাঝে মধ্যে নাড়াচাড়া করতে পারে। মাঝেমধ্য অচল হয়ে যায়। কারো পুরো শরীর আক্রান্ত হয়।

তো যাদুর ক্ষেত্রে সাধারণ লক্ষণগুলো এরকম বলা যায়-

(১) শরীরের কোনো অঙ্গে সবসময় ব্যথা থাকা

(২) কোনো অঙ্গ একেবারে অচল হয়ে যাওয়া

(৩) পুরো শরীর নিশ্চল হয়ে যাওয়া

(৪) মাঝেমধ্যেই শরীর ঝাঁকুনি বা খিঁচুনি দিয়ে বেহুঁশ হয়ে যাওয়া।

(৫) কোনো ইন্দ্রিয়শক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়া।(যেমন: স্বাদ বা গন্ধ না বুঝতে পাওয়া, শুনতে না পারা)

এতক্ষণে একটা বড় প্রশ্ন আপনার মনে উঁকি দেয়ার কথা।প্যারালাইসিস, পোলিও, এপিলেপ্সি। কিংবা অন্যান্য অসুখ-বিসুখের কারণেও তো এসব হয়।তাহলে কেউ যাদু করেছে না অসুখের কারণে হয়েছে তা বুঝার উপায় কী?’

হুম, যৌক্তিক প্রশ্ন বটে! যাদু/ জ্বিনের সমস্যার কারণে হলে সাধারণত ডাক্তারের চিকিৎসায় ফায়দা হয় না। ল্যাব টেস্ট, এক্স-রে, সিটি স্ক্যানে উল্লেখযোগ্য কিছুই পাওয়া যায় না। দ্বিতীয় আরেকটি বিষয় হচ্ছে।ঝার ফুক করে দেখতে হবে। যদি কোরআনের আয়াত কিংবা দোয়া পড়ার সময় ইফেক্ট দেখা যায়।যেমন- শরীরে ঝাঁকুনি দিয়ে ওঠে, অজ্ঞান হয়ে যায়।মাথাব্যথা পেটব্যথা শুরু হয় তবে বুঝা যায়।তাহলে বুজতে হবে যাদু করেছে কেউ। আর এরকম কিছু না হলে বুঝতে হবে যাদুটাদু নাই। তখন ডাক্তারের চিকিৎসা করাতে হবে।

★★★মেয়েদের জিন – যাদুতে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষনঃ-

👉 পিরিয়ড সমস্যা।

(১)মাসিক স্রাব তিন দিনের কম বা ১০ দিনের বেশি হওয়া ।আর এরকম সমস্যা কয়েক মাস হওয়া।

(২) সর্বদা প্রবাহিত হওয়া।

(৩) স্রাব একেবারেই বন্ধ হয়ে যাওয়া।(বয়সের কারণে নয় )

(৪)সাদা স্রাব।

(৫)স্রাবের সময় অতিরিক্ত ব্যথা-বেদনা থাকা।

(৬)ঠিকমতো ঘুম না হওয়া। ঘনঘন বোবায় ধরা বা বাজে স্বপ্ন দেখা।

(৭) অতিরিক্ত পরিমাণে রক্তস্রাব হ‌ওয়া।

(৮)শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা হওয়া বিশেষতঃ ব্যাক পেইন বা লজ্জা স্থানে ব্যথা। অধিকাংশ সময় মাথা ব্যথা করা।

(৯)পিরিয়ড বা মাসিক হবার দুই দিন আগে হতেই পেটে ব্যথা অস্থির হয়ে যাওয়া।

👉 ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্তের লক্ষন সমুহঃ-

(১) আপনি ইদানীং কারণে-অকারণে চিন্তিত থাকছেন? মাথায় বিক্ষিপ্ত চিন্তা ঘোরাঘুরি করার কারণে দৈনন্দিনের কাজ, সালাত, ইবাদত, যিকির, তিলাওয়াত ইত্যাদিতে মন বসছে না?

(২) আপনি অথবা আপনাদের পরিবারের কোন একজন কি হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে গেছে? কেমন যেন উদাস ভাব চলে এসেছে, কিছুই ভালো লাগছে না।

(৩) সালাত বা ওযু নিয়ে বেশি দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন? বারবার মনে হচ্ছে ঠিকমতো ওযু হচ্ছে না, নামাজের এই অংশটা ঠিকমত হল না।

(৪)পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অথবা পরনের কাপড় নিয়ে আপনি কি অতিরিক্ত চিন্তা করছেন?

(৫) আপনি কি অপ্রয়োজনে টয়লেট বা বাথরুমে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করছেন?

(৬) আপনি কি আপনার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে বাজে স্বপ্ন দেখছেন? যা আপনাকে ভীত করছে?

(৭) আপনার কানে কি ফিস ফিস করে শোনা যাচ্ছে আপনি কুফরের দিকে ধাবিত হচ্ছেন (কুফরি করছেন)

(৮) আপনি কি ওযু-গোসল বা ইস্তিঞ্জার সময় এক অঙ্গ বারবার ধুচ্ছেন? তবুও মনে হচ্ছে ধোয়া হয়নি ঠিকমতো।

(৯) আপনার বারবার মনে হচ্ছে যে, ওযু ভেঙ্গে যাচ্ছে? মনে হচ্ছে প্রসাবের ফোঁটা পড়ছে, অথবা সবসময় মনে হচ্ছে বায়ু বের হয়ে যাচ্ছে? কিন্তু আপনি নিশ্চিত হতে পারছেন না..

(১০) আল্লাহ, রাসুল অথবা ঈমানের ব্যাপারে, ইসলামের মৌলিক ব্যাপারে অবমাননাকর মাথায় চিন্তা আসে?

(১১) মুরব্বি, উস্তায বা বয়োজ্যেষ্ঠদের সামনে বসলে, তাদের সাথে কথা বলতে লাগলে কি আপনার ভেতর থেকে কেউ বারবার বেয়াদবির জন্য উস্কে দিতে চায়?

(১২) আপনি কি কোন অদ্ভুত শব্দ কণ্ঠ শুনতে পাচ্ছেন? কারো সাথে এটা নিয়ে আলোচনা করলে ভাবছে, আপনি প্যারানয়েড বা পাগল হয়ে যাচ্ছেন!

(১৩) আপনি কি নামাজের রাকাত ভুলে যাচ্ছেন? অথবা অন্য আরকানগুলোর ব্যাপারে ভুল হচ্ছে? সাজদাহ একটা দিয়েছেন না দুইটা দিয়েছেন সন্দেহ লাগছে? আর এসব কি প্রায় দিনই হচ্ছে?

(১৪) নামাজে সাজদা করতে গেলে মনের মধ্যে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি কিংবা দেবদেবীর মুর্তি ভেসে উঠছে?

উত্তর যদি হয় “হ্যাঁ!”

তবে আপনি শয়তানি ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত..

খেয়াল করার বিষয় হচ্ছে, এক-দুইদিন এরকম হতেই পারে। কিন্তু সবসময়ই বা দিনের পর দিন যদি আপনার মাঝে দেখা যায়, তবে বুঝতে হবে – “হ্যাঁ! সত্যিই আপনি শয়তানি ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত..

👉 জেনে নিন বদনজর লাগার লক্ষন। সমুহ।

(১) শরীরে জ্বর থাকা, কিন্তু থার্মোমিটারে না উঠা।

(২) কোনো কারণ ছাড়াই কান্না আসা

(৩) প্রায়সময় কাজে মন না বসা, নামায যিকর ক্লাসে মন না বসা।

(৪) প্রায়শই শরীর দুর্বল থাকা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব লাগা।

(৫) চেহারা ধুসর/হলুদ হয়ে যাওয়া।

(৬) বুক ধড়পড় করা, দমবন্ধ অস্বস্তি লাগা।

(৭) অহেতুক মেজাজ বিগড়ে থাকা।

(৮) আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের সাথে দেখা হলেই ভালো না লাগা।

(৯) অতিরিক্ত চুল পড়া। শ্যাম্পুতে কাজ না করা।

(১০) পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়া।

(১১) বিভিন্ন সব অসুখ লেগে থাকা, দীর্ঘদিন চিকিৎসাতেও ভালো হয় না। (সর্দিকাশি, মাথাব্যথা ইত্যাদি)

(১২) হাত-পায়ে মাঝেমধ্যেই ব্যাথা করা, পুরো শরীরে ব্যাথা দৌড়ে বেড়ানো।

(১৩) ব্যবসায় ঝামেলা লেগে থাকা।

(১৪) যে কাজে অভিজ্ঞ সেটা করতে গেলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়া।

(১৫) স্বপ্নে উঁচু থেকে পড়ে যেতে দেখা, মৃত মানুষ দেখা। অথবা স্বপ্নে কাউকে মরে যেতে দেখা।

(১৬) স্বামী স্ত্রী সহবাসে বাধা আসা, ইচ্ছে না হওয়া।

★★★ উন্নতিতে বাধা যাদুর লক্ষন-

১.শরিল গরম,

২.রুজি,পড়ালেখা,চাকরী, সার্বিক উন্নতিতে বাধা

৩. টেনশন হতাশা

৪. মেজাজ গরম, পাগলের মতো অবস্হা

৫. মাথা গরম বা ব্যাথা

৬. কোন কারন ছাড়া চাকরিতে অমনযোগ  এবং চাকরি চলে যাওয়া।

৭. দীর্ঘ দিন বেকার থাকা।

মেয়েদের পড়ালেখা শেষ করেও চাকরি বা বিয়ের ব্যবস্থা না হওয়া।

৮. হটাত অতিরিক্ত অপচয় বা টাকা নষ্ট করতে থাকা।

৯. অন্যদের সাথে আলোচনা করা কে গুরুত্ব মনে না করা এবং নিজেকে বুদ্বিমান মনে করা।

১০. নিজের মন মতো চলা,

১১.পরিবারের সদস্যাদের সাথে মনোমালিন্য

১২. বাসার খাবার কম পছন্দ করা বাহিরের খাবার বেশি পছন্দ করা

১৩. হটাত করে স্বাস্থের অবনতি হওযা

১৪. সহকর্মীদের সাথে মনোমালিন্য  ইত্যাদি।

★★★অগ্নিবান কি?

……. …….

অগ্নি বাণ হল এক ধরনের যাদু, যার করানে –

১.শরিল জালাপোড়া করে মনে হয় কেহ গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।

২. খুবই অসহ্য লাগে আত্নহত্য করতে মনে চায়।

৩. সরিল গরম থাকে।

৪. ঘুমাতে গেলে জালাপোড়া বেড়ে যায়।

৫. কাজ কামে বিরক্ত লাগে।

৬.হটাৎ  শরিলে  চুলকানি বেড়ে যায়। এবং পা থেকে মাথা পর্যন্ত চুলকাতে থাকে। শরিলের কোন অংশ লাল হয়ে যাওয়া।

৭. খারাপ স্বপ্ন দেখা

৮. ডাক্তারের রিপোর্টে কোন রোগ ধরা পড়ে না।

★★★নিদ্রা ভঙ্গের যাদুর লক্ষন( ঘুম নষ্ট বাণ)

……………

১. মেজাজ গরম থাকা

২. রাত ২ টার পরে কোন কারন ছাড়া ঘুম বেঙ্গে যাওয়া।

৩. অপ্রয়োজনী চিন্তা করা।

৪. স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া।

৫. পাগলের মত আচরন করা।

৬.পরিবারের লোকদের সাথে মনোমালিন্য

৭. ব্যবসায় বানিজ্যে লস হওয়া।

৮. দীর্ঘক্ষন চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকার পরেও ঘুম না আসা, এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা। যা আগে কখনও চিলো না। AD-DUA-Ruqyah

৯. হাল্কা আওয়াজে ঘুম থেকে জেগে যাওয়া। ইত্যাদি।

১০. এ সমস্যা দীঘদিন চলতে থাকলে পাগল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এ যাদু কি ভাবে করে?

প্রতিহিংসার কারনে কোন লোক যাদুকরের কাছে গিয়ে এ যাদু করতে বলে, যাদুকর ব্যাক্তি উক্ত ব্যাক্তির নাম,ঠিকানা বাবা মায়ের নাম বয়স ইত্যাদি নিয়ে বা কোন চিহ্ন নিয়ে যাদুমন্ত্র পড়ে করতে পারে বা তাবিজ বানিয়ে চোরাস্তায় গাড়তে বলে বা পাথর চাপা দিয়ে দিতে বলে।

★★জবান বন্ধ বাণের লক্ষন।

১. কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলে দম বন্ধ হয়ে আসা।

২. তার চলাফেরা অসহ্য লাগলেও কিছু বলতে না পারা।

৩ মাঝে মধ্য বুমির ভাব আসে

৪.কোন কারনে উক্ত ব্যক্তিকে কিছু বললে হাপাতে থাকা ও অসুস্হ হয়ে পড়া এবং কিছুদিন বিচানায় পড়ে থাকা।

৬. মাঝে মধ্য স্বাস কষ্ট হওয়া

৭. মঝে মধ্য শত্রুর প্রতি মহব্বত কাজ করা।

৮. সরিল ঝালাপোড়া

এ যাদু কি ভাবে করে?

