রুকইয়াহ চলাকালে কুরআন তেলাওয়াত শোনার সময় যদি ভিতরে ভিতরে কোনো ধরনের খারাপ লাগা বা রিঅ্যাকশন হয়, তবে বুঝবেন আপনার সমস্যার সম্ভাবনা আছে।
স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের কোনো রিঅ্যাকশন হয় না— যেমন মসজিদে নামাজের সময় মন স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু রুকইয়াহর নিয়তে কুরআন তেলাওয়াত শোনার সময় যদি সমস্যা থাকে, তাহলে ইফেক্ট শুরু হবে। উদাহরণ
একসাথে ৫ জন রুকইয়াহ শুনলে, যাদের সমস্যা থাকে (ধরা যাক ১–২ জন), তাদের খারাপ লাগা বা ইফেক্ট হবে, আর বাকিদের কাছে স্বাভাবিক লাগবে। সম্ভাব্য রিঅ্যাকশন বা ইফেক্ট
রুকইয়াহ চলাকালে নিম্নলিখিত উপসর্গগুলোর যেকোনোটি দেখা দিতে পারে—
হাই উঠা
ঘুম ভাব বা ঘুম আসা
মাথা ভার/ব্যথা
বুক ধড়ফড়
বমির ভাব বা বমি
পেটে শক্ত লাগা বা কাঁপা
শরীর ভার/অবশ লাগা
কোমরে ব্যথা
মাংস লাফানো
হাত-পা বা শরীরের কোনো অংশ কাঁপা
বিরক্তি, কান্না, মেজাজ গরম, রাগ
কানে হাত দেওয়া, মনোযোগ নষ্ট
অস্বাভাবিক হাসাহাসি, শরীর চুলকানো
চোখে অদ্ভুত কিছু দেখা
জিন ভর করা বা কথা বলা
বারবার অজ্ঞান হওয়া
শরীরে কিছু হাঁটার বা স্পর্শ করার মত ফিল লাগা।
মাথা চেপে ধরে আছে এমন ফিল হওয়া
কেহ পিন বা সুই ঢুকিয়ে দিয়েছে এমন লাগা
জটিল জিনের রোগীদের মনে হয় এখনি মারা যাবো
ভয় দেখানো, হুমকি দেওয়া
রুকইয়াহকে ভণ্ডামি মনে হওয়া
শরীর জ্বালাপোড়া, ব্যথা, হাত-পা কাঁপা
গিটে প্রেসার দিলে খোঁচা বা ব্যথা
রুকইয়াহ শেষ না করেই চলে যেতে মন চাওয়া
তাড়াহুড়ো করা

রুকইয়াহ চলাকালীন এসব রিএকশন হলে ধরে নিতে পারেন আপনি জিন, জাদু বা বদনজরের সমস্যায় আক্রান্ত।




❝ অনেক সময় জাদু, জ্বিন বা বদ নজরের সমস্যা থাকলেও রুকইয়াহর প্রথম সেশনে কোনো প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পায় না। ❞
এটা বড় এক ভুল ধারণা— “রিএকশন না মানেই আমি একদম সুস্থ!”

এক বোনের ক্ষেত্রে দেখা গেল:



এর পিছনে রয়েছে একাধিক কারণঃ









প্রথম সেশনের পরেই রুকইয়াহ বন্ধ করবেন না।
কিছুদিন সেল্ফ রুকইয়াহ চালিয়ে যান—রাক্বীর পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত আমল করুন।
এরপর আবার অভিজ্ঞ রাক্বীর মাধ্যমে রুকইয়াহ করুন।
ইন শা আল্লাহ, ধাপে ধাপে আসল সমস্যাগুলো প্রকাশ পাবে।





কুরআন ও সুন্নাহভিত্তিক চিকিৎসা
সেলফ রুকইয়াহ শেখানো
যাদু, জ্বিন ও বদ নজর থেকে মুক্তির ব্যবস্থা
অনলাইন ও সরাসরি সেশন