যাদুকররা মন্ত্র পড়ে বা কুফরি তাবিজ বানিয়ে পাথর চাপা দিয়ে বা মাচের পেটে ভরে মুখ সেলাই করে নদীতে / পুকুরে ছেড়ে দেয়। বা নদীর কিনারায় গাড়তে বলে। এতে করে ভিকটিমের মুখ বন্ধ হয়।

★★★পেটে খাওয়ানো যাদুর লক্ষণ সমূহ :-

১। পেটের খিদে আস্তে আস্তে কমে যায় , পেটে আর বেশি খিদা লাগেনা , পেট সবসময় ভরা ভরা লাগে ,খেতে ইচ্ছে হয় না, খাবার খেলেও অল্প পরিমাণে খাবে।

২। যদি জ্বিনের মাধ্যমে জাদু করা হয় স্বপ্নে ভিবিন্ন খাবার খেতে দেখা বিষয় এক্ষেত্রে সরাসরি কিছু না খাওয়ালেও জ্বিনের মধ্যে খাবার খাওয়ানো হয়।

৩। চেহেরা দিন দিন কালচে ও শুকিয়ে যাওয়া ও বুক ধরফর করা ও মানুষিক অস্বস্তিতে ভোগা।

৪। প্রায় সময় বমি বমি ভাব হয় কিন্তু বমি হয়না (আবার কখনো কখনো হয়তো বমি হয়েও যায়)

৫। পেটে জ্বালাপুড়া করা, কোন প্রকার জ্বাল খাবার একেবারে খেতে না পারা।পেটে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গ্যাস হওয়া ওষুধে স্থায়ী ভাবে কাজ না করা।

৬। এর জন্য ওষুধ খেয়েও তেমন ভালো হয়না, কিছু দিন পরে ওষুধ খেলেও কাজ হয়না,গ্যাস কমে না এবং আস্তে আস্তে বেশি দামি গ্যাসের ট্যাবলেট খেতে হয়।

৭। পেট গরম থাকে, গরম খাবার খেলেই পেট গরম হয়ে যায়।

৮। পেটে খাওয়ানো যাদুর রোগিকে রুকইয়াহ (ঝাঁড়ফুক) করতে শুরু করলে বমি বমি ভাব হয় বা বমির ভাব টা আরো বেড়ে যায় এবং কখনো কখনো বমি হয়েও যায়।

৯। প্রায় সময় পেট ও বুকের ভেতর কাটার মতো ঘা দেয় বিঁধে।

১০। লিভার দুর্বল হয়ে যায় , এর জন্য দুই তিন দিনেও বাথরুম হয়না।

১১। পায়খানা কসের মতো হওয়া ও প্রায় আমেশার মত হওয়া।

১২। বন্ধ ঘরে একা থাকতে পারবেনা তার প্রচন্ড ভয় লাগবে মনে হবে যেন তার পিছনে কে যেন রয়েছে।

১৩। তার বুক ধড়ফড় করবে, সবসময় ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় থাকে।

১৪। কখনো কখনো তার শরীর থেকে পোড়া পোড়া গন্ধ বের হতে থাকে।

১৫। এর প্রভাবে দাঁতের সমস্যা হয়ে থাকে কারো কারো ক্ষেত্রে

১৬। নাভির চারপাশে প্রচুর ব্যথা অনুভূত হওয়া।

১৭। মাথা সবসময় ধব ধব করবা, মাথা সবসময় ভারি হয়ে থাকা, প্রচুর টেনশন ও যন্ত্রণা হবে, আগুনের মতো তাপ বের হতে থাকা, মনে হয় যেন প্রেসার।

১৮। এ ধরনের ব্যক্তি একা ঘরে থাকতে ভয় পায়/রাতে একা কোথাও হাটলে মনে হয় পিছন দিয়ে কেউ আসছে অথচ কিছু না।

১৯। রাতে ঘুমানোর মধ্যে মৃত ব্যক্তি স্বপ্নে দেখা, মনে করবে কেউ তাকে পাঁকড়াও করছে, বিভিন্ন জীব জন্তু তাকে আক্রমন করতে দেখা।

২০। রাতে সহজে ঘুম আসবে না এবং একবার ঘুম ভেঙ্গে গেলে আবার চোখে ঘুম আসতে অনেক সময় লাগা

২১। ঘুমের মধ্যে ভয়ে শরীর ঝাঁকি দিয়ে উঠা, ইত্যাদি।

★★★দাপনকৃত যাদুর লক্ষন:-

(কবরে বা মাটিদে পুঁতে রাখা যাদুর লক্ষন)

১.// প্রায় সময় বা মাঝেমধ্যে খোঁচানো বা বিদ্ধ করার আকারে খুব তীব্র মাথাব্যথা ২.// ঘুমের সময় দম বন্ধ হয়ে যায়

৩.// স্বপ্নে কবর এবং প্রচুর পরিমাণে মৃত মানুষ দেখা ।

৪.// শরীর সাধারণ দুর্বল লাগা , কাজকর্ম করতে অক্ষমতা অনুভব করা । ৫.// কাজকর্মে ভুল করা , কোনো কাজ বেশিক্ষণ সময় ধরে করতে না পারা , অমনোযোগীতা , মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা ।

৬.// ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় উড়তে দেখা ।

৭.// ঘুমের মধ্যে খুব উঁচু জায়গা থেকে পড়ে যাওয়া এবং পড়ার জন্য নিচে কোনো জিনিস না পাওয়া ।

৮.// কঙ্কাল , মাথার খুলি এবং প্রেতাত্মা বা জ্বিন ভুতের প্রচুর স্বপ্ন দেখা ।

৯.// চোখ বন্ধ করলেই বা ঘুমের মধ্যে বিভিন্ন ভয়ংকর আকৃতি চোখের সামনে ভেসে ওঠা ।

১০.// শরীরেবাম বা ডান দিকের কোনও একটি সাইটে লম্বালম্বি ব্যথা বা অসাড়তা অনুভব করা ।

১১.// চোখের পাতা বা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গোশত লাফানো ।

১২.// কোনো কারণ ছাড়াই বা অযৌক্তিক তীব্র ভয় ভয় লাগা ।

১৩.// মৃত্যুর সংবাদ শুনলে ভয় লাগা । ১৪.// মাথার পিছনে বা চোখের সাথে কপালে মাথা ব্যথা ।

১৫.// পছন্দনীয় জিনিস গুলো অপছন্দ লাগা , সেগুলো থেকে বিরত থাকা ।

১৬.// মাছ খেতে অপছন্দ ও ঘৃণা করা । কখনো কখনো কেবল মাছের গন্ধ অসহ্য লাগা এবং মাছের গন্ধ লাগলেই বমি হওয়া ।

১৭.// ধ্বংসস্তূপ ও নির্জন জায়গার প্রচুর স্বপ্ন দেখা

১৮.// কারণ ছাড়াই বুকে সংকীর্ণতা ও কষ্ট অনুভব করা ।

১৯.// নিঃসঙ্গতা , একাকীত্বতা , গুটিয়ে ও লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করা , ভালো লাগা ।

২০.// মাথা ব্যথা এবং চোখে ঝাপসা দেখা

২১.// প্রায়শই দুর্গন্ধ পাওয়া ।

২২.// শরীরের কোনো এক পার্শ ঘামা ।

২৩.// পা ভারি ভারি লাগা ।

২৪.// খুব বেশি ভুলে যাওয়া ।

২৫.// পিঠে এবং কাঁধে ব্যথা

২৬.// যে কোনো বিষয়ে চরম একঘেয়েমি ।

★★★বিয়ে ভাঙ্গা/আটকে রাখা বা বিয়ে বন্ধ করার যাদুর লক্ষণসমূহঃ

ক) বিয়ের আলোচনা শুরু হলেই অসুস্থ হয়ে পড়া।

খ) (সকল) পাত্র/প্রস্তাবদাতাকে খারাপ লাগা। প্রস্তাব মনমতো না হওয়া। অহেতুক সন্দেহ সৃষ্টি হওয়া।

গ) কোনো কারণ ছাড়াই বিয়েতে আগ্রহহীন হওয়া।

ঘ) ঠিকঠাক ঘুম না হওয়া। ঘুমের মধ্যে ভয় পাওয়া। ঘুম থেকে উঠার পর কষ্ট হওয়া।

ঙ) প্রায় সময়ই মনে অস্থিরতা কাজ করা। সাধারণত সন্ধ্যা থেকে এরকম হয়।

চ) পিঠে প্রচন্ড ব্যাথা। বিশেষকরে কোমরের দিকে (পিঠের নিচের অংশে)।

ছ) মাথা যন্ত্রণা এবং তা চিকিৎসায় ভালো না হওয়া।

জ) পেটে প্রায়সময়ই ব্যাথা হওয়া।

ঞ) স্বপ্নদোষ বা জ্বীনের সাথে সহবাস (ঘুমের মধ্যে মেলামেশা করতে দেখা)।

★★★মস্তিষ্কবিকৃতি বা পড়ালেখা নষ্ট করার যাদুর লক্ষণসমূহঃ

========================

ক) পড়ালেখায় হঠাৎ করে অবনতি। স্মৃতিশক্তি অস্বাভাবিকভাবে লোপ পাওয়া।

খ) পরীক্ষা আসলেই অসুস্থ হয়ে পড়া।

গ) কথাবার্তা, কাজকর্মে ভুলভ্রান্তি বেড়ে যাওয়া। ওয়াসওয়াসা বেড়ে যাওয়া।

ঘ) ঘুম না আসা। ঠিকভাবে ঘুমাতে না পারা।

ঙ) ভয়ংকর স্বপ্ন দেখা। স্বপ্নে কেউ ধাওয়া করা।

চ) একস্থানে বেশীক্ষণ স্থির থাকতে না পারা। কোনো কাজ ধীরস্থিরভাবে করতে না পারা। সিরিয়াসনেস কমে যাওয়া।

ছ) জাগ্রত অবস্থায় “কেউ যেন ডাকছে” এরকম মনে হওয়া।

জ) অকারণে হুটহাট বাড়ির বাইরে চলে যাওয়া, যেতে ইচ্ছে করা।

ঝ) মাঝেমাঝে পাগলের মতো আচরণ করা।

ঞ) পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে উদাসীন হওয়া। ছেড়া ও ময়লা কাপড় পরতে ইচ্ছে হওয়া।

ট) চোখের অবস্থা পরিবর্তন এবং অসুন্দর হয়ে যাওয়া। ইত্যাদি।

★★★ বিচ্ছেদের যাদুর লক্ষণসমূহঃ

================

ক) সামান্য বিষয় নিয়েই উভয়ের মধ্যে ব্যপক মতানৈক্য ও ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি হওয়া। যদিও অন্যদের সাথে এরকম হয় না।

খ) একজনের নিকট অপরজনের সকল কাজ-কর্মই অপছন্দ হওয়া।

গ) হঠাৎ ভালবাসা থেকে শত্রুতায় পরিবর্তিত হওয়া।

ঘ) পরস্পর ক্ষমা না চাওয়া ও ক্ষমা না করা।

ঙ) উভয়ের মাঝে প্রচন্ড সন্দেহের সৃষ্টি হওয়া।

চ) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজনের চেহারা অপরজনের চোখে বদলে যাওয়া।

ছ) একে অপরের ব্যবহৃত জিনিস ও বসার জায়গা অপছন্দ করা।

জ) একে অপরের উপস্থিতি সহ্য করতে না পারা। সবসময় ভাল থাকে কিন্তু সঙ্গীর নিকট আসলেই গোলমাল শুরু। ইত্যাদি।

ঝ) স্বামী স্ত্রী সহবাসে বাধা আসা, যৌনমিলনে আগ্রহ হরিয়ে ফেলা।

ঞ) দির্ঘ সমায় যৌনমিলন করতে না পারা, বা অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া বা হাপাতে থাকা।

★৬। বন্ধাত্ব জনিত সমস্যা ও গর্ভের সন্তান নষ্ট করার যাদুর লক্ষণসমূহ

★★★ ১)বন্ধ্যাত্ব বা বাচ্চা না হওয়ার কারণঃ

==================

বন্ধাত্ব কেনো হয়???

যাদুর বন্ধত্ব আর প্রকৃত বন্ধত্বের মধ্য পাথক্য।

যাদুর দ্বারা বনাধত্ব হলে নিম্নের লক্ষণসমূহ

ক) রুগী আসরের পর থেকে অধরাত পযন্ত

মানুষিক অস্বতি অনুভব করবে।

খ) স্মরণশক্তি কমে যাওয়া।

গ) মেরুদন্ডের নিচে ব্যাথা।

ঘ) ঘুমের মধ্য অস্বিরতা।

ছ) ভীতিজন্ক স্বপ্ন দেখা।

ঙ) বুকের বাম পাশে ব্যাথা।

চ) স্বপ্নদোষ ও ঘুমের মধ্যে জ্বিনের সাথে সাহবাস

ছ) স্বামী-স্ত্রী কারো যৌন সমস্যা দেখা দেওয়া।

……. মহিলার বন্ধাত্ব……

বন্ধত্ব তিন প্রকার।

প্রথমঃ সৃষ্টিগত বন্ধাত্ব।

সৃষ্টিগত বন্ধ্যাত্ব যেটা জন্মগতভাবেই হয়ে থাকে। এ জাতীয় সমস্যা যাদের তাদের অধিকাংশ সময় জরায়ু থাকে না।

দ্বিতীয়ঃ মানুষের ক্ষতি বা যাদুর মাধ্যমে বন্ধাত্ব।

মানুষের ক্ষতির মাধ্যমে যে সমস্ত বন্ধ্যাত্ব বাচ্চা হওয়া আটকে রাখা হয়।

জাতীয় সমস্যা হলে ডাক্তার দেখালে অনেক সময় কোন রোগ বা কোন সমস্যা ধরা পড়ে না,,,,

আবার অনেক সময় ডাক্তার বলে বা ধরা পড়ে যে কোন টিউব ব্লক আছে বা ডিম্বাণু ফোটে না বা বড় হয়না।

তৃতীয়ঃ জ্বীনের ক্ষতি বা জিনের মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি।

এ জাতীয় সমস্যা স্বামী-স্ত্রী যে কেউকে এমন ক্ষতি করতে পারে।

বন্ধ্যাত্ব জনিত সমস্যা পুরুষেরঃ

পুরুষের এ ধরনের সমস্যা থাকলে সাধারণত যৌন মিলনে অক্ষম, বা যৌনমিলনে দির্ঘক্ষণ সময় দিতে না পারা অথবা যৌন মিলনে বীর্য পাতলা হওয়া এবং মিলনের সময় বীর্য বাইরে বেরিয়ে আসা।

★★গর্ভের সন্তান নষ্ট করার যাদুর লক্ষণসমূহঃ

========================

ক) বারবার Conceive (গর্ভধারণ) হওয়ার পর Miscarriage (গর্ভপাত) হয়ে যাওয়া।

খ) মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যাথা।

গ) ঘুমের মধ্যে অস্থিরতা। ঠিকভাবে ঘুম না হওয়া।

ঘ) মানসিক অশান্তি। বিশেষকরে বিকাল থেকে।

ঙ) ভয়ংকর ভয়ংকর স্বপ্ন দেখা।

চ) সহজেই সবকিছু ভুলে যাওয়া।

ছ) বুকের মধ্যে শক্ত বা ভারি ভারি অনুভূত হওয়া। ইত্যাদি।

★★★সহবাস বা যৌনমিলনে অক্ষমের জাদুতে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ।

==================

– পুরুষের ক্ষেত্রে

ক) বিয়ের পূর্বে সুস্থ থাকলেও বিয়ের পর ক্রমশ যৌন মিলনের সক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

খ) সম্পূর্ণ শারীরিক সুস্থতা থাকা সত্ত্বেও স্ত্রীর সাথে সহবাসে হঠাৎ অক্ষম হয়ে পড়ে।

গ) মিলনপূর্ব সময়ে স্বাভাবিক থাকলেও মিলনের সময় পুরুষাঙ্গ দুর্বল, নিস্তেজ হয়ে পড়ে ।

ঘ) সহবাসের সময় বা এর কিছুক্ষণ পূর্বেই যৌন অনুভূতি হারিয়ে ফেলে।

ঙ) যৌনমিলনে বা সহবাসে অনাগ্রহ বা ধিরে  ধিরে সাহবাসের হারিয়ে ফেলা।

*************

-নারীদের ক্ষেত্রে

ক) কুমারী মেয়েকে বিয়ের পর অকুমারী মনে হয় । এতে স্বামীর মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয় । কিন্তু এই জাদুর চিকিৎসা করে জাদু নষ্ট হওয়ার পর আর এমন মনে হয়না।

খ) স্ত্রী তার স্বামীকে কাছে আসতে অনিচ্ছা নিয়ে বাধা দেয়।

গ) সহবাসের সময় বা এর কিছুক্ষণ পূর্বেই যৌন অনুভূতি হারিয়ে ফেলে।

ঘ) স্বামী কাছে আসতে চাইলে অনিচ্ছায় দুই উরু একত্রিত করে ফেলে।

ঙ) কেবল সহবাসের সময় জরায়ু থেকে রক্ত বের হয়। (এমনিতে জরায়ু থেকে রক্তক্ষরণ জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার একটি লক্ষণ।)

তলপেটে ব্যাথা

চ) সহবাসের সময় তার স্বামী যৌনাঙ্গের মধ্যে মাংসের প্রতিবন্ধকতা পায়, ফলে সহবাস সফল হয়না।

ছ) ব্যাথা করা, ফুলে যাওয়া, সহবাসের পরে হাটাচলা করতে অসুবিধা, কোমর ব্যাথা,  সহবাসের সময় কান্না করা ইত্যাদি।

………………….

লক্ষ্যনীয়ঃ

# যাদুর লক্ষণগুলীর ক্ষেত্রে পাশাপাশি জ্বিনের আসরের লক্ষণও মিলিয়ে দেখা আবশ্যক।

★★★অদৃশ্য আওয়াজের যাদু

এ যাদুর নিদর্শনসমূহ

১. ভয়ংকর স্বপ্ন দেখা ।

২. স্বপ্নে তার মনে হবে কেউ তাকে ডাকছে ।

৩. জাগ্রত অবস্থায় বিভিন্ন আওয়াজ শুনবে কিন্তু কোনো লোক দেখবে না ।

৪. অধিক সন্দেহপ্রবণ হবে ।

৫. বন্ধু – বান্ধবের প্রতি অধিক সন্দেহপ্রবণ হবে ।

৬. স্বপ্নে মনে করবে সে উঁচু কোনো স্থান হতে পড়ে যাচ্ছে ।

৭. স্বপ্নে ভয়ংকর প্রাণীকে তার পেছনে ছুটে আসতে দেখবে ।

এ যাদু কীভাবে করা হয়

যাদুকর একটি জিনকে এ দায়িত্ব দিয়ে পাঠায় যে , ওমক ব্যক্তিকে ঘুমন্ত এবং জাগ্রত অবস্থায় সন্দিহান করে তোল । সুতরাং জিন ঘুমন্ত অবস্থায় তার সামনে হিংস্র প্রাণীর আকৃতি ধারণ করে এবং জাগ্রত অবস্থায় পরিচিত মানুষের স্বরে কিংবা অদ্ভুত আওয়াজে ডাকে । এভাবে তাকে নিকটাত্মীয় এবং বন্ধুবান্ধবের ব্যাপারে সন্দিহান করে তোলে । এভাবে যাদুর তারতম্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রকার নিদর্শন দেখা যেতে থাকে । কখনো কখনো যাদুর প্রতিক্রিয়ায় রোগী পাগল হয়ে যায় । আর যদি যাদু দুর্বল শক্তির হয় , তাহলে সন্দেহ – সংশয় পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে।

★★★আসক্ত বা বশীকরণ ও বশ করার জাদুর লক্ষণঃ

===============

ক) সবসময় স্ত্রীর চিন্তা মাথায় ঘােরা, অন্যকিছুতে মন দিতে না পারা।

খ) সবসময় স্ত্রীকে দেখতে ইচ্ছা হওয়া, বাড়ির বাইরে থাকতে না পারা। বাড়িতে থাকলে সারাদিন স্ত্রীর পিছুপিছু ঘােরা।

গ) যখন – তখন স্ত্রীর সঙ্গে শুধু সঙ্গম করতে ইচ্ছে হওয়া। সারাদিনে এই চিন্তা মাথায় ঘােরা।

সহবাসের ব্যাপারে অধৈর্য হয়ে যাওয়া।

ঘ) বিশেষ কোনাে কারণ ছাড়াই কারও প্রতি অতিরিক্ত অনুরক্ত হয়ে যাওয়া।

ঙ) যাকে পছন্দ করতেন না বা পাত্তা দিত না , হঠাৎ কোনাে কারণ ছাড়াই তার প্রতি তীব্র ভালােলাগা শুরু হয়ে যাওয়া।

চ) কোনাে বাছ – বিচার ছাড়াই স্ত্রীর কথা অন্ধের মতাে মানতে শুরু করা। পরে যদিও – বা কখনাে এটা বুঝতে পারে, তারপরও অজানা কারণে তার প্রতি নিজেকে বাধ্য মনে হওয়া।

লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে , প্রচলিত জাদুগুলাের মধ্যে এই জাদুর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উল্টাপাল্টা প্রভাব হয়। কারণ, জাদুর পানীয় বা ‘পােশন’ তৈরি বেশ কঠিন কাজ আর এই জাদুতে বেশি পরিমাণে পােশন ব্যবহার হয়। ফলে বেশিরভাগই এখানে ভুল করে আর বিভিন্ন ক্ষতি হয়ে যায়। যেমন:

১. কখনাে আসক্ত হওয়ার বদলে বিরক্তিকর মনােভাব বেড়ে যায়। এমনকি অনেক সময় সকল মেয়ে মানুষের প্রতি ঘৃণা চলে আসে।

২. এই বিপরীত প্রভাবের জন্য কেউ হুট করে বউকে তালাক দিয়ে দেয়।

৩. কখনাে স্ত্রী বাদে বাকি সবাই — যেমন : ভাই – বােন , বাবা – মা , আত্মীয়স্বজনদের প্রতি বিদ্বেষী হয়ে যায়।

৪. এর প্রভাবে মানুষ কখনাে একদম পাগল হয়ে যায় । কেউ একদম পাগল না হলেও প্রায় পাগলের মতাে আচরণ করে।

৫. এর প্রভাবে কখনাে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে যায় । তখন কাজকর্ম তাে দূরের কথা, বিছানা থেকেই উঠতে পারে না। আর এজন্য ডাক্তারের চিকিৎসা করেও তেমন কোনাে উপকার হয় না।

★★★আশিক জ্বিনের আছরের সমস্যায় রুকইয়াহঃ

—————-

[ক]

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম,

জ্বিন আল্লাহ তায়ালার এক সৃষ্টি, কুরআনে তাদের সৃষ্টি সম্পর্কে অনেক গুলো আয়াত রয়েছে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন,

“তিনি জ্বিনকে সৃষ্টি করেছেন ধোঁয়াবিহীন অগ্নিশিখা থেকে।” (সুরা আর-রাহমান ১৫)

“এর পূর্বে উত্তপ্ত আগুন থেকে জ্বিনকে সৃষ্টি করেছি।” (সুরা হিজর ২৭)

——————

আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় হলো, আশিক জ্বিন।

——————

আশিক জ্বিনের আচরণঃ

*এই জ্বিন আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে কুৎসিত এবং আপত্তিকর উপায়ে তাকে ব্যবহার করে থাকে, এটা এক প্রকার জুলুম এবং এর থেকে নিস্তার পেতে শরীয়তসম্মত পদ্ধতিতে রুকইয়াহ করা উচিত।

*জ্বিনের সমস্যা গুলোর মাঝে এই ধরনের সমস্যাগুলো সাধারণত তুলনামূলক জটিল এবং ঝামেলাপূর্ণ হয়, যদিও এটা নতুন কোন বিষয় না, তবুও অধিকাংশ মানুষে এ ব্যাপারে ভুল ধারণা রাখে।

——————

শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন, “জ্বিন যৌন ইচ্ছা পূরণ করার জন্য, খারাপ ইচ্ছা অথবা ভালোবাসা থেকে মানুষকে দখল করার চেষ্টা করে, এটা ফাহেশা (অশ্লীল) এবং নিষিদ্ধ আচরণ, এমনকি যদি সেটা দুইজনের সম্মতিতে হয় তবুও, আর যদি জ্বিন সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় এই কাজ করে তাহলে এটা জুলুম।”

যারা এরকম করে তাদেরকে জানানো উচিত, মানুষ এবং জ্বিনদের জন্য আল্লাহ এবং রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আইন অনুযায়ী তাদের বিচার হবে।

ইবনে তাইমিয়া (রহিমাহুল্লাহ). বলেন, “আনন্দ হাসিলের অর্থ হচ্ছে, নিজের ইচ্ছামত কারো কাছ থেকে কোনকিছু নিয়ে নেয়া বা যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে তাকে ব্যবহার করা, কিন্তু কোন জুলুমই শেষ অবধি শাস্তিবিহীন থাকবে না, তা ইহকালে হোক কিংবা পরকাল।

যেমনটা আল্লাহ তায়ালা বলেছেন–

“সেদিন তিনি তাদের সবাইকে একত্রিত করবেন, বলবেন, হে জিন সম্প্রদায়, তোমরা তো অনেক মানুষকেই গোমরাহ করেছো, মানুষের মধ্যে থেকে তাদের বন্ধুরা বলবে, হে আমাদের মালিক, আমরা একে অপরের দ্বারা দুনিয়ার জীবনে লাভ করেছিলাম, আর এভাবেই আমরা চুড়ান্ত সময়ে এসে হাজির হয়েছি, যা তুমি আমাদের জন্য নির্দিষ্ট করে রেখেছিলে; তিনি (আল্লাহ তায়ালা) বলবেন, তোমাদের ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম, সেখানে তোমরা চিরকাল থাকবে, অবশ্য আল্লাহ তায়ালা যা কিছু চাইবেন (তা আলাদা); তোমার মালিক অবশ্যই প্রজ্ঞাময়, সম্যক অবহিত।” (সুরা আনআম, ১২৮)”

*চরিত্র, শক্তি, চেহারা ভেদে এ ধরনের জ্বিনরা অনেক রকমের হয়, মানুষ যেরকম একজন আরেকজনের প্রতি ভালোবাসা, কেয়ার করা ইত্যাদি নানাভাবে আবেগ প্রবণ হয়ে যায়, সেরকমই কোনো কোনো জ্বিন আক্রান্ত ব্যক্তির প্রতি বেশ কেয়ারিং হয়ে যায়।

আবার কোনো জ্বিন বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করে ব্যক্তির দেহ ‘উপভোগ’ করা শুরু করে।

এরকম জ্বিন আক্রান্ত ব্যক্তির জীবনে অনেক জটিলতা তৈরি হয়।

চারপাশের সবার সাথে তাদের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে, বিভিন্ন কারণে মানুষ এরকম জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে, রুকইয়া ইনডেক্সের জ্বিন সিরিজে জ্বিন অধ্যায়ে আক্রান্ত হওয়ার কারণ নিয়ে আলোচনা আছে।

====================

[খ]

আশিক জ্বিনের প্রকার ভেদঃ

একঃ

এক প্রকার আশিক জ্বিন হলো- যারা ব্যক্তির দেহকে ভালোবাসে এবং দেহের প্রতি মোহাবিষ্ট হয়ে পড়ে এবং এই দেহে তাদের সবরকম অধিকার আছে বলে মনে করে।

আক্রান্ত ব্যক্তির দেহকে শুধুই একটা ভোগের বস্তু মনে করে।

কেউ কেউ মনে করে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে তাদের বিয়ে হয়ে গেছে।

আক্রান্ত ব্যক্তি বিবাহিত হলে, জ্বিন তাদের বিবাহিত জীবনে অনেক জটিলতা তৈরি করে।

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মাঝে নানান জটিলতা সৃষ্টি করে শেষ অবধি তালাক পর্যন্ত নিয়ে যায়।

আক্রান্ত ব্যক্তি অবিবাহিত হলে তার বিবাহ নিয়ে নানান জটিলতা তৈরি করে বিয়েকে প্রায় অসম্ভব করে তোলে।

—————————-

দুইঃ

আরেক প্রকার আশিক জ্বিন ব্যক্তির দেহের কোনো একটা নির্দিষ্ট অঙ্গের প্রতি মুগ্ধ হয়ে পড়ে, যেমন- চোখ, হাত, মুখ, চুল, ইত্যাদি।

এই ‘ভালোবাসার’ কারণেই সে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নানান সমস্যায় ফেলে দেয়, যেমন- নানান শারীরিক অসুস্থতা, বৈবাহিক জীবনে অশান্তি, অবিবাহিতদের বিয়েতে ঝামেলা।

এই ক্ষেত্রে দেখা যায় তুচ্ছ কারণে অথবা কোনো কারণ ছাড়াই বিয়ে হচ্ছেনা বা প্রস্তাব আসলেও পরে আর কোনো যোগাযোগ করছে না।

—————————

তিনঃ

এই প্রকারের আশিক জ্বিন অনেক বেশি ক্ষতিকর এবং এরা ফাহেশা বা অশ্লীল কাজে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ব্যবহার করে।

পার্ভার্ট / বিকৃত রুচির জ্বিন বলতে পারেন।

মানসিক এবং শারীরিকভাবে অনেক টর্চার করে, কখনো তাদের পরিচিত অথবা অপরিচিত মানুষের রূপে এসে ধর্ষণ করে, এটা স্বপ্নের মত অথবা জাগ্রত অবস্থায়ও হতে পারে।

কখনো আক্রান্ত ব্যক্তির বন্ধু বা তার সাথে যে থাকে তাকেও পজেস করে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোতে উদ্বুদ্ধ করে।

আক্রান্ত ব্যক্তিকে সমকামীতায় অথবা কোনো প্রানীর সাথে শারীরিক সম্পর্কেও জড়াতে চায় অনেক সময়।

———————-

চারঃ

আমাদের মধ্যে যেমন গরু ছাগলের মত জন্তু জানোয়ার আছে, জ্বিনদের মধ্যেও তাদের নিজস্ব জন্তু জানোয়ার আছে।

জ্বিনদের মধ্যে কিছু জন্তু জানোয়ার অন্য প্রানীদের সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে চায়, এই উদ্দেশ্যে তারা আক্রান্ত ব্যক্তিকে ব্যবহার করে বিভিন্ন জন্তু জানোয়ারের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে, এরকম সম্পর্ক আজকাল বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি বুঝতে পারেনা কেনো তাদের মাথায় এরকম জঘন্য চিন্তা আসছে, আর কেনই বা তারা এরকম জঘন্য কাজ করছে, এতে তাদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা, উদ্বেগ, ঈমানের ঘাটতি তৈরি হয়।

সবচেয়ে ভয়াবহ হলো, এতে আক্রান্ত ব্যক্তি অনেক ক্ষেত্রে আত্মহত্যা করে বসে।

————————-

পাঁচঃ

এই প্রকারের জ্বিন প্রতিরাতে আসে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য, সে ব্যক্তির শরীরে বসবাস করেনা।

আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে তার ‘অধিকার’ আছে এরকম ধারণা থেকে নিজের ইচ্ছামত আসে এবং চলে যায়, এরকম রোগীর সংখ্যা বেশি, এর প্রতিকার নিয়ে “রাত্রিতে জ্বিনের সমস্যা” প্রবন্ধে  কোনো মানুষের সাথে কু-কর্মে লিপ্ত থাকে।

———&&&&&&&

  ★★★আপনি যেভাবে বুঝবেন, আপনি আশিক জিন দ্বারা আক্রান্ত কিনা?

—————————————–

১. স্বপ্নদোষের সময় অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হওয়া। অনেক সময় যাদুর প্রভাবেও অতিরিক্ত সপ্নদোষ হয়। নারী পুরুষ উভয়ের হয়।

২. জেগে থাকা অবস্থায় ব্যক্তি শুয়ে থাকে কিন্তু কিছুক্ষণের জন্য শরীর অবশ হয়ে যায় বিশেষ করে হাত ও পা। আর জ্বীন যখন তার সংগে ব্যভিচারে করে সেটা ব্যক্তি কখনো কখনো বুঝতে পারে কিন্তু কাউকে ডাক দেওয়া বা কিছু করার উপায় থাকেনা। তবে সব সময় যে বুঝা যাবে সেটাও না। তবে কিছু না কিছু সূত্র থাকবে।

৩. জাগ্রত অবস্থায় জ্বীন জেনা করতে পারে এবং এই সময় জ্বীনকে রোগি দেখতেও পারে, নাও দেখতে পারে। তবে অনুভব হয়। ব্যাপারটা অনেকটা হেলুসিনেশন এর মত হতে পারে।

৪. কোন জ্বীন যদি কোন মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার উদ্দ্যেশেই পজেস করে তাহলে নারীর শরীরে বিভিন্ন জায়গায় দাগ থাকে,এই দাগ মাঝে মাঝেই মেয়ের শরীরে দেখা যায়,শারীরিক সম্পর্ক না হলেও এরকম দাগ দেখা যাবে,লাল দাগ, খামচি বা কামড়ের দাগ, বিশেষ করে গলা, পিঠে, ঘাড়ে এবং লজ্জা স্থানসমূহ এবং লজ্জাস্থান ব্যথা, ফুলে যাওয়া , অসময়ে পিরিয়ড হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

৫. কোন জ্বীন যদি কোন পুরুষ বা নারীকে পছন্দ করে তখন ওই জ্বীন সবসময় ভিকটিমের আশেপাশে থাকে, যখন ঘুমায় তখন আসে, ঘুমের মধ্যেই শারীরিক সম্পর্ক করে, ভিকটিম তখন বাস্তবতা অনুভব করতে পারে কিন্তু কাউকে দেখে জগনা ও বলার মতো অনুভূতি শক্তি থাকেনা।

৬. আশিক জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত হলে সেই সকল নরনারীর দের স্মৃতি শক্তি কমে যায়।

৭. খাওয়ার অনিহা সৃষ্টি হয়।

৮. মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় ও অল্পেই খুব রেগে যায়।

৯. আত্মকেন্দ্রিক ঘরকুনো হয়ে যায়। এরা আস্তে আস্তে খুব অলস প্রকৃতির মানুষ হয়ে যায়।

১০. পড়াশোনার প্রতি, ইবাদাতের প্রতি, পরিবারে প্রতি অমনোযোগী হয়ে যায়। আল্লাহ তা’য়ালার জিকির ও কুরআন তিলাওয়াতের প্রতি তাদের মনে প্রখর অনিহা থাকে।

১১. অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতা পছন্দ করে। এধরনের ব্যক্তিরা ঘুমাতে খুব পছন্দ করে, কারন সে যখনই ঘুমায় জিন তার খারাপ উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত করার সুযোগ পায়।

১২. পুরুষ জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত মেয়েরা সাধারণত পুরুষদের পছন্দ করেনা, তবে মহিলা জিন (পেত্নী) দ্বারা আক্রান্ত ছেলেরা মেয়েদের প্রতি আকর্যণ বেরে যায়

১৩. একাকী থাকতে পছন্দ করে ও অগোছালো থাকতে বেশি পছন্দ করে।

১৪. বিবাহিত মেয়েরা স্বামী থেকে দুরে থাকতে পছন্দ করে কোন কারন ছাড়াই। পুরুষ হলে নারী আসক্তি বেড়ে যায় কিন্তু নারীদের এড়িয়ে চলে অথবা নারীদের প্রতি আসক্তি বেড়ে যায় কিন্তু নারীদের এড়িয়ে চলে না।

১৫. জাগ্রত অবস্থায় ( হস্তমৈথুনের মাধ্যমে) নারী, পুরুষ উভয়ই একি রকম, এসময় জ্বীন রোগির হাত,মস্তিষ্ক পজেস করে ইন্দ্রিয়তৃপ্তি লাভ করে, এটা তখনই বোঝা যাবে যখন কেউ আগে থেকেই গুপ্ত অভ্যাসে লিপ্ত ছিলকিন্তু তা অল্প পরিমানে,হঠাৎ করে যদি মাত্রাতিরিক্ত ভাবে যৌন চাহিদা বেড়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে আশিক জ্বীনের কাজ এটা। তবে বশীকরণ বা আসক্তকারি বা অনুগত যাদুর লক্ষন হচ্ছে, স্ত্রী বা স্বামীর সংগে সহবাসের ঘন ঘন ইচ্ছা জাগা, কিন্তু যারা অবিবাহিত তারা যদি আশিক জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত হয় তাহলে তাদের যৌন উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয় আশিক জ্বীন, ফলে যুবক যুবতীরা হারামে লিপ্ত হয়।

১৬. জ্বীন মানুষের সঙ্গে মিলনের সময় যৌনাঙ্গে গরম বাতাসের মত অনুভূত হয়, জ্বীনরা সঙ্গম করে,তাই এই সঙ্গমের পরে মেয়েরা দুর্বল হয়ে যায় খুব, ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়, শরীরে অনেক ব্যথা অনুভব করে, এসব লক্ষণ নারী পুরুষ সকলের অনুভব হয়।

১৭. অবিবাহিত মেয়ের সাথে জ্বীন শারীরিক সম্পর্ক করলে সেই মেয়ে বিয়ের ক্ষেত্রে শুধু অনিহা প্রকাশ করে,আর বিবাহিত মেয়ের সাথে এরকম কিছু হলে সেই মেয়ে স্বামীর সাথে মিলনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আর পুরুষের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটে।

১৮. সমকামিতা, পেডোফাইল, মাত্রা অতিরিক্ত পর্নো আসক্তি আশিক জ্বিনের অন্যতম লক্ষণ

১৯. আশিক জিনে আক্রান্ত ব্যক্তি মাঝেমধ্যে সারাক্ষণই sexual ব্যাপার গুলো কল্পনা করতে থাকে। আরা একারনেই তারা Masturbation এর প্রতি অতি উৎসাহিত হয়ে পরে। ইত্যাদী

#ছড়িয়ে_ছিটিয়ে_থাকা_যাদুর_জন্য_রুকইয়াহ

ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যাদু  একে আরবিতে  বলা হয়

السحر المرشوش

এই যাদুর অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে শরীরে মরিচ লাগলে যেরকম জ্বলে ঐরকম জ্বলা বিশেষ করে “পা “

এই যাদু করা হতে পারে পরিধেয় কাপড়ে, যে রুমে থাকা হয় সে রুমে, যে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা হয় সেই রাস্তায়।

যদি পরিধেয় কাপড়ে ছিটিয়ে দেয় তাহলে কাপড় পরার পর শরীর জ্বলবে কাপড় খুলে ফেলতে ইচ্ছে হবে!  এবং যদি রুমে ছিটানো হয় যতক্ষণ সে রুমে থাকা হবে শরীর জ্বলবে রুম হতে বাহির হয়ে যেতে ইচ্ছে হবে আর রাস্তায় ছিটানো হলে আক্রান্ত হবে। তবে বেশিরভাগ এটা কাপড়ে আর ঘরে ছিটিয়ে রাখে। যেন ভিক্টিম ঘরে না থাকতে পারে!

বিয়ে বন্ধের যাদু -বিচ্ছেদের যাদু -বাচ্চা না হবার যাদু ক্ষেত্রে বেশিরভাগ এই যাদু করে থাকে!

এই যাদুর ক্ষেত্রে খাদেম জ্বিন নিয়োজিত থাকেই!!

এই রাক্ষসের কাজি হচ্ছে ভিক্টিম কে অতিষ্ঠ বানিয়ে রাখা -কখনো কখনো দেখবেন ঘরে থাকা কালীন উপর হতে পানি পরছে হালকা গরম যা সেখানে পানি থাকার সম্ভাবনা নেই আবার কখনো ধুলোবালি শরীরের উপর পরে আর ঘরে চলাফেরার করার সময় অনুভব হয় পায়ের তালুতে কিছু একটি আবরণ আছে বুঝতে পারা। ঘরে হাটাচলার সময় শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা বিশেষ করে পায়েই এটা অনুভব হবে।

এই যাদুর ক্ষেত্রে যা ব্যবহার করে -পানি -বালু স্টিকি জাতীয় তরল পদার্থ যেমন তেল -এবং রক্ত।

এই যাদুতে আক্রান্ত হবার কমন  কিছু লক্ষণ হচ্ছে

(১)ঘরে বা বাহিরে চলার সময়  পায়ে সুই বা পিন দিয়ে খোঁচার মতো  খোঁচা অনুভব হওয়া বা করা।

(২)পায়ে সব সময় ব্যাথা থাকা বিশেষ করে বসলে পা  ম্যাজ ম্যাজ করা।

(৩) অযথাই পা দিয়ে পা খোঁচা খুঁচি বা খুটাখুটি করা এবং পা কাপা।

(৪) পা অচল হয়ে যাওয়া  পা অবশ হয়ে যাওয়া।

পায়ে পিল পিল করে কিছু চলাচল করা এবং পায়ে শির শির অনুভব হওয়া।

(৫) অধিকাংশ সময় মাথা ব্যাথা থাকা সহ আরও লক্ষণ!

#বাড়িতে_ছড়িয়ে_ছিটিয়ে_থাকা_যাদু_লক্ষণ

বাড়িতে ছিটানো যাদু থাকলে  যাদুগ্রস্ত ব্যক্তি  কিছু বিরক্তিকর জিনিসে ভুগতে থাকেন  যা তাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।

বাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার যাদুর   লক্ষণগুলি নিম্নরূপ:-

(১)জাদুগ্রস্ত ব্যক্তি স্থায়ীভাবে ফোকাস করার এবং চিন্তা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

(২) যাদুগ্রস্ত  ব্যক্তি তার শরীরে কিছু দাগ  লক্ষ্য করতে পারে যা নীল রঙের হতে পারে বা সবুজ, এবং কখনও কখনও এই ক্ষত কালো হয়।

(৩)শরীরের তাপমাত্রার  হঠাৎ উচ্চ এবং নিম্ন  এবং প্রতিনিয়ত কোনো  কারণ ছাড়াই শরীরের বিভিন্ন স্থানে এবং বিক্ষিপ্ত স্থানে ব্যথা অনুভব করা।

(৪) ঘরে কিছু অস্বাভাবিক এবং অদ্ভুত জিনিস লক্ষ্য করা  হঠাৎ বিকট শব্দ শোনার মতো।

(৫) বাড়ির দেয়ালে ফাটল!

(৬)বাড়ির মানুষ  ক্রমাগত সমস্যা এবং বিবাদের মুখোমুখি হওয়া

(৭) যে কোনও কাজে সফল না হওয়া কাজে ঝামেলা লেগেই থাকা।

(৮) একজন ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবে ঘুমানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে কারণ সে তার ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন এবং লুকানো স্বপ্ন দেখে।

(৯)ব্যক্তি ক্রমাগত ক্লান্তি এবং অলসতায় ভোগেন,  হাত ও পায়ে ক্রমাগত অসাড়তা অনুভব করা

(১০) লোকজন  থেকে বিচ্ছিন্ন এবং দূরে থাকা এবং দূরে থাকার  প্রবণতা বেড়ে যাওয়া।

এসব সমস্যার লক্ষণ সমূহ মিলে গেলে একজন অভিজ্ঞ রাক্কীর কাছে সরাসরি রুকইয়াহ করবেন সুস্থ হওয়া পর্যন্ত যতবার দরকার হয় ততবার এবং  রাক্বীর পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় আমল বা সেল্ফ রুকইয়াহ করবেন।

এই পেইজের এডমিনদের কাছে সরাসরি রুকইয়াহ করতে নিচের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার ম্যাসেজ করুন। সরাসরি কল দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

© আদ দুয়া হিজামা ও রুকইয়াহ সেন্টার 

০১৭৭০৬০২৫৪২ whats app

ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্তের লক্ষন সমুহSymptoms of OCD (1) Have you been worrying for no reason lately? Due to the wandering thoughts in the head, the
Hijama Cupping Therapy- greatest sunnah Treatment method হিজামা কাপিং থেরাপি “হিজামা” কি? —-আমরা ইংরেজীতে বলে থাকি ‘কাপিং থেরাপি”। আর আরবিতে বলা হয় ‘হিজামা’। আরবি ‘আল
Hijama or Cupping Therapy, A Sunnah Treatment method. What is Hijama or cupping therapy? ☘️Hijama (حِجَامَة) is a navigation medical system. Derived from the Arabic

এই লক্ষণ গুলো মিলে গেলেই বুঝবেন আপনি জিন-যাদু বা বদ নজরে আক্রান্ত।

রুকইয়াহ লক্ষণ সমূহ

এই লক্ষণ গুলো মিলে গেলেই বুঝবেন আপনি জিন-যাদু বা বদ নজরে আক্রান্ত।

আপনার সমস্যা মিলিয়ে নিনঃ .২-১ টা মিলা স্বাভাবিক। ৪-৫ টা বা আর বেশি মিলে  লক্ষণ এর পয়েন্ট মিলে গেলে বুঝবেন সমস্যা আছে।

★★★ জ্বিনের আছরের লক্ষণ সমূহ

আলোচনার সুবিধার্থে জীন দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ গুলোকে,আমরা দুই ভাগে ভাগ করে নিচ্ছি। ঘুম সংক্রান্ত এবং জাগ্রত অবস্থা 👉 ঘুম সংক্রান্ত লক্ষণ সমূহ- (১) নিদ্রাহীনতা: যার জন্য সারারাত শুধু বিশ্রাম নেয়াই হয়, ঘুম হয় না (২)উদ্বিগ্নতা: যেজন্য রাতে বার বার ঘুম ভেঙে যাওয়া। (৩) বোবায়ধরা: ঘুমের সময় কেউ চেপে ধরেছে, নড়াচড়া করতে পারছে না। প্রায়ই এমন হওয়া (৪) ঘুমের মাঝে প্রায়শই চিৎকার করা, গোঙানো, হাসি-কান্না করা (৫) ঘুমন্ত অবস্থায় হাটাহাটি করা (৬) স্বপ্নে কোনো প্রাণিকে আক্রমণ করতে বা ধাওয়া করতে দেখা। বিশেষতঃ কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর, উট, সিংহ, শিয়াল, সাপ। (৭) স্বপ্নে নিজেকে অনেক উঁচু কোনো যায়গা থেকে পড়ে যেতে দেখা (৮) কোনো গোরস্থান বা পরিত্যক্ত যায়গা, অথবা কোনো মরুভূমির সড়কে হাটাচলা করতে দেখা (৯) বিশেষ আকৃতির মানুষ দেখা। যেমন: অনেক লম্বা, খুবই খাটো, খুব কালো কুচকুচে (১০) জ্বিন-ভুত দেখা যদি স্বপ্নে সবসময় দুইটা বা তিনটা প্রাণী আক্রমণ করতে আসছে দেখে, তাহলে বুঝতে হবে সাথে দুইটা বা তিনটা জ্বিন আছে। 👉 ঘুম ব্যতীত অন্য সময়ের লক্ষণ (১) দীর্ঘ মাথাব্যথা (চোখ, কান, দাত ইত্যাদি সমস্যার কারণে নয়, এমনিই) (২) ইবাদত বিমুখতা: নামাজ, তিলাওয়াত, যিকির আযকারে আগ্রহ উঠে যাওয়া। মোটকথা, দিনদিন আল্লাহর থেকে দূরে সরে যাওয়া (৩) মেজাজ বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকা, কিছুতেই মন না বসা.. (৪) ব্যাপক অলসতা; সবসময় অবসন্নতা ঘিরে রাখা (৫) মৃগীরোগ (৬) শরীরের কোনো অংঙ্গে ব্যাথা কিংবা বিকল হয়ে যাওয়া। ডাক্তাররা যেখানে সমস্যা খুজে পেতে বা চিকিতসা করতে অপারগ হচ্ছে। আবারও মনে করিয়ে দেই, শারীরিক রোগের কারণেও এসব হয়ে থাকে। তবে যখন দীর্ঘদিন যাবত যখন এসব লক্ষণ দেখা যাবে, তখন ভাববেন কোনো সমস্যা আছে।

★★★ যাদুতে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষন সমুহ :-

কাউকে অসুস্থ বানিয়ে দেয়ার যাদু’। এটা বিভিন্ন রকমের হয়।কখনো শরীরের কোনো অঙ্গ একেবারে বিকল হয়ে স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যায়। কখনো চিকিৎসা করলে আবার সুস্থ হয়। এরকমও হয়, কোনো অঙ্গ মাঝে মধ্যে নাড়াচাড়া করতে পারে। মাঝেমধ্য অচল হয়ে যায়। কারো পুরো শরীর আক্রান্ত হয়। তো যাদুর ক্ষেত্রে সাধারণ লক্ষণগুলো এরকম বলা যায়- (১) শরীরের কোনো অঙ্গে সবসময় ব্যথা থাকা (২) কোনো অঙ্গ একেবারে অচল হয়ে যাওয়া (৩) পুরো শরীর নিশ্চল হয়ে যাওয়া (৪) মাঝেমধ্যেই শরীর ঝাঁকুনি বা খিঁচুনি দিয়ে বেহুঁশ হয়ে যাওয়া। (৫) কোনো ইন্দ্রিয়শক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়া।(যেমন: স্বাদ বা গন্ধ না বুঝতে পাওয়া, শুনতে না পারা) এতক্ষণে একটা বড় প্রশ্ন আপনার মনে উঁকি দেয়ার কথা।প্যারালাইসিস, পোলিও, এপিলেপ্সি। কিংবা অন্যান্য অসুখ-বিসুখের কারণেও তো এসব হয়।তাহলে কেউ যাদু করেছে না অসুখের কারণে হয়েছে তা বুঝার উপায় কী?’ হুম, যৌক্তিক প্রশ্ন বটে! যাদু/ জ্বিনের সমস্যার কারণে হলে সাধারণত ডাক্তারের চিকিৎসায় ফায়দা হয় না। ল্যাব টেস্ট, এক্স-রে, সিটি স্ক্যানে উল্লেখযোগ্য কিছুই পাওয়া যায় না। দ্বিতীয় আরেকটি বিষয় হচ্ছে।ঝার ফুক করে দেখতে হবে। যদি কোরআনের আয়াত কিংবা দোয়া পড়ার সময় ইফেক্ট দেখা যায়।যেমন- শরীরে ঝাঁকুনি দিয়ে ওঠে, অজ্ঞান হয়ে যায়।মাথাব্যথা পেটব্যথা শুরু হয় তবে বুঝা যায়।তাহলে বুজতে হবে যাদু করেছে কেউ। আর এরকম কিছু না হলে বুঝতে হবে যাদুটাদু নাই। তখন ডাক্তারের চিকিৎসা করাতে হবে।

★★★মেয়েদের জিন – যাদুতে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষনঃ-

👉 পিরিয়ড সমস্যা। (১)মাসিক স্রাব তিন দিনের কম বা ১০ দিনের বেশি হওয়া ।আর এরকম সমস্যা কয়েক মাস হওয়া। (২) সর্বদা প্রবাহিত হওয়া। (৩) স্রাব একেবারেই বন্ধ হয়ে যাওয়া।(বয়সের কারণে নয় ) (৪)সাদা স্রাব। (৫)স্রাবের সময় অতিরিক্ত ব্যথা-বেদনা থাকা। (৬)ঠিকমতো ঘুম না হওয়া। ঘনঘন বোবায় ধরা বা বাজে স্বপ্ন দেখা। (৭) অতিরিক্ত পরিমাণে রক্তস্রাব হ‌ওয়া। (৮)শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা হওয়া বিশেষতঃ ব্যাক পেইন বা লজ্জা স্থানে ব্যথা। অধিকাংশ সময় মাথা ব্যথা করা। (৯)পিরিয়ড বা মাসিক হবার দুই দিন আগে হতেই পেটে ব্যথা অস্থির হয়ে যাওয়া।

👉 ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্তের লক্ষন সমুহঃ-

(১) আপনি ইদানীং কারণে-অকারণে চিন্তিত থাকছেন? মাথায় বিক্ষিপ্ত চিন্তা ঘোরাঘুরি করার কারণে দৈনন্দিনের কাজ, সালাত, ইবাদত, যিকির, তিলাওয়াত ইত্যাদিতে মন বসছে না? (২) আপনি অথবা আপনাদের পরিবারের কোন একজন কি হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে গেছে? কেমন যেন উদাস ভাব চলে এসেছে, কিছুই ভালো লাগছে না। (৩) সালাত বা ওযু নিয়ে বেশি দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন? বারবার মনে হচ্ছে ঠিকমতো ওযু হচ্ছে না, নামাজের এই অংশটা ঠিকমত হল না। (৪)পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অথবা পরনের কাপড় নিয়ে আপনি কি অতিরিক্ত চিন্তা করছেন? (৫) আপনি কি অপ্রয়োজনে টয়লেট বা বাথরুমে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করছেন? (৬) আপনি কি আপনার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে বাজে স্বপ্ন দেখছেন? যা আপনাকে ভীত করছে? (৭) আপনার কানে কি ফিস ফিস করে শোনা যাচ্ছে আপনি কুফরের দিকে ধাবিত হচ্ছেন (কুফরি করছেন) (৮) আপনি কি ওযু-গোসল বা ইস্তিঞ্জার সময় এক অঙ্গ বারবার ধুচ্ছেন? তবুও মনে হচ্ছে ধোয়া হয়নি ঠিকমতো। (৯) আপনার বারবার মনে হচ্ছে যে, ওযু ভেঙ্গে যাচ্ছে? মনে হচ্ছে প্রসাবের ফোঁটা পড়ছে, অথবা সবসময় মনে হচ্ছে বায়ু বের হয়ে যাচ্ছে? কিন্তু আপনি নিশ্চিত হতে পারছেন না.. (১০) আল্লাহ, রাসুল অথবা ঈমানের ব্যাপারে, ইসলামের মৌলিক ব্যাপারে অবমাননাকর মাথায় চিন্তা আসে? (১১) মুরব্বি, উস্তায বা বয়োজ্যেষ্ঠদের সামনে বসলে, তাদের সাথে কথা বলতে লাগলে কি আপনার ভেতর থেকে কেউ বারবার বেয়াদবির জন্য উস্কে দিতে চায়? (১২) আপনি কি কোন অদ্ভুত শব্দ কণ্ঠ শুনতে পাচ্ছেন? কারো সাথে এটা নিয়ে আলোচনা করলে ভাবছে, আপনি প্যারানয়েড বা পাগল হয়ে যাচ্ছেন! (১৩) আপনি কি নামাজের রাকাত ভুলে যাচ্ছেন? অথবা অন্য আরকানগুলোর ব্যাপারে ভুল হচ্ছে? সাজদাহ একটা দিয়েছেন না দুইটা দিয়েছেন সন্দেহ লাগছে? আর এসব কি প্রায় দিনই হচ্ছে? (১৪) নামাজে সাজদা করতে গেলে মনের মধ্যে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি কিংবা দেবদেবীর মুর্তি ভেসে উঠছে? উত্তর যদি হয় “হ্যাঁ!” তবে আপনি শয়তানি ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত.. খেয়াল করার বিষয় হচ্ছে, এক-দুইদিন এরকম হতেই পারে। কিন্তু সবসময়ই বা দিনের পর দিন যদি আপনার মাঝে দেখা যায়, তবে বুঝতে হবে – “হ্যাঁ! সত্যিই আপনি শয়তানি ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত..

👉 জেনে নিন বদনজর লাগার লক্ষন। সমুহ।

(১) শরীরে জ্বর থাকা, কিন্তু থার্মোমিটারে না উঠা। (২) কোনো কারণ ছাড়াই কান্না আসা (৩) প্রায়সময় কাজে মন না বসা, নামায যিকর ক্লাসে মন না বসা। (৪) প্রায়শই শরীর দুর্বল থাকা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব লাগা। (৫) চেহারা ধুসর/হলুদ হয়ে যাওয়া। (৬) বুক ধড়পড় করা, দমবন্ধ অস্বস্তি লাগা। (৭) অহেতুক মেজাজ বিগড়ে থাকা। (৮) আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের সাথে দেখা হলেই ভালো না লাগা। (৯) অতিরিক্ত চুল পড়া। শ্যাম্পুতে কাজ না করা। (১০) পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়া। (১১) বিভিন্ন সব অসুখ লেগে থাকা, দীর্ঘদিন চিকিৎসাতেও ভালো হয় না। (সর্দিকাশি, মাথাব্যথা ইত্যাদি) (১২) হাত-পায়ে মাঝেমধ্যেই ব্যাথা করা, পুরো শরীরে ব্যাথা দৌড়ে বেড়ানো। (১৩) ব্যবসায় ঝামেলা লেগে থাকা। (১৪) যে কাজে অভিজ্ঞ সেটা করতে গেলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়া। (১৫) স্বপ্নে উঁচু থেকে পড়ে যেতে দেখা, মৃত মানুষ দেখা। অথবা স্বপ্নে কাউকে মরে যেতে দেখা। (১৬) স্বামী স্ত্রী সহবাসে বাধা আসা, ইচ্ছে না হওয়া।

★★★ উন্নতিতে বাধা যাদুর লক্ষন-

১.শরিল গরম, ২.রুজি,পড়ালেখা,চাকরী, সার্বিক উন্নতিতে বাধা ৩. টেনশন হতাশা ৪. মেজাজ গরম, পাগলের মতো অবস্হা ৫. মাথা গরম বা ব্যাথা ৬. কোন কারন ছাড়া চাকরিতে অমনযোগ  এবং চাকরি চলে যাওয়া। ৭. দীর্ঘ দিন বেকার থাকা। মেয়েদের পড়ালেখা শেষ করেও চাকরি বা বিয়ের ব্যবস্থা না হওয়া। ৮. হটাত অতিরিক্ত অপচয় বা টাকা নষ্ট করতে থাকা। ৯. অন্যদের সাথে আলোচনা করা কে গুরুত্ব মনে না করা এবং নিজেকে বুদ্বিমান মনে করা। ১০. নিজের মন মতো চলা, ১১.পরিবারের সদস্যাদের সাথে মনোমালিন্য ১২. বাসার খাবার কম পছন্দ করা বাহিরের খাবার বেশি পছন্দ করা ১৩. হটাত করে স্বাস্থের অবনতি হওযা ১৪. সহকর্মীদের সাথে মনোমালিন্য  ইত্যাদি।

★★★অগ্নিবান কি?

……. ……. অগ্নি বাণ হল এক ধরনের যাদু, যার করানে – ১.শরিল জালাপোড়া করে মনে হয় কেহ গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। ২. খুবই অসহ্য লাগে আত্নহত্য করতে মনে চায়। ৩. সরিল গরম থাকে। ৪. ঘুমাতে গেলে জালাপোড়া বেড়ে যায়। ৫. কাজ কামে বিরক্ত লাগে। ৬.হটাৎ  শরিলে  চুলকানি বেড়ে যায়। এবং পা থেকে মাথা পর্যন্ত চুলকাতে থাকে। শরিলের কোন অংশ লাল হয়ে যাওয়া। ৭. খারাপ স্বপ্ন দেখা ৮. ডাক্তারের রিপোর্টে কোন রোগ ধরা পড়ে না।

★★★নিদ্রা ভঙ্গের যাদুর লক্ষন( ঘুম নষ্ট বাণ)

…………… ১. মেজাজ গরম থাকা ২. রাত ২ টার পরে কোন কারন ছাড়া ঘুম বেঙ্গে যাওয়া। ৩. অপ্রয়োজনী চিন্তা করা। ৪. স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া। ৫. পাগলের মত আচরন করা। ৬.পরিবারের লোকদের সাথে মনোমালিন্য ৭. ব্যবসায় বানিজ্যে লস হওয়া। ৮. দীর্ঘক্ষন চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকার পরেও ঘুম না আসা, এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা। যা আগে কখনও চিলো না। AD-DUA-Ruqyah ৯. হাল্কা আওয়াজে ঘুম থেকে জেগে যাওয়া। ইত্যাদি। ১০. এ সমস্যা দীঘদিন চলতে থাকলে পাগল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ যাদু কি ভাবে করে? প্রতিহিংসার কারনে কোন লোক যাদুকরের কাছে গিয়ে এ যাদু করতে বলে, যাদুকর ব্যাক্তি উক্ত ব্যাক্তির নাম,ঠিকানা বাবা মায়ের নাম বয়স ইত্যাদি নিয়ে বা কোন চিহ্ন নিয়ে যাদুমন্ত্র পড়ে করতে পারে বা তাবিজ বানিয়ে চোরাস্তায় গাড়তে বলে বা পাথর চাপা দিয়ে দিতে বলে।

★★জবান বন্ধ বাণের লক্ষন।

১. কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলে দম বন্ধ হয়ে আসা। ২. তার চলাফেরা অসহ্য লাগলেও কিছু বলতে না পারা। ৩ মাঝে মধ্য বুমির ভাব আসে ৪.কোন কারনে উক্ত ব্যক্তিকে কিছু বললে হাপাতে থাকা ও অসুস্হ হয়ে পড়া এবং কিছুদিন বিচানায় পড়ে থাকা। ৬. মাঝে মধ্য স্বাস কষ্ট হওয়া ৭. মঝে মধ্য শত্রুর প্রতি মহব্বত কাজ করা। ৮. সরিল ঝালাপোড়া এ যাদু কি ভাবে করে? যাদুকররা মন্ত্র পড়ে বা কুফরি তাবিজ বানিয়ে পাথর চাপা দিয়ে বা মাচের পেটে ভরে মুখ সেলাই করে নদীতে / পুকুরে ছেড়ে দেয়। বা নদীর কিনারায় গাড়তে বলে। এতে করে ভিকটিমের মুখ বন্ধ হয়।

★★★পেটে খাওয়ানো যাদুর লক্ষণ সমূহ :-

১। পেটের খিদে আস্তে আস্তে কমে যায় , পেটে আর বেশি খিদা লাগেনা , পেট সবসময় ভরা ভরা লাগে ,খেতে ইচ্ছে হয় না, খাবার খেলেও অল্প পরিমাণে খাবে। ২। যদি জ্বিনের মাধ্যমে জাদু করা হয় স্বপ্নে ভিবিন্ন খাবার খেতে দেখা বিষয় এক্ষেত্রে সরাসরি কিছু না খাওয়ালেও জ্বিনের মধ্যে খাবার খাওয়ানো হয়। ৩। চেহেরা দিন দিন কালচে ও শুকিয়ে যাওয়া ও বুক ধরফর করা ও মানুষিক অস্বস্তিতে ভোগা। ৪। প্রায় সময় বমি বমি ভাব হয় কিন্তু বমি হয়না (আবার কখনো কখনো হয়তো বমি হয়েও যায়) ৫। পেটে জ্বালাপুড়া করা, কোন প্রকার জ্বাল খাবার একেবারে খেতে না পারা।পেটে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গ্যাস হওয়া ওষুধে স্থায়ী ভাবে কাজ না করা। ৬। এর জন্য ওষুধ খেয়েও তেমন ভালো হয়না, কিছু দিন পরে ওষুধ খেলেও কাজ হয়না,গ্যাস কমে না এবং আস্তে আস্তে বেশি দামি গ্যাসের ট্যাবলেট খেতে হয়। ৭। পেট গরম থাকে, গরম খাবার খেলেই পেট গরম হয়ে যায়। ৮। পেটে খাওয়ানো যাদুর রোগিকে রুকইয়াহ (ঝাঁড়ফুক) করতে শুরু করলে বমি বমি ভাব হয় বা বমির ভাব টা আরো বেড়ে যায় এবং কখনো কখনো বমি হয়েও যায়। ৯। প্রায় সময় পেট ও বুকের ভেতর কাটার মতো ঘা দেয় বিঁধে। ১০। লিভার দুর্বল হয়ে যায় , এর জন্য দুই তিন দিনেও বাথরুম হয়না। ১১। পায়খানা কসের মতো হওয়া ও প্রায় আমেশার মত হওয়া। ১২। বন্ধ ঘরে একা থাকতে পারবেনা তার প্রচন্ড ভয় লাগবে মনে হবে যেন তার পিছনে কে যেন রয়েছে। ১৩। তার বুক ধড়ফড় করবে, সবসময় ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় থাকে। ১৪। কখনো কখনো তার শরীর থেকে পোড়া পোড়া গন্ধ বের হতে থাকে। ১৫। এর প্রভাবে দাঁতের সমস্যা হয়ে থাকে কারো কারো ক্ষেত্রে ১৬। নাভির চারপাশে প্রচুর ব্যথা অনুভূত হওয়া। ১৭। মাথা সবসময় ধব ধব করবা, মাথা সবসময় ভারি হয়ে থাকা, প্রচুর টেনশন ও যন্ত্রণা হবে, আগুনের মতো তাপ বের হতে থাকা, মনে হয় যেন প্রেসার। ১৮। এ ধরনের ব্যক্তি একা ঘরে থাকতে ভয় পায়/রাতে একা কোথাও হাটলে মনে হয় পিছন দিয়ে কেউ আসছে অথচ কিছু না। ১৯। রাতে ঘুমানোর মধ্যে মৃত ব্যক্তি স্বপ্নে দেখা, মনে করবে কেউ তাকে পাঁকড়াও করছে, বিভিন্ন জীব জন্তু তাকে আক্রমন করতে দেখা। ২০। রাতে সহজে ঘুম আসবে না এবং একবার ঘুম ভেঙ্গে গেলে আবার চোখে ঘুম আসতে অনেক সময় লাগা ২১। ঘুমের মধ্যে ভয়ে শরীর ঝাঁকি দিয়ে উঠা, ইত্যাদি।

★★★দাপনকৃত যাদুর লক্ষন:-

(কবরে বা মাটিদে পুঁতে রাখা যাদুর লক্ষন) ১.// প্রায় সময় বা মাঝেমধ্যে খোঁচানো বা বিদ্ধ করার আকারে খুব তীব্র মাথাব্যথা ২.// ঘুমের সময় দম বন্ধ হয়ে যায় ৩.// স্বপ্নে কবর এবং প্রচুর পরিমাণে মৃত মানুষ দেখা । ৪.// শরীর সাধারণ দুর্বল লাগা , কাজকর্ম করতে অক্ষমতা অনুভব করা । ৫.// কাজকর্মে ভুল করা , কোনো কাজ বেশিক্ষণ সময় ধরে করতে না পারা , অমনোযোগীতা , মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা । ৬.// ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় উড়তে দেখা । ৭.// ঘুমের মধ্যে খুব উঁচু জায়গা থেকে পড়ে যাওয়া এবং পড়ার জন্য নিচে কোনো জিনিস না পাওয়া । ৮.// কঙ্কাল , মাথার খুলি এবং প্রেতাত্মা বা জ্বিন ভুতের প্রচুর স্বপ্ন দেখা । ৯.// চোখ বন্ধ করলেই বা ঘুমের মধ্যে বিভিন্ন ভয়ংকর আকৃতি চোখের সামনে ভেসে ওঠা । ১০.// শরীরেবাম বা ডান দিকের কোনও একটি সাইটে লম্বালম্বি ব্যথা বা অসাড়তা অনুভব করা । ১১.// চোখের পাতা বা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গোশত লাফানো । ১২.// কোনো কারণ ছাড়াই বা অযৌক্তিক তীব্র ভয় ভয় লাগা । ১৩.// মৃত্যুর সংবাদ শুনলে ভয় লাগা । ১৪.// মাথার পিছনে বা চোখের সাথে কপালে মাথা ব্যথা । ১৫.// পছন্দনীয় জিনিস গুলো অপছন্দ লাগা , সেগুলো থেকে বিরত থাকা । ১৬.// মাছ খেতে অপছন্দ ও ঘৃণা করা । কখনো কখনো কেবল মাছের গন্ধ অসহ্য লাগা এবং মাছের গন্ধ লাগলেই বমি হওয়া । ১৭.// ধ্বংসস্তূপ ও নির্জন জায়গার প্রচুর স্বপ্ন দেখা ১৮.// কারণ ছাড়াই বুকে সংকীর্ণতা ও কষ্ট অনুভব করা । ১৯.// নিঃসঙ্গতা , একাকীত্বতা , গুটিয়ে ও লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করা , ভালো লাগা । ২০.// মাথা ব্যথা এবং চোখে ঝাপসা দেখা ২১.// প্রায়শই দুর্গন্ধ পাওয়া । ২২.// শরীরের কোনো এক পার্শ ঘামা । ২৩.// পা ভারি ভারি লাগা । ২৪.// খুব বেশি ভুলে যাওয়া । ২৫.// পিঠে এবং কাঁধে ব্যথা ২৬.// যে কোনো বিষয়ে চরম একঘেয়েমি ।

★★★বিয়ে ভাঙ্গা/আটকে রাখা বা বিয়ে বন্ধ করার যাদুর লক্ষণসমূহঃ

ক) বিয়ের আলোচনা শুরু হলেই অসুস্থ হয়ে পড়া। খ) (সকল) পাত্র/প্রস্তাবদাতাকে খারাপ লাগা। প্রস্তাব মনমতো না হওয়া। অহেতুক সন্দেহ সৃষ্টি হওয়া। গ) কোনো কারণ ছাড়াই বিয়েতে আগ্রহহীন হওয়া। ঘ) ঠিকঠাক ঘুম না হওয়া। ঘুমের মধ্যে ভয় পাওয়া। ঘুম থেকে উঠার পর কষ্ট হওয়া। ঙ) প্রায় সময়ই মনে অস্থিরতা কাজ করা। সাধারণত সন্ধ্যা থেকে এরকম হয়। চ) পিঠে প্রচন্ড ব্যাথা। বিশেষকরে কোমরের দিকে (পিঠের নিচের অংশে)। ছ) মাথা যন্ত্রণা এবং তা চিকিৎসায় ভালো না হওয়া। জ) পেটে প্রায়সময়ই ব্যাথা হওয়া। ঞ) স্বপ্নদোষ বা জ্বীনের সাথে সহবাস (ঘুমের মধ্যে মেলামেশা করতে দেখা)।

★★★মস্তিষ্কবিকৃতি বা পড়ালেখা নষ্ট করার যাদুর লক্ষণসমূহঃ

======================== ক) পড়ালেখায় হঠাৎ করে অবনতি। স্মৃতিশক্তি অস্বাভাবিকভাবে লোপ পাওয়া। খ) পরীক্ষা আসলেই অসুস্থ হয়ে পড়া। গ) কথাবার্তা, কাজকর্মে ভুলভ্রান্তি বেড়ে যাওয়া। ওয়াসওয়াসা বেড়ে যাওয়া। ঘ) ঘুম না আসা। ঠিকভাবে ঘুমাতে না পারা। ঙ) ভয়ংকর স্বপ্ন দেখা। স্বপ্নে কেউ ধাওয়া করা। চ) একস্থানে বেশীক্ষণ স্থির থাকতে না পারা। কোনো কাজ ধীরস্থিরভাবে করতে না পারা। সিরিয়াসনেস কমে যাওয়া। ছ) জাগ্রত অবস্থায় “কেউ যেন ডাকছে” এরকম মনে হওয়া। জ) অকারণে হুটহাট বাড়ির বাইরে চলে যাওয়া, যেতে ইচ্ছে করা। ঝ) মাঝেমাঝে পাগলের মতো আচরণ করা। ঞ) পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে উদাসীন হওয়া। ছেড়া ও ময়লা কাপড় পরতে ইচ্ছে হওয়া। ট) চোখের অবস্থা পরিবর্তন এবং অসুন্দর হয়ে যাওয়া। ইত্যাদি।

★★★ বিচ্ছেদের যাদুর লক্ষণসমূহঃ

================ ক) সামান্য বিষয় নিয়েই উভয়ের মধ্যে ব্যপক মতানৈক্য ও ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি হওয়া। যদিও অন্যদের সাথে এরকম হয় না। খ) একজনের নিকট অপরজনের সকল কাজ-কর্মই অপছন্দ হওয়া। গ) হঠাৎ ভালবাসা থেকে শত্রুতায় পরিবর্তিত হওয়া। ঘ) পরস্পর ক্ষমা না চাওয়া ও ক্ষমা না করা। ঙ) উভয়ের মাঝে প্রচন্ড সন্দেহের সৃষ্টি হওয়া। চ) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজনের চেহারা অপরজনের চোখে বদলে যাওয়া। ছ) একে অপরের ব্যবহৃত জিনিস ও বসার জায়গা অপছন্দ করা। জ) একে অপরের উপস্থিতি সহ্য করতে না পারা। সবসময় ভাল থাকে কিন্তু সঙ্গীর নিকট আসলেই গোলমাল শুরু। ইত্যাদি। ঝ) স্বামী স্ত্রী সহবাসে বাধা আসা, যৌনমিলনে আগ্রহ হরিয়ে ফেলা। ঞ) দির্ঘ সমায় যৌনমিলন করতে না পারা, বা অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া বা হাপাতে থাকা। ★৬। বন্ধাত্ব জনিত সমস্যা ও গর্ভের সন্তান নষ্ট করার যাদুর লক্ষণসমূহ

★★★ ১)বন্ধ্যাত্ব বা বাচ্চা না হওয়ার কারণঃ

================== বন্ধাত্ব কেনো হয়??? যাদুর বন্ধত্ব আর প্রকৃত বন্ধত্বের মধ্য পাথক্য। যাদুর দ্বারা বনাধত্ব হলে নিম্নের লক্ষণসমূহ ক) রুগী আসরের পর থেকে অধরাত পযন্ত মানুষিক অস্বতি অনুভব করবে। খ) স্মরণশক্তি কমে যাওয়া। গ) মেরুদন্ডের নিচে ব্যাথা। ঘ) ঘুমের মধ্য অস্বিরতা। ছ) ভীতিজন্ক স্বপ্ন দেখা। ঙ) বুকের বাম পাশে ব্যাথা। চ) স্বপ্নদোষ ও ঘুমের মধ্যে জ্বিনের সাথে সাহবাস ছ) স্বামী-স্ত্রী কারো যৌন সমস্যা দেখা দেওয়া। ……. মহিলার বন্ধাত্ব…… বন্ধত্ব তিন প্রকার। প্রথমঃ সৃষ্টিগত বন্ধাত্ব। সৃষ্টিগত বন্ধ্যাত্ব যেটা জন্মগতভাবেই হয়ে থাকে। এ জাতীয় সমস্যা যাদের তাদের অধিকাংশ সময় জরায়ু থাকে না। দ্বিতীয়ঃ মানুষের ক্ষতি বা যাদুর মাধ্যমে বন্ধাত্ব। মানুষের ক্ষতির মাধ্যমে যে সমস্ত বন্ধ্যাত্ব বাচ্চা হওয়া আটকে রাখা হয়। জাতীয় সমস্যা হলে ডাক্তার দেখালে অনেক সময় কোন রোগ বা কোন সমস্যা ধরা পড়ে না,,,, আবার অনেক সময় ডাক্তার বলে বা ধরা পড়ে যে কোন টিউব ব্লক আছে বা ডিম্বাণু ফোটে না বা বড় হয়না। তৃতীয়ঃ জ্বীনের ক্ষতি বা জিনের মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি। এ জাতীয় সমস্যা স্বামী-স্ত্রী যে কেউকে এমন ক্ষতি করতে পারে। বন্ধ্যাত্ব জনিত সমস্যা পুরুষেরঃ পুরুষের এ ধরনের সমস্যা থাকলে সাধারণত যৌন মিলনে অক্ষম, বা যৌনমিলনে দির্ঘক্ষণ সময় দিতে না পারা অথবা যৌন মিলনে বীর্য পাতলা হওয়া এবং মিলনের সময় বীর্য বাইরে বেরিয়ে আসা।

★★গর্ভের সন্তান নষ্ট করার যাদুর লক্ষণসমূহঃ

======================== ক) বারবার Conceive (গর্ভধারণ) হওয়ার পর Miscarriage (গর্ভপাত) হয়ে যাওয়া। খ) মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যাথা। গ) ঘুমের মধ্যে অস্থিরতা। ঠিকভাবে ঘুম না হওয়া। ঘ) মানসিক অশান্তি। বিশেষকরে বিকাল থেকে। ঙ) ভয়ংকর ভয়ংকর স্বপ্ন দেখা। চ) সহজেই সবকিছু ভুলে যাওয়া। ছ) বুকের মধ্যে শক্ত বা ভারি ভারি অনুভূত হওয়া। ইত্যাদি।

★★★সহবাস বা যৌনমিলনে অক্ষমের জাদুতে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ।

================== – পুরুষের ক্ষেত্রে ক) বিয়ের পূর্বে সুস্থ থাকলেও বিয়ের পর ক্রমশ যৌন মিলনের সক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। খ) সম্পূর্ণ শারীরিক সুস্থতা থাকা সত্ত্বেও স্ত্রীর সাথে সহবাসে হঠাৎ অক্ষম হয়ে পড়ে। গ) মিলনপূর্ব সময়ে স্বাভাবিক থাকলেও মিলনের সময় পুরুষাঙ্গ দুর্বল, নিস্তেজ হয়ে পড়ে । ঘ) সহবাসের সময় বা এর কিছুক্ষণ পূর্বেই যৌন অনুভূতি হারিয়ে ফেলে। ঙ) যৌনমিলনে বা সহবাসে অনাগ্রহ বা ধিরে  ধিরে সাহবাসের হারিয়ে ফেলা। ************* -নারীদের ক্ষেত্রে ক) কুমারী মেয়েকে বিয়ের পর অকুমারী মনে হয় । এতে স্বামীর মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয় । কিন্তু এই জাদুর চিকিৎসা করে জাদু নষ্ট হওয়ার পর আর এমন মনে হয়না। খ) স্ত্রী তার স্বামীকে কাছে আসতে অনিচ্ছা নিয়ে বাধা দেয়। গ) সহবাসের সময় বা এর কিছুক্ষণ পূর্বেই যৌন অনুভূতি হারিয়ে ফেলে। ঘ) স্বামী কাছে আসতে চাইলে অনিচ্ছায় দুই উরু একত্রিত করে ফেলে। ঙ) কেবল সহবাসের সময় জরায়ু থেকে রক্ত বের হয়। (এমনিতে জরায়ু থেকে রক্তক্ষরণ জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার একটি লক্ষণ।) তলপেটে ব্যাথা চ) সহবাসের সময় তার স্বামী যৌনাঙ্গের মধ্যে মাংসের প্রতিবন্ধকতা পায়, ফলে সহবাস সফল হয়না। ছ) ব্যাথা করা, ফুলে যাওয়া, সহবাসের পরে হাটাচলা করতে অসুবিধা, কোমর ব্যাথা,  সহবাসের সময় কান্না করা ইত্যাদি। …………………. লক্ষ্যনীয়ঃ # যাদুর লক্ষণগুলীর ক্ষেত্রে পাশাপাশি জ্বিনের আসরের লক্ষণও মিলিয়ে দেখা আবশ্যক।

★★★অদৃশ্য আওয়াজের যাদু

এ যাদুর নিদর্শনসমূহ ১. ভয়ংকর স্বপ্ন দেখা । ২. স্বপ্নে তার মনে হবে কেউ তাকে ডাকছে । ৩. জাগ্রত অবস্থায় বিভিন্ন আওয়াজ শুনবে কিন্তু কোনো লোক দেখবে না । ৪. অধিক সন্দেহপ্রবণ হবে । ৫. বন্ধু – বান্ধবের প্রতি অধিক সন্দেহপ্রবণ হবে । ৬. স্বপ্নে মনে করবে সে উঁচু কোনো স্থান হতে পড়ে যাচ্ছে । ৭. স্বপ্নে ভয়ংকর প্রাণীকে তার পেছনে ছুটে আসতে দেখবে । এ যাদু কীভাবে করা হয় যাদুকর একটি জিনকে এ দায়িত্ব দিয়ে পাঠায় যে , ওমক ব্যক্তিকে ঘুমন্ত এবং জাগ্রত অবস্থায় সন্দিহান করে তোল । সুতরাং জিন ঘুমন্ত অবস্থায় তার সামনে হিংস্র প্রাণীর আকৃতি ধারণ করে এবং জাগ্রত অবস্থায় পরিচিত মানুষের স্বরে কিংবা অদ্ভুত আওয়াজে ডাকে । এভাবে তাকে নিকটাত্মীয় এবং বন্ধুবান্ধবের ব্যাপারে সন্দিহান করে তোলে । এভাবে যাদুর তারতম্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রকার নিদর্শন দেখা যেতে থাকে । কখনো কখনো যাদুর প্রতিক্রিয়ায় রোগী পাগল হয়ে যায় । আর যদি যাদু দুর্বল শক্তির হয় , তাহলে সন্দেহ – সংশয় পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে।

★★★আসক্ত বা বশীকরণ ও বশ করার জাদুর লক্ষণঃ

=============== ক) সবসময় স্ত্রীর চিন্তা মাথায় ঘােরা, অন্যকিছুতে মন দিতে না পারা। খ) সবসময় স্ত্রীকে দেখতে ইচ্ছা হওয়া, বাড়ির বাইরে থাকতে না পারা। বাড়িতে থাকলে সারাদিন স্ত্রীর পিছুপিছু ঘােরা। গ) যখন – তখন স্ত্রীর সঙ্গে শুধু সঙ্গম করতে ইচ্ছে হওয়া। সারাদিনে এই চিন্তা মাথায় ঘােরা। সহবাসের ব্যাপারে অধৈর্য হয়ে যাওয়া। ঘ) বিশেষ কোনাে কারণ ছাড়াই কারও প্রতি অতিরিক্ত অনুরক্ত হয়ে যাওয়া। ঙ) যাকে পছন্দ করতেন না বা পাত্তা দিত না , হঠাৎ কোনাে কারণ ছাড়াই তার প্রতি তীব্র ভালােলাগা শুরু হয়ে যাওয়া। চ) কোনাে বাছ – বিচার ছাড়াই স্ত্রীর কথা অন্ধের মতাে মানতে শুরু করা। পরে যদিও – বা কখনাে এটা বুঝতে পারে, তারপরও অজানা কারণে তার প্রতি নিজেকে বাধ্য মনে হওয়া। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে , প্রচলিত জাদুগুলাের মধ্যে এই জাদুর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উল্টাপাল্টা প্রভাব হয়। কারণ, জাদুর পানীয় বা ‘পােশন’ তৈরি বেশ কঠিন কাজ আর এই জাদুতে বেশি পরিমাণে পােশন ব্যবহার হয়। ফলে বেশিরভাগই এখানে ভুল করে আর বিভিন্ন ক্ষতি হয়ে যায়। যেমন: ১. কখনাে আসক্ত হওয়ার বদলে বিরক্তিকর মনােভাব বেড়ে যায়। এমনকি অনেক সময় সকল মেয়ে মানুষের প্রতি ঘৃণা চলে আসে। ২. এই বিপরীত প্রভাবের জন্য কেউ হুট করে বউকে তালাক দিয়ে দেয়। ৩. কখনাে স্ত্রী বাদে বাকি সবাই — যেমন : ভাই – বােন , বাবা – মা , আত্মীয়স্বজনদের প্রতি বিদ্বেষী হয়ে যায়। ৪. এর প্রভাবে মানুষ কখনাে একদম পাগল হয়ে যায় । কেউ একদম পাগল না হলেও প্রায় পাগলের মতাে আচরণ করে। ৫. এর প্রভাবে কখনাে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে যায় । তখন কাজকর্ম তাে দূরের কথা, বিছানা থেকেই উঠতে পারে না। আর এজন্য ডাক্তারের চিকিৎসা করেও তেমন কোনাে উপকার হয় না। ★★★আশিক জ্বিনের আছরের সমস্যায় রুকইয়াহঃ —————- [ক] বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম, জ্বিন আল্লাহ তায়ালার এক সৃষ্টি, কুরআনে তাদের সৃষ্টি সম্পর্কে অনেক গুলো আয়াত রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তিনি জ্বিনকে সৃষ্টি করেছেন ধোঁয়াবিহীন অগ্নিশিখা থেকে।” (সুরা আর-রাহমান ১৫) “এর পূর্বে উত্তপ্ত আগুন থেকে জ্বিনকে সৃষ্টি করেছি।” (সুরা হিজর ২৭) —————— আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় হলো, আশিক জ্বিন। —————— আশিক জ্বিনের আচরণঃ *এই জ্বিন আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে কুৎসিত এবং আপত্তিকর উপায়ে তাকে ব্যবহার করে থাকে, এটা এক প্রকার জুলুম এবং এর থেকে নিস্তার পেতে শরীয়তসম্মত পদ্ধতিতে রুকইয়াহ করা উচিত। *জ্বিনের সমস্যা গুলোর মাঝে এই ধরনের সমস্যাগুলো সাধারণত তুলনামূলক জটিল এবং ঝামেলাপূর্ণ হয়, যদিও এটা নতুন কোন বিষয় না, তবুও অধিকাংশ মানুষে এ ব্যাপারে ভুল ধারণা রাখে। —————— শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন, “জ্বিন যৌন ইচ্ছা পূরণ করার জন্য, খারাপ ইচ্ছা অথবা ভালোবাসা থেকে মানুষকে দখল করার চেষ্টা করে, এটা ফাহেশা (অশ্লীল) এবং নিষিদ্ধ আচরণ, এমনকি যদি সেটা দুইজনের সম্মতিতে হয় তবুও, আর যদি জ্বিন সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় এই কাজ করে তাহলে এটা জুলুম।” যারা এরকম করে তাদেরকে জানানো উচিত, মানুষ এবং জ্বিনদের জন্য আল্লাহ এবং রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আইন অনুযায়ী তাদের বিচার হবে। ইবনে তাইমিয়া (রহিমাহুল্লাহ). বলেন, “আনন্দ হাসিলের অর্থ হচ্ছে, নিজের ইচ্ছামত কারো কাছ থেকে কোনকিছু নিয়ে নেয়া বা যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে তাকে ব্যবহার করা, কিন্তু কোন জুলুমই শেষ অবধি শাস্তিবিহীন থাকবে না, তা ইহকালে হোক কিংবা পরকাল। যেমনটা আল্লাহ তায়ালা বলেছেন– “সেদিন তিনি তাদের সবাইকে একত্রিত করবেন, বলবেন, হে জিন সম্প্রদায়, তোমরা তো অনেক মানুষকেই গোমরাহ করেছো, মানুষের মধ্যে থেকে তাদের বন্ধুরা বলবে, হে আমাদের মালিক, আমরা একে অপরের দ্বারা দুনিয়ার জীবনে লাভ করেছিলাম, আর এভাবেই আমরা চুড়ান্ত সময়ে এসে হাজির হয়েছি, যা তুমি আমাদের জন্য নির্দিষ্ট করে রেখেছিলে; তিনি (আল্লাহ তায়ালা) বলবেন, তোমাদের ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম, সেখানে তোমরা চিরকাল থাকবে, অবশ্য আল্লাহ তায়ালা যা কিছু চাইবেন (তা আলাদা); তোমার মালিক অবশ্যই প্রজ্ঞাময়, সম্যক অবহিত।” (সুরা আনআম, ১২৮)” *চরিত্র, শক্তি, চেহারা ভেদে এ ধরনের জ্বিনরা অনেক রকমের হয়, মানুষ যেরকম একজন আরেকজনের প্রতি ভালোবাসা, কেয়ার করা ইত্যাদি নানাভাবে আবেগ প্রবণ হয়ে যায়, সেরকমই কোনো কোনো জ্বিন আক্রান্ত ব্যক্তির প্রতি বেশ কেয়ারিং হয়ে যায়। আবার কোনো জ্বিন বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করে ব্যক্তির দেহ ‘উপভোগ’ করা শুরু করে। এরকম জ্বিন আক্রান্ত ব্যক্তির জীবনে অনেক জটিলতা তৈরি হয়। চারপাশের সবার সাথে তাদের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে, বিভিন্ন কারণে মানুষ এরকম জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে, রুকইয়া ইনডেক্সের জ্বিন সিরিজে জ্বিন অধ্যায়ে আক্রান্ত হওয়ার কারণ নিয়ে আলোচনা আছে। ==================== [খ] আশিক জ্বিনের প্রকার ভেদঃ একঃ এক প্রকার আশিক জ্বিন হলো- যারা ব্যক্তির দেহকে ভালোবাসে এবং দেহের প্রতি মোহাবিষ্ট হয়ে পড়ে এবং এই দেহে তাদের সবরকম অধিকার আছে বলে মনে করে। আক্রান্ত ব্যক্তির দেহকে শুধুই একটা ভোগের বস্তু মনে করে। কেউ কেউ মনে করে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। আক্রান্ত ব্যক্তি বিবাহিত হলে, জ্বিন তাদের বিবাহিত জীবনে অনেক জটিলতা তৈরি করে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মাঝে নানান জটিলতা সৃষ্টি করে শেষ অবধি তালাক পর্যন্ত নিয়ে যায়। আক্রান্ত ব্যক্তি অবিবাহিত হলে তার বিবাহ নিয়ে নানান জটিলতা তৈরি করে বিয়েকে প্রায় অসম্ভব করে তোলে। —————————- দুইঃ আরেক প্রকার আশিক জ্বিন ব্যক্তির দেহের কোনো একটা নির্দিষ্ট অঙ্গের প্রতি মুগ্ধ হয়ে পড়ে, যেমন- চোখ, হাত, মুখ, চুল, ইত্যাদি। এই ‘ভালোবাসার’ কারণেই সে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নানান সমস্যায় ফেলে দেয়, যেমন- নানান শারীরিক অসুস্থতা, বৈবাহিক জীবনে অশান্তি, অবিবাহিতদের বিয়েতে ঝামেলা। এই ক্ষেত্রে দেখা যায় তুচ্ছ কারণে অথবা কোনো কারণ ছাড়াই বিয়ে হচ্ছেনা বা প্রস্তাব আসলেও পরে আর কোনো যোগাযোগ করছে না। ————————— তিনঃ এই প্রকারের আশিক জ্বিন অনেক বেশি ক্ষতিকর এবং এরা ফাহেশা বা অশ্লীল কাজে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ব্যবহার করে। পার্ভার্ট / বিকৃত রুচির জ্বিন বলতে পারেন। মানসিক এবং শারীরিকভাবে অনেক টর্চার করে, কখনো তাদের পরিচিত অথবা অপরিচিত মানুষের রূপে এসে ধর্ষণ করে, এটা স্বপ্নের মত অথবা জাগ্রত অবস্থায়ও হতে পারে। কখনো আক্রান্ত ব্যক্তির বন্ধু বা তার সাথে যে থাকে তাকেও পজেস করে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোতে উদ্বুদ্ধ করে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে সমকামীতায় অথবা কোনো প্রানীর সাথে শারীরিক সম্পর্কেও জড়াতে চায় অনেক সময়। ———————- চারঃ আমাদের মধ্যে যেমন গরু ছাগলের মত জন্তু জানোয়ার আছে, জ্বিনদের মধ্যেও তাদের নিজস্ব জন্তু জানোয়ার আছে। জ্বিনদের মধ্যে কিছু জন্তু জানোয়ার অন্য প্রানীদের সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে চায়, এই উদ্দেশ্যে তারা আক্রান্ত ব্যক্তিকে ব্যবহার করে বিভিন্ন জন্তু জানোয়ারের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে, এরকম সম্পর্ক আজকাল বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি বুঝতে পারেনা কেনো তাদের মাথায় এরকম জঘন্য চিন্তা আসছে, আর কেনই বা তারা এরকম জঘন্য কাজ করছে, এতে তাদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা, উদ্বেগ, ঈমানের ঘাটতি তৈরি হয়। সবচেয়ে ভয়াবহ হলো, এতে আক্রান্ত ব্যক্তি অনেক ক্ষেত্রে আত্মহত্যা করে বসে। ————————- পাঁচঃ এই প্রকারের জ্বিন প্রতিরাতে আসে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য, সে ব্যক্তির শরীরে বসবাস করেনা। আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে তার ‘অধিকার’ আছে এরকম ধারণা থেকে নিজের ইচ্ছামত আসে এবং চলে যায়, এরকম রোগীর সংখ্যা বেশি, এর প্রতিকার নিয়ে “রাত্রিতে জ্বিনের সমস্যা” প্রবন্ধে  কোনো মানুষের সাথে কু-কর্মে লিপ্ত থাকে। ———&&&&&&&

  ★★★আপনি যেভাবে বুঝবেন, আপনি আশিক জিন দ্বারা আক্রান্ত কিনা?

—————————————– ১. স্বপ্নদোষের সময় অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হওয়া। অনেক সময় যাদুর প্রভাবেও অতিরিক্ত সপ্নদোষ হয়। নারী পুরুষ উভয়ের হয়। ২. জেগে থাকা অবস্থায় ব্যক্তি শুয়ে থাকে কিন্তু কিছুক্ষণের জন্য শরীর অবশ হয়ে যায় বিশেষ করে হাত ও পা। আর জ্বীন যখন তার সংগে ব্যভিচারে করে সেটা ব্যক্তি কখনো কখনো বুঝতে পারে কিন্তু কাউকে ডাক দেওয়া বা কিছু করার উপায় থাকেনা। তবে সব সময় যে বুঝা যাবে সেটাও না। তবে কিছু না কিছু সূত্র থাকবে। ৩. জাগ্রত অবস্থায় জ্বীন জেনা করতে পারে এবং এই সময় জ্বীনকে রোগি দেখতেও পারে, নাও দেখতে পারে। তবে অনুভব হয়। ব্যাপারটা অনেকটা হেলুসিনেশন এর মত হতে পারে। ৪. কোন জ্বীন যদি কোন মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার উদ্দ্যেশেই পজেস করে তাহলে নারীর শরীরে বিভিন্ন জায়গায় দাগ থাকে,এই দাগ মাঝে মাঝেই মেয়ের শরীরে দেখা যায়,শারীরিক সম্পর্ক না হলেও এরকম দাগ দেখা যাবে,লাল দাগ, খামচি বা কামড়ের দাগ, বিশেষ করে গলা, পিঠে, ঘাড়ে এবং লজ্জা স্থানসমূহ এবং লজ্জাস্থান ব্যথা, ফুলে যাওয়া , অসময়ে পিরিয়ড হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। ৫. কোন জ্বীন যদি কোন পুরুষ বা নারীকে পছন্দ করে তখন ওই জ্বীন সবসময় ভিকটিমের আশেপাশে থাকে, যখন ঘুমায় তখন আসে, ঘুমের মধ্যেই শারীরিক সম্পর্ক করে, ভিকটিম তখন বাস্তবতা অনুভব করতে পারে কিন্তু কাউকে দেখে জগনা ও বলার মতো অনুভূতি শক্তি থাকেনা। ৬. আশিক জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত হলে সেই সকল নরনারীর দের স্মৃতি শক্তি কমে যায়। ৭. খাওয়ার অনিহা সৃষ্টি হয়। ৮. মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় ও অল্পেই খুব রেগে যায়। ৯. আত্মকেন্দ্রিক ঘরকুনো হয়ে যায়। এরা আস্তে আস্তে খুব অলস প্রকৃতির মানুষ হয়ে যায়। ১০. পড়াশোনার প্রতি, ইবাদাতের প্রতি, পরিবারে প্রতি অমনোযোগী হয়ে যায়। আল্লাহ তা’য়ালার জিকির ও কুরআন তিলাওয়াতের প্রতি তাদের মনে প্রখর অনিহা থাকে। ১১. অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতা পছন্দ করে। এধরনের ব্যক্তিরা ঘুমাতে খুব পছন্দ করে, কারন সে যখনই ঘুমায় জিন তার খারাপ উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত করার সুযোগ পায়। ১২. পুরুষ জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত মেয়েরা সাধারণত পুরুষদের পছন্দ করেনা, তবে মহিলা জিন (পেত্নী) দ্বারা আক্রান্ত ছেলেরা মেয়েদের প্রতি আকর্যণ বেরে যায় ১৩. একাকী থাকতে পছন্দ করে ও অগোছালো থাকতে বেশি পছন্দ করে। ১৪. বিবাহিত মেয়েরা স্বামী থেকে দুরে থাকতে পছন্দ করে কোন কারন ছাড়াই। পুরুষ হলে নারী আসক্তি বেড়ে যায় কিন্তু নারীদের এড়িয়ে চলে অথবা নারীদের প্রতি আসক্তি বেড়ে যায় কিন্তু নারীদের এড়িয়ে চলে না। ১৫. জাগ্রত অবস্থায় ( হস্তমৈথুনের মাধ্যমে) নারী, পুরুষ উভয়ই একি রকম, এসময় জ্বীন রোগির হাত,মস্তিষ্ক পজেস করে ইন্দ্রিয়তৃপ্তি লাভ করে, এটা তখনই বোঝা যাবে যখন কেউ আগে থেকেই গুপ্ত অভ্যাসে লিপ্ত ছিলকিন্তু তা অল্প পরিমানে,হঠাৎ করে যদি মাত্রাতিরিক্ত ভাবে যৌন চাহিদা বেড়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে আশিক জ্বীনের কাজ এটা। তবে বশীকরণ বা আসক্তকারি বা অনুগত যাদুর লক্ষন হচ্ছে, স্ত্রী বা স্বামীর সংগে সহবাসের ঘন ঘন ইচ্ছা জাগা, কিন্তু যারা অবিবাহিত তারা যদি আশিক জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত হয় তাহলে তাদের যৌন উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয় আশিক জ্বীন, ফলে যুবক যুবতীরা হারামে লিপ্ত হয়। ১৬. জ্বীন মানুষের সঙ্গে মিলনের সময় যৌনাঙ্গে গরম বাতাসের মত অনুভূত হয়, জ্বীনরা সঙ্গম করে,তাই এই সঙ্গমের পরে মেয়েরা দুর্বল হয়ে যায় খুব, ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়, শরীরে অনেক ব্যথা অনুভব করে, এসব লক্ষণ নারী পুরুষ সকলের অনুভব হয়। ১৭. অবিবাহিত মেয়ের সাথে জ্বীন শারীরিক সম্পর্ক করলে সেই মেয়ে বিয়ের ক্ষেত্রে শুধু অনিহা প্রকাশ করে,আর বিবাহিত মেয়ের সাথে এরকম কিছু হলে সেই মেয়ে স্বামীর সাথে মিলনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আর পুরুষের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটে। ১৮. সমকামিতা, পেডোফাইল, মাত্রা অতিরিক্ত পর্নো আসক্তি আশিক জ্বিনের অন্যতম লক্ষণ ১৯. আশিক জিনে আক্রান্ত ব্যক্তি মাঝেমধ্যে সারাক্ষণই sexual ব্যাপার গুলো কল্পনা করতে থাকে। আরা একারনেই তারা Masturbation এর প্রতি অতি উৎসাহিত হয়ে পরে। ইত্যাদী

#ছড়িয়ে_ছিটিয়ে_থাকা_যাদুর_জন্য_রুকইয়াহ

ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যাদু  একে আরবিতে  বলা হয় السحر المرشوش এই যাদুর অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে শরীরে মরিচ লাগলে যেরকম জ্বলে ঐরকম জ্বলা বিশেষ করে “পা “ এই যাদু করা হতে পারে পরিধেয় কাপড়ে, যে রুমে থাকা হয় সে রুমে, যে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা হয় সেই রাস্তায়। যদি পরিধেয় কাপড়ে ছিটিয়ে দেয় তাহলে কাপড় পরার পর শরীর জ্বলবে কাপড় খুলে ফেলতে ইচ্ছে হবে!  এবং যদি রুমে ছিটানো হয় যতক্ষণ সে রুমে থাকা হবে শরীর জ্বলবে রুম হতে বাহির হয়ে যেতে ইচ্ছে হবে আর রাস্তায় ছিটানো হলে আক্রান্ত হবে। তবে বেশিরভাগ এটা কাপড়ে আর ঘরে ছিটিয়ে রাখে। যেন ভিক্টিম ঘরে না থাকতে পারে! বিয়ে বন্ধের যাদু -বিচ্ছেদের যাদু -বাচ্চা না হবার যাদু ক্ষেত্রে বেশিরভাগ এই যাদু করে থাকে! এই যাদুর ক্ষেত্রে খাদেম জ্বিন নিয়োজিত থাকেই!! এই রাক্ষসের কাজি হচ্ছে ভিক্টিম কে অতিষ্ঠ বানিয়ে রাখা -কখনো কখনো দেখবেন ঘরে থাকা কালীন উপর হতে পানি পরছে হালকা গরম যা সেখানে পানি থাকার সম্ভাবনা নেই আবার কখনো ধুলোবালি শরীরের উপর পরে আর ঘরে চলাফেরার করার সময় অনুভব হয় পায়ের তালুতে কিছু একটি আবরণ আছে বুঝতে পারা। ঘরে হাটাচলার সময় শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা বিশেষ করে পায়েই এটা অনুভব হবে। এই যাদুর ক্ষেত্রে যা ব্যবহার করে -পানি -বালু স্টিকি জাতীয় তরল পদার্থ যেমন তেল -এবং রক্ত।

এই যাদুতে আক্রান্ত হবার কমন  কিছু লক্ষণ হচ্ছে

(১)ঘরে বা বাহিরে চলার সময়  পায়ে সুই বা পিন দিয়ে খোঁচার মতো  খোঁচা অনুভব হওয়া বা করা। (২)পায়ে সব সময় ব্যাথা থাকা বিশেষ করে বসলে পা  ম্যাজ ম্যাজ করা। (৩) অযথাই পা দিয়ে পা খোঁচা খুঁচি বা খুটাখুটি করা এবং পা কাপা। (৪) পা অচল হয়ে যাওয়া  পা অবশ হয়ে যাওয়া। পায়ে পিল পিল করে কিছু চলাচল করা এবং পায়ে শির শির অনুভব হওয়া। (৫) অধিকাংশ সময় মাথা ব্যাথা থাকা সহ আরও লক্ষণ! #বাড়িতে_ছড়িয়ে_ছিটিয়ে_থাকা_যাদু_লক্ষণ বাড়িতে ছিটানো যাদু থাকলে  যাদুগ্রস্ত ব্যক্তি  কিছু বিরক্তিকর জিনিসে ভুগতে থাকেন  যা তাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। বাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার যাদুর   লক্ষণগুলি নিম্নরূপ:- (১)জাদুগ্রস্ত ব্যক্তি স্থায়ীভাবে ফোকাস করার এবং চিন্তা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। (২) যাদুগ্রস্ত  ব্যক্তি তার শরীরে কিছু দাগ  লক্ষ্য করতে পারে যা নীল রঙের হতে পারে বা সবুজ, এবং কখনও কখনও এই ক্ষত কালো হয়। (৩)শরীরের তাপমাত্রার  হঠাৎ উচ্চ এবং নিম্ন  এবং প্রতিনিয়ত কোনো  কারণ ছাড়াই শরীরের বিভিন্ন স্থানে এবং বিক্ষিপ্ত স্থানে ব্যথা অনুভব করা। (৪) ঘরে কিছু অস্বাভাবিক এবং অদ্ভুত জিনিস লক্ষ্য করা  হঠাৎ বিকট শব্দ শোনার মতো। (৫) বাড়ির দেয়ালে ফাটল! (৬)বাড়ির মানুষ  ক্রমাগত সমস্যা এবং বিবাদের মুখোমুখি হওয়া (৭) যে কোনও কাজে সফল না হওয়া কাজে ঝামেলা লেগেই থাকা। (৮) একজন ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবে ঘুমানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে কারণ সে তার ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন এবং লুকানো স্বপ্ন দেখে। (৯)ব্যক্তি ক্রমাগত ক্লান্তি এবং অলসতায় ভোগেন,  হাত ও পায়ে ক্রমাগত অসাড়তা অনুভব করা (১০) লোকজন  থেকে বিচ্ছিন্ন এবং দূরে থাকা এবং দূরে থাকার  প্রবণতা বেড়ে যাওয়া। এসব সমস্যার লক্ষণ সমূহ মিলে গেলে একজন অভিজ্ঞ রাক্কীর কাছে সরাসরি রুকইয়াহ করবেন সুস্থ হওয়া পর্যন্ত যতবার দরকার হয় ততবার এবং  রাক্বীর পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় আমল বা সেল্ফ রুকইয়াহ করবেন। এই পেইজের এডমিনদের কাছে সরাসরি রুকইয়াহ করতে নিচের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার ম্যাসেজ করুন। সরাসরি কল দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। © আদ দুয়া হিজামা ও রুকইয়াহ সেন্টার  ০১৭৭০৬০২৫৪২ whats app

Related Case Studies

ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্তের লক্ষন সমুহSymptoms of OCD (1) Have you been worrying for no reason lately? Due to the wandering thoughts in the head, the
Hijama Cupping Therapy- greatest sunnah Treatment method হিজামা কাপিং থেরাপি “হিজামা” কি? —-আমরা ইংরেজীতে বলে থাকি ‘কাপিং থেরাপি”। আর আরবিতে বলা হয় ‘হিজামা’। আরবি ‘আল
Hijama or Cupping Therapy, A Sunnah Treatment method. What is Hijama or cupping therapy? ☘️Hijama (حِجَامَة) is a navigation medical system. Derived from the Arabic